মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১২

ফতোয়াতুল মুসলিমা: ২০১১


ইসলামের দুটো বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত প্রকট: 
১. ইসলাম অমানবিক, বর্বর; 
২. ইসলাম পরম বিনোদনী, ননসেন্স গোছের রসোৎপাদনে তা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। 

দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানুন ধর্মকারীর স্বেচ্ছানুবাদকের করা চমৎকার অনুবাদে।

পাঠিয়েছেন ধর্মপ্রাণ প্লেবয়

২০১১ সালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো বলতে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক আন্দোলন ও স্বৈরশাসকের পতনের কথা আসে। কিন্তু বিচিত্র ও কিম্ভুত কিছু ফতোয়ার ছড়াছড়িতে এ সালটি আসলেই আলাদা ও অনন্য। 

সবচেয়ে ভাঁড়ামিপূর্ণ ফতোয়ার একটি আবার ইউরোপীয় এক ইসলামী চিন্তাবিদের মস্তিষ্কপ্রসূত। তার মতে, পুংলিঙ্গের আকৃতি বিশিষ্ট ফল ও সবজি (যেমন: শসা,কলা, গাজর ইত্যাদি) খাওয়া মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ। এগুলো ছুঁলে বা খেলে নাকি তারা পাপপূর্ণ ফ্যান্টাসির দিকে ঝুঁকে পড়বে!! 

মরক্কোতে Moroccan Association for Jurisprudence research-এর প্রধান মুসলিম পুরুষদের তাদের সদ্যমৃত স্ত্রীর সাথে যৌনসঙ্গম করার অনুমতি দিয়েছেন, যেহেতু ইসলামে মৃত ব্যক্তির সাথে সঙ্গমের ব্যাপারে নিষেধ করে কিছু বলা হয়নি। 

সোমালিয়াতে অতিরক্ষণশীল দল আল-শাবাব আল-মুজাহিদীন আন্দোলন রমজান মাসে সমুচা (স্থানীয় রেসিপি অনুযায়ী মাংস,পনির, সব্জি দ্বারা তৈরী তিনকোণা প্যাস্ট্রি) নিষিদ্ধ করে একটি ফতোয়া জারি করে। তাদের মতে এই জনপ্রিয় স্ন্যাকটি খ্রিষ্টানদের ত্রিত্ববাদের (পিতা,পুত্র এবং পরমাত্মা) প্রতীক। সুতরাং এটি মুসলমানদের গ্রহণ করা উচিত নয়। 

মিশরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্মীয় আইন রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়। মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম প্রচার কমিটির প্রধান শেখ আমর সতৌহি নভেম্বরে একটি ফতোয়া জারি করে প্রাক্তন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যদের সাথে মেয়েকে বিয়ে দেবার ব্যাপারে মেয়ের পিতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, কারণ তারা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। 

দাকাহলিয়ার সালাফি আল-নূর পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদেল হাদী দাবী করেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দলের অপ্রত্যাশিত বিজয়ের কথা কোরানে উল্লেখিত আছে। 

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (!!!) ফতোয়াটি জারি হয় গত জুনে মিশরে। মিশরীয় ধর্মপ্রচারক মোহাম্মদ আল-জগবি বলেন, ইসলামে জ্বীনের মাংস খাওয়া জায়েজ। 

পৃথিবীর সেরা জোকারগুলো বোধহয় ফতোয়াবাজরাই হয়!!! 


সৃষ্টিতত্ত্ববাদ বিষয়ে রিচার্ড ডকিন্স


সৃষ্টিতত্ত্ববাদ বিষয়ে রিচার্ড ডকিন্সের মতামত। তিন মিনিটের এই ভিডিওতে পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি


সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১২

নির্ধর্মীয় সঙ্গীত: ইয়োর গড

ছোট্ট একটি ঈশ্বরপোন্দন সঙ্গীত। সুখশ্রাব্য। লিরিকসও বলিষ্ঠ। সামান্য নিদর্শন:

Is your God the same God who's working with the Pope?
...
Is it the God corralling virgins into herds of 72,
deciding where to send them when the glorious martyrs are through?
...
Is your God the same God who's burning the science books
and trampling lives to hoist the right to life signs?
...
Are they his priests who can't keep from buggering little boys?
...
Or is your's the God decreeing all the women wear a sack,
and presiding over stonings and beheadings in Iraq?
...
Is your God commanding you
to tell everybody what to do,
to kill your brain and praise his name
and bury the bastard who's not the same,
and spew your heinous and hateful shit
like something holy was driving it


সচিত্র বাইবেল


পাঠিয়েছেন শয়তানের চ্যালা 


কোরান কুইজ – ১৪


নিশ্চয়ই মোমিন মুসলমানগণ কোরান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন। বেয়াড়া নাস্তিকগনও নিজেদেরকে কোরান-অজ্ঞ বলেন না কখনও। তাই মুসলিম-নাস্তিক নির্বিশেষে সকলেই অংশ নিতে পারেন কোরানের আয়াতভিত্তিক এই ধাঁধা প্রতিযোগিতায়। এই সিরিজের মাধ্যমেই তাঁরা নিজেদের কোরান-জ্ঞান যাচাই করে নিতে পারবেন।

প্রশ্ন ২০. অবিশ্বাসীদেরকে বিপথগামী করে কে?
ক) আল্লাহ
খ) শয়তান
গ) তারা নিজেরাই

(স্ক্রল করে নিচে উত্তর দেখুন)
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.


উত্তর ২০. সব উত্তরই সঠিক!
(সুরা ৬.২৫, ১৫.৩৯, ৯.৭০) 

কোরানের তিনটি ভিন্ন অনুবাদ একসঙ্গে পাওয়া যাবে এখানে

** কৃতজ্ঞতা: আবুল কাশেম।

ইছলামী চিকিৎছা বিগ্যান


পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞানের কথা কোরানে লেখা আছে, তা তো আমরা জানিই। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান কিন্তু অনেকটাই হাদিসনির্ভর। এইডস-এর মতো রোগ থেকে নিরাময় পাবার তরিকা হাদিসে বাতলে দেয়া আছে, তা কিন্তু আমাদের অনেকেরই অজানা। অথচ সেই ২০০৭ সালে এক ইসলামবাজ আবিষ্কার করেছে হাদিসভিত্তিক এইডস চিকিৎসা। বুছি না, কেন যে ইহুদি-নাসারা বিজ্ঞানীরা কোরান-হাদিস উপেক্ষা করে যুগ-যুগ ধরে আউল-ফাউল গবেষণা করে সময় ও অর্থ ব্যয় করে চলেছে! 

ট্র্যান্সক্রিপ্টসহ পাঁচ মিনিটের ভিডিও। 

Yemenite Sheik Abd Al-Majid Al-Zindani Talks about His "Cure" for AIDS and Says He Demands Money, Not Removal from U.S. Terror List, in Return for the Cure

Following are excerpts from an interview with Yemenite cleric Sheik Abd Al-Majid Al-Zindani, which aired on Al-Jazeera TV on January 12, 2007.

Interviewer: You said that you relied on a hadith by the Prophet Muhammad, but you did not specify which one. In addition, some may claim that you only spent two years studying pharmacology, yet you talk about a cure for a disease on which pharmaceutical companies have been working for over a decade, and to which they allocate great resources, and hire large teams of the most prominent researchers.
[...]


Sheik Abd Al-Majid Al-Zindani: Regarding the Prophet's hadith - I must disclose which one, talk about it, and make it public, but the nature of things is that research in this field is the basis for industry, funds, economy, and companies. Today, the trade in medicine is one of the most important things that interest people, and there are international laws forbidding a country to profit from any drug that was registered in another country. Just so that we won’t be denied a drug we discovered ourselves... If we disclose it, one company or another might grab it from us.
[...]


Interviewer: Merely disclosing the Prophet's hadith might reveal these scientific secrets, in your opinion?


Sheik Abd Al-Majid Al-Zindani: Yes.


Interviewer: What about the other question?


Sheik Abd Al-Majid Al-Zindani: There are two ways to attain knowledge. The first is the tangible, scientific, experimental way, which is considered the basis of modern science. This is the human way to attain knowledge. But there is another source of knowledge – divine knowledge, the inspiration that comes from Allah to guide human beings.
[...]
A child from Libya, sick with the disease, came to us. He had 20,000 copies of the virus. After being treated, Allah be praised, this number dropped so much that the instrument in one of the medical centers, on which we rely and with which we work, was not sensitive enough to register the amount. They say that instruments vary in their sensitivity. In some instruments, if the viruses fall to a very low level - it becomes invisible for that instrument.
[...]


Interviewer: According to some reports, you do not object to American companies adopting your invention, on condition that they pressure the American administration to remove your name from the list of terrorism suspects. The only thing that interests many people in this matter is for this drug, if it is real and effective, to reach the sick at a low cost. People might view this as an attempt by you to achieve personal political gains.


Sheik Abd Al-Majid Al-Zindani: Allah be praised. If I had said that I would not cooperate with American companies, they would have said that I am a terrorist. If I say I will cooperate with any company in the world, American or not, they say it is a political matter. I'm damned if I do, damned if I don't.


Interviewer: All we care about is to benefit those who are sick in the fastest way.


Sheik Abd Al-Majid Al-Zindani: This is a humanitarian matter, and it is offered to all people. We welcome cooperation, according to proper principles.
[...]
The owners of the companies and the people working in pharmacology know the value and revenue of each drug. We too know the value of our drug, and the revenue from it. Therefore, we did not place any conditions on them, and we did not tell them what sum they should offer. Instead, we say to them: "Make your bids."


Interviewer: If you are approached by some charity, which could produce this drug at cost, and provide it to many patients in the Arab and Islamic world and in Africa, would you consider giving up the material profits you could make in the beginning?


Sheik Abd Al-Majid Al-Zindani: If we take this course, there will be no research centers, and the research centers you want will not develop.


ব্ল্যাসফিমাস নোটকর্ম


পাঠিয়েছেন কৌস্তুভ

in god we trust লেখা ডলারের নোটকে ভাঁজ করে বানানো:

Trust No One 

Holy Shit

সূত্র। এখানে আরও কিছু নোটকর্ম পাওয়া যাবে।

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১২

সূরা আল-ব্লগ


নাযিল হয়েছে থাবা বাবা'র ওপরে

হে রাসুল, (আপনি মুমিনগনকে) সুসংবাদ প্রদান করুন, তাহারা যেন ধৈর্য ধারণ করে ও নিশ্চয়ই (তাহার পুরস্কার স্বরূপ) তাহারা জান্নাতে প্রবেশ করিবে ও আল্লার নিকট হইতে প্রতিশ্রুত ৭২টি হুরী পাইবে ও অসংখ্য কচি গেলমান। 

জমিনে যেখানে আমি (তাহাদিগকে) সাময়িকভাবে পাঠাইয়াছি, তাহারা যেন সেইখানে কোনোরূপ স্থায়িত্বের চিন্তা না করে। 

কারণ আমি (তাহাদের) চিরঞ্জীবী করিয়া পাঠাই নাই এবং নিশ্চয়ই জান্নাতের জীবনই অনন্তর স্থায়ী হইবে। 

জমিনের সকল কিছুই আল্লাহ তাহার নেক-বান্দাদিগের জন্য সৃজন করিয়াছেন। 

এবং (জমিনের ওপর) ভারী পর্বত স্থাপন করিয়াছেন যাহাতে তাহারা নিরাপদের জমিনে বিচরণ করিতে পারে ও বকরী চড়াইতে পারে। 

হে রাসুল, তাহারা কি দেখে না যে আল্লার রাসুল নিজেও একজন মেষপালক? 

তথাপী কেন তাহারা আল্লার তৈয়ারী জমিনে মেষ চারণ ছাড়িয়া কাফেররদিগের তৈয়ারী (আন্তর্জালীয়) ক্ষেত্রে বিচরণ করে? 

তাহারা কি জানে না যে, কাফেরদিগের (আন্তর্জালীয়) ক্ষেত্র মিথ্যা ও অস্তিত্বহীন? 

তাহারা কি করিয়া আল্লার সৃষ্টি ব্যতীত কিছুকে সত্য বলিয়া মানিয়া লয়? 

(তাহাদিগকে) যখন আল্লাহ প্রশ্ন করিবেন যে আল্লাহর জমিন ছাড়িয়া তাহারা কোথায় বিচরণ করিত, তখন তাহারা কি জবাব প্রদান করিবে? 

তাহারা কি সেই মিথ্যা ক্ষেত্র অন্য অন্য মুমিনদিগকে দেখাইতে পারিবে? 

হে রাসুল, (আপনি তাহাদের) এই বলিয়া সাবধান করিয়া দিন, তাহারা যে কোন কিছুই বিনা প্রমাণে বিশ্বাস না করে ও নিরাকার ও অদৃশ্য আল্লার ওপর পূর্ণ ইমান বজায় রাখে। 

কারণ একমাত্র আলাহ এবং কোরানই সকল সত্যের আকর ও সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর প্রমাণ। 
যদিও আমি তোমাদিগকে আল্লাহ ও তার মালাইকাতুন ও জ্বীন জাতীকে দেখিবার ক্ষমতা প্রদান করি নাই। 

(মুমিন বান্দাগন) নিশ্চই ইয়াহুদী ও নাসারাদিগের প্ররোচনায় মিথ্যা (আন্তর্জালীয়) ক্ষেত্রে প্রবেশ না করে, নিশ্চই জাহান্নামের আগুন দুনিয়া হইতে সহস্রগুণ ভয়ঙ্কর। 

এবং (প্রকৃত মুমিনগন) নিশ্চই আল্লার ওপর বিশ্বাস রাখে, এবং আল্লায় ব্যাতীত আর কে দুনিয়ার সত্য ও সকল (আন্তর্জালীয়) মিথ্যা ক্ষেত্র তৈয়ারীর ক্ষমতা রাখে? 

তথাপী (আন্তর্জালীয়) ক্ষেত্রে তোমাদিগের বিচরণ সীমিত করো, ও যাহারা অধিক বিচরণ করে তাহাদিগবে বাধা প্রদান করো ও আল্লার মহিমা ও হুরীদিগের সুন্দর দেহবল্লরীর প্রশংসা করো। 

যদিও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জ্ঞাতসারে কাফের ও মুশরিকদিগের সকল কর্মকাণ্ড ও (আন্তর্জালীয়) ক্ষেত্র তৈয়ারী হইয়াছে ও আমি তাহার সকলি অবগত তাহার পরেও (মুমিনদিগের জন্য) আমি আমি তাহা নিষিদ্ধ করিয়াছি। 

তোমরা নিশ্চই জানিবে কাফিরদিগের তৈয়ারী ক্ষেত্র তো তাহাদিগের মিথ্যা প্ররোচনার জন্যই ব্যবহৃত হইবে ও (তোমাদিগকে) বিভ্রান্ত করিবে। 

নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল বিষয়েই অবগত ও তাঁর অজ্ঞাতে কিছুই ঘটে না। 

অতঃপর আমি তোমাদের জন্য আন্তর্জালীয় ক্ষেত্র ও ব্লগিং নিষিদ্ধ করিয়াছি, নিষিদ্ধ করিয়াছি (ছাইয়া নিকের) ছদ্মবেশ। 

কারণ তাহারা তোমাদিগের ডান এবং বাম হস্তের অধিকারে। 

তাই তোমরা নিশ্চই তাহাদিগের ছলনায় ভুলিবে না ও ছদ্মবেশ ধারণ করিবে না। 

কারণ যে কেউ তোমাদের ওপর অধিকার স্থাপন করিতে উদ্ধত হইতে পারে। 

তথাপী তোমরা যদি (ছদ্মবেশী কাউকে) দেখিতে পাও (তাহাদের) বারণ করো ও তাহাদের ওপর উপগত হও যেমন আমি তোমাদিগের জন্য জান্নাতে হুরী ও গেলমান বরাদ্দ করিয়াছি। 

নিশ্চই জাকারবার্গ একজন ইয়াহুদী ও শুকরদের অন্তর্গত।

নির্বোধের অজ্ঞতাপ্রসূত জেদ


ঈশ্বর ও ধর্ম বিষয়ক বিতর্কে বিশ্বাসীরা না পারে কিছু প্রমাণ করতে (পারার কথাও নয়, রূপকথা কি প্রমাণযোগ্য?), না পারে তাদের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে (কারণ গড়পড়তা নাস্তিক গড়পড়তা আস্তিকের চেয়ে ঢের বেশি জানে ঐশী কিতাব সম্পর্কে); ফলে তাদের 'যুক্তি' হয় এরকম: কারণ আমি জানি / কারণ আমি বিশ্বাস করি / কারণ তা কিতাবে লেখা আছে... 

এমন বদ্ধমস্তিষ্কদের সঙ্গে বিতর্ক করা বড়োই দুরূহ কাজ, তবু সেই কাজটিউ পরম নিষ্ঠা ও ধৈর্যের সঙ্গে করে চলেছে The Atheist Experience. এক নির্বোধ আস্তিকের অজ্ঞতাপ্রসূত জেদের নমুনা দেখুন ছোট্ট ভিডিওতে। 


যৌনইঙ্গিতবাহী চার্চ সাইন - ০২


না, উদ্দেশ্যমূলকভাবে যৌনইঙ্গিত এসবে দেয়া হয়নি। তবে তা খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য নয় একেবারেই।





যৌনইঙ্গিতবাহী চার্চ সাইন - ০১ (ঊনিশটি ছবি)

নবীজি - সকল 'ঋতুর' পুরুষ


নারীরা ঋতুকালে অশুদ্ধ ও দুষিত, তাই সেই সময়ে তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত এবং তারা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হওয়া উচিত নয় - এ কথা বলা আছে খোদ কোরানের দ্বিতীয় সুরার ২২২ নম্বর আয়াতে। ঋতুকালে নামাজ না পড়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে নারীদের। 

নবীজি নিজে সকল 'ঋতুর' পুরুষ (a man for all seasons) ছিলো বলে মেয়েদের ঋতু-ফিতু সে মানতো না। বিশদ জানতে স্লাইড শো দেখুন অথবা পিডিএফ (৪.৩৭ মেগাবাইট) ডাউনলোড করে নিন।


শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১২

ঈশ্বরদর্শন

ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিলেন অস্ট্রেলীয় এক খ্যাপা নাস্তিক


লিংকিন পার্ক - ৩৬


১. 
না, এই খবরের সঙ্গে ধর্মের কোনও সংশ্লেষ সেই। তবে মুহম্মদ নামের কেউ ৭ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেছে শুনলে অবধারিতভাবে নবীজির কথা মনে পড়ে যায় যে! 

২.
অনেক মমিনের ধারণা, বিজ্ঞান নাকি বিশ্বাসনির্ভর। আসলে তারা বিজ্ঞানকে ধর্মের স্তরে নামিয়ে আনতে পারলে স্বস্তি পেতো, কিন্তু তা কি হবার? সহজ ভাষায় লেখা একটি চমৎকার নিবন্ধ।

৩. 
জিনেটিক উজানযাত্রার কাহিনী। দু'ঘণ্টার ডকুমেন্টারি। এ বিষয়ে উৎসাহ বা কৌতূহল থাকলে সময় নিয়ে দেখতে বসুন, শেষ না করে উঠতে পারবেন না।

৪. 
ফাকিস্তানের মতো দেশেও নাস্তিকেরা অল্পস্বল্প করে উঁকি দিচ্ছে। ফেসবুকে তাদের যে পেইজটা আছে, সেটির প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে সাক্ষাৎকার।

৫. 
ধর্মবিশ্বাসী দম্পতিরা এখন সেক্সশপের সেবা গ্রহণ করছে। খ্রিষ্টধর্মী সেক্সশপও চালু হয়েছে। 

৬. 
Fundies Say the Darndest Things নামে একটি সাইট! Fundy শব্দটি Fundamentalist-এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যার বাংলা প্রতিশব্দ নিশ্চিতভাবেই ছাগু। এই সাইটে ছাগুমুখনিঃসৃত ল্যাদানি সংগ্রহ করা হয়। বাংলায় এমন সাইট কেন যে নেই! 

৭.
ভারতের Jaipur Literature Festival-এ যোগ দিয়েছিলেন রিচার্ড ডকিন্স। দ্য টাইমস অভ ইন্ডিয়া পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি স্বভাবসুলভ স্পষ্টবাদিতা ও যুক্তিনিষ্ঠতা বজায় রেখেছেন।
(লিংকম্যান: কৌস্তুভ) 

৮. 
স্কুলে ঝোলানো প্রার্থনাবোর্ড স্কুলছাড়া করতে আদালতের আশ্রয় নিয়ে সফলকাম হওয়া আমেরিকার ১৬ বছর বয়সী নাস্তিক স্কুলবালিকা এখন ক্যাথলিক মমিন-আকীর্ণ শহরে তীব্র রোষের সম্মুখীন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট। 

নির্ধার্মিক মনীষীরা – ৫২


পিটার অ্যাটকিনস - ব্রিটিশ রসায়নবিদ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বড়োই আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে জানাচ্ছেন ঈশ্বর ও ধর্ম বিষয়ে তাঁর অকপট মতামত।

সাড়ে তিন মিনিটের ভিডিও। পুরোটা না দেখলেও অন্তত প্রথম বাইশ সেকেন্ড দেখাটা ফরজে আইন


পোপের মুখনিঃসৃত বল্দার্গু


ভ্যাটিকানের ভণ্ড পোপ একখান বাণী দিসিলো ক্রিসমাসের আগে:


এই শালার লাজলজ্জা তো নাইই, নাই কমনতম সেন্সও। সে কোন মুখে বাহ্যিক চাকচিক্য বর্জনের কথা কইতারে? নিচের ছবি কয়টা দেইখা কন, আমি ভুল কিছু কইসি নাকি!


শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১২

বিদ্যাদেবীর বিশ্লেষণ


লিখেছেন অজাতশত্রু


স্বরস্বতি মহাভাগে, বিদ্যা কমললোচনে, 
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী, বিদ্যাং দেহি নমহস্তুতে। 

এর বাংলা হল:
স্বরস্বতি মহা ভাগে মানে বিদ্যা চাইলে ভাগে। বিদ্যা কমল লোচন মানে বিদ্যার সময় মাথায় কেমিকেল লোচা হইলে স্বরস্বতির নাম মনে আসে। বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী মানে বিশ্বের সব মানুষ তার কাল্পনিকরূপ বিশাল চোখে দেখে। বিদ্যাং দেহী নমহস্তুতে মানে স্বরস্বতি বলছেন, বিদ্যা দেখি আমার হাতে নেই। নম হল নেই, হস্তুতে মানে হাতে।

সৃষ্টিকথা


বানিয়েছেন শেষনবী আমিনী


ইসলামের জিহাদী জঙ্গিরা


কোরানের সমস্ত বাণী অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে না (সম্ভব নয় বলে) একজন মুসলিমও। তাই সত্যিকারের মুসলিম বলে কিছু নেই। তবে একদল মুসলিম আছে, তার যথাসাধ্য কোরানানুগ জীবনযাপন করে থাকে। বর্তমান দুনিয়ায় তাদেরকেই খাস মুসলিম বলা উচিত, অথচ তাদেরকে গণ্য করা হয় জঙ্গি মুসলিম হিসেবে। তুলনামূলকভাবে এদের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও প্রভাবের বিচারে তারা কিন্তু খুবই অগ্রগণ্য।

এই জিহাদী মুসলিমদের নিয়ে বানানো আধঘণ্টার একটি ডকুমেন্টারি দেখুন।


শয়তানের সাথে সংলাপ


লিখেছেন নাসির আবদুল্লাহ

'নাসির ভাই, ও নাসির ভাইইইই' ডাক শুনে চমকে গেলাম। অপরিচিত কন্ঠস্বর, উপরন্তু কেমন যেন নাকি নাকি সুর।

(গভীর রাত্রে একটা চেয়ারে একা বসে আছি বন্ধুর বাড়ির বাগানে। বন্ধু আমার সবজান্তা, সে আস্তিকও না আবার নাস্তিকও না, সে তর্কবাগিশ। তার স্বভাব হচ্ছে তর্ক করা, নাস্তিকদের টেবিলে সে আস্তিকের পক্ষে কথা বলে আবার অস্তিকেদের টেবিলে সে বিশাল নাস্তিক। সর্ব বিষয়ে তার অফুরন্ত জ্ঞান, ছাগু-মার্কা জ্ঞান না, সত্যিকার পড়াশুনা করা জ্ঞান। সন্ধ্যার অধিবেশন একটু কড়া হয়ে যাওয়াতে সে ঘুমিয়ে পড়েছে, বউরা! কেউ বাসায় নেই। হ্যা, তার চার চারটি বউ! একটি সুইডিস (গির্জার সিস্টার), একটি মেক্সিকান (মাঝারি কাতারের গায়িকা), একটি পার্শ্ববর্তী দেশের (অসম্ভব সুন্দরী) আরেকটি বাংলাদেশী (ভূগোলবিদ), চার ব‌উয়ের ছয় সন্তান সবাই মিলে এই একই বাড়িতে থাকে। আমার জানা সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম আমার এই বন্ধু। যাহোক বন্ধুর গল্প আরেকদিন বলব।)

- কে?

- নাসির ভাই, আমি ইবলিশ।

এই আজিব রসিকতায় ভড়কে গেলেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে জিজ্ঞাসা করলাম, 'কী চাও?'

- আপনের সাথে কিছু আলাপ আছিল, নাসির ভাই।

- বলে ফেল।

- আপনে আদাজল খাইয়া আমার পিছনে লাগছেন ক্যান?

- বাহ রে, বল কী তুমি! আস্তিকরা বলে, আমি নাকি ওদের পিছনে লাগছি। আবার তুমিও বলছ যে, আমি তোমার পিছনে লাগছি, আমার কি দুই কুলই গেল নাকি?

- নাহ! কথা সেইডা না, আপনেরে আমি খুব ডরাই।

- কেন?

- ওই যে আপনার মাথার মইদ্দে সব সময় সম্ভাবনা উকি দেয়, আপনি অংকে কাঁচা কিন্তু সম্ভাবনাগুলা বেশির ভাগই ঠিক।

- ঝেড়ে কাশ ত বাপু, বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে।

- নাসির ভাই, আপনের সব পুকুরের মাছ আমি ডবল কইরা দিমু, ট্রিপল কইরা দিমু যদি আপনি আমার একটা অনুরোধ রাখেন।

- বলতে থাক।

- আপনি মুহম্মদের পিছু ছাইড়া দেন।

- কেন?

- মুহম্মদ যে আমার সাধনার ফসল, এইটা আপনি বুঝেন না?

- কীভাবে?

- প্রায় ১৩শ কোটি বছর আগে যখন কেন্দ্রীভূত অসীম বল বিস্ফোরিত হয়ে গেল, তখন চাপ কমে যাওয়াতে প্রায় সমস্ত শক্তিই বস্তুতে পরিণত হয়ে যায়, কিন্তু কিছু বোসন কণা আর ফোটন কণা হিগস ফিল্ডের প্রভাবে ভরহীন হয়ে থেকে যায়।

- তুমি কী? ফোটন না বোসন?

- আমরা শয়তানরা বোসন, ফোটন হচ্ছে মুহম্মদের আল্লাহ।

- আমি তো বিজ্ঞানী না, তুমি আমাকে এসব বলছ কেন?

- এর মধ্যে বিজ্ঞানের কিছু নাই, আপনার শোনা দরকার।

- বলতে থাক যদি কিছু বুঝতে পারি।

- মহাবিশ্ব যদি এক্সপ্যান্ড হতেই থাকে, তবে একদিন সমস্ত নক্ষত্র নিভে যাবে, ফোটন হারাবে তার আলো, নিউট্রনের কেন্দ্রীয় বল কমে যাবে তখন সমস্ত বোসন কনারা (আমরা সমস্ত ফেরেস্তারা) মুক্ত হয়ে যাব, কিন্তু আল্লাহ তা চায় না, সে চায় মহাবিশ্ব সংকুচিত হোক, আবার বিগব্যাং হোক, যাতে করে সমস্ত বস্তু আবার শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যেতে পারে এবং ইলেকট্রন প্রোটন বোসন সব ভেঙ্গে শুধু মাত্র ফোটনের অস্তিত্ব টিকে থাকে। কিন্তু আমরা তা চাই না, আমরা চাই মহাবিশ্ব অনন্তকাল ধরে প্রসারিত হোক, ফোটনের মৃত্যু হোক।

- তাতে তোমাদের লাভ কী?

- ফোটনের মৃত্যু হলে আমরা বোসনেরা আপনাদের জন্য আলো ছড়াবো, আমরা সংখ্যায় অসীম। অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন আপনারা এবং আমরাও।

- বাহ বেশ! আমি কী করতে পারি?

- আপনি শুধু মুহম্মদের পিছা ছাইড়া দেন, ইসলামরে একটু জলদি প্রসার হইতে দেন।

- ইসলামের প্রসার হলে তোমার লাভ কী?

- নাসির ভাই, আপনি বুইঝাও না বুঝার ভান করেন ক্যান? ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মগুলার যত প্রসার হবে, মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে ততই দূরে চলে যাবে, মানুষ কিছু বুঝে উঠবার আগেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।

- পৃথিবী ধ্বংস হলে তোমার কী লাভ?

- মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করলে একদিন বুঝে যাবে যে, মহাবিশ্ব নিখুঁত নয়, আপনারা হেলফিন গ্রহের বাসিন্দাদের খুঁজে পেয়ে যাবেন, তারপর একসাথে মিলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করবেন।

- তুমি ভাবলা কীভাবে যে, আমি মানুষের ক্ষতি করতে রাজি হব? আরো বললা যে, ফোটন মইরা গেলে তোমারা মানুষদেরকে আলো দিবা? আসলে কী চাও?

- নাসির ভাই, আসলে ত মানুষ বইলা কিছু নাই, সবই কণা আর কণার যোগফল/কম্বিনেশন। আপনি কী চান? যেভাবে চলতেছে সেইভাবেই চলুক নাকি আবার বিগব্যাং আবার নতুন এক্সপেরিমেন্ট?

- আবার বিগব্যাং হলে তোমাদের অসুবিধা কোথায়?

- অসুবিধা আছে। নেক্সট বিগব্যাং-এ কোনো গ্যারান্টি নাই যে কণাদের অবস্থা কী হবে বা কেমন হবে, আমরা সবাই অস্তিত্ব হারাতে পারি।

- হুম, তাহলে আল্লাহ কেন চায় আবার বিগব্যাং হোক?

- সে হইতেছে বড় প্লেয়ার নাসির ভাই। তার এমনিতেও কিছু নাই ওমনিতেও কিছু নাই। সে থাইকাও নাই, তাই সে রিস্ক নেয়ার পক্ষপাতী।

- আচ্ছা, বুঝছি, যাও, নতুন বিগব্যাং আর হবে না, কিন্তু তাতে তোমার কিছু লাভ দেখি না।| ফোটনও মরবে আর তোমরা বোসনেরাও মরবা, মানুষ বেঁচে থাকবে চিরকাল। আমরা অন্ধকারে বেঁচে থাকা শিখে যাব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই, হেলফিন গ্রহের তথ্য দেবার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।

- নাসির ভাই এল্লাইগায় ত আপনারে আমি ডরাই। কিছুদিন আগে আপনি যখন আল্লারে স্বপনে দেখলেন, হেই বেডাও ডরে আপনারে সব কথা খুইলা কয় নাই। আপনার সব পুকুরের সব মাছ আমি একশো গুণ কইরা দিব, আসেন সবাই একসাথে বাঁচি। আমি এই ব্যাপারেআল্লার সাথে বৈঠক কর....

নাসির, নাসির! ওই বেটা উল্লুক, এত রাইতে তুই ঠাণ্ডায় বরফের মইদ্দে একলা একলা বইসা কী করস? ভাবীরে ফোন দেস নাই কেন আইজকে? যা ব্যাটা, কথা ক গিয়া তার সাথে।

ঘোর কাটেনি তখনও, হাতে ফোন নিতেই ওপাশ থেকে দাদির চিত্কার, "ওই হারামজাদা, কই থাকস রে রাইতের বেলা? মিলি নাকি তুরে ৩ বার মোবাইল মাইরা পায় নাই?

দাদী, শয়তান... ওই বদমাইশ, তুই আমারে শয়তান কস?" ঘচ করে লাইন কেটে গেল।

দেখি, ঘোর কাটলে একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে ফেলতে হবে।

বিলবোর্ড বিতর্ক


ধর্মীয় বিলবোর্ডে ছেয়ে আছে আমেরিকা, তাতে কোনও সমস্যা নেই, তবে নিরীহ নাস্তিক্যবাদী বাণীসম্বলিত দু'-একখানা বিলবোর্ড তোলপাড় ফেলে দেয় সেখানে। বুঝি না, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও ধর্মবাদীদের এতো ভীতি কেন? কারণ, মনে হয়, তারা নিশ্চিত জানে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের বটে, তবে সত্য তাদের পক্ষে নেই।

টাঙানোর আগেই বিতর্কিত একটি বিলবোর্ডের ছোট্ট কাহিনী।


বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১২

আমাদের আত্মীয়েরা – ৩৮


বানরদের মাঝেও, দেখা যাচ্ছে, গ্রুপ সেক্সের প্রচলন আছে।
আমি 'গ্রুপ সেক্স'-এর বাংলা করলাম - গুচ্ছকাম

ছবি পাঠিয়েছেন থাবা বাবা 

শাখামৃগদের গুচ্ছকাম

হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ৩১


১.
কোরানের অনেক কিছুই এখনও পর্যন্ত আধুনিক: এই যেমন নুহ নবী চল্লিশ দিন ধরে পার্কিং প্লেস খুঁজেছে। 
(সংগৃহীত)

২.
সাতশোবার বিয়ে করা কিং সলোমনকে আর যা-ই হোক, বিচক্ষণ বা বুদ্ধিমান বলা চলে না।
(সংগৃহীত)

৩.
কাফের হত্যায় ব্যর্থ আত্মঘাতী শহীদেরা বেহেশতে আত্মরতি করবে প্রতিদিন বাহাত্তরবার; তারা উত্তেজিত হবে ঈমান্দারদের কামক্রীড়া অবলোকন করে।

বিবর্তন বিষয়ে ইছলামীরা দ্বিধাবিভক্ত?


অনুবাদ ও ফটোমাস্তানি আসিফ মহিউদ্দীন 


আসিব্বাই, এইটা নাহয় বুজলাম, কিন্তুক আমি একখান ভিডুর নাগাল পাইলাম, যেইটা দেইখা মনে হইলো, ধড়িবাজ ইসলামবাজেরা বুইজা ফালাইসে যে, বিবর্তন ব্যাপারখান এতোটাই পষ্ট যে, চোখ বুইন্দা থাকলে এখন পুরাই ধরা খাইতে হবে এবং তখন নিজেগো গোলাম য়াজম বাঁচাইতে খবর হইয়া যাবে। তাই বেগতিক দেইখা বিবর্তরবাদরে তারা মাইন্যা নিতেছে এবং ছহীহ ইছলামী কায়দায় ফরমাইতেছে যে, আল্যাফাক কোরান শরীফে বিবর্তনের কথা উল্লেখ করসে!

আড়াই মিনিটের ভিডু দেইখা বুইঝা লন।


বাইবেল গেম


বাইবেল অনুসরণে ভিডিও-গেম বানালে সেটা কেমন হতে পারতো, তা দেখিয়েছেন দুর্ধর্ষ সব ভিডিও বানিয়ে যশ কামানো TheThinkingAtheist. গেমে ইসলামের নবীকেও দেখা যায় এক ঝলক  


বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১২

সূরা আল-হাকিম


লিখেছেন থাবা বাবা 

(কদিন আগে স্টিফেন হকিং এর জন্মদিন গেল... হায়াত শেষ হয়ে গেলেও স্টিফেন হকিং এখনো দিব্যি বেঁচে আছেন। তাই আল্লা ক্ষেপে গিয়ে এই সূরাখানা আমার ওপর নাজিল করেছেন... বলেন আমিন!)

শপথ উটমূত্রের, (যাহারা তাহা প্রত্যাখ্যান করিয়াছে) তাহাদের জন্য রহিয়াছে নিশ্চিত মৃত্যু যাহা আমি (তাহাদের জন্য) নির্ধারণ করিয়াছি।

তাহারা শীঘ্রই (মৃত্যুমুখে) পতিত হইবে, যাহা তাহারা ভীত হয় ও মুখোমুখি হইতে চায় না।

আর যাহারা প্রশ্ন করে সময় লইয়া ও স্থান লইয়া যাহা আমি স্বীয় আরশ স্থাপনের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি (তাহাদিগের জন্য) রহিয়াছে পঙ্গুত্বের ব্যাধি যাহা (তাহাদের পক্ষে) এড়ানো সম্ভব হইবে না। 

অতঃপর তাহারা মৃত্যুমুখে পতিত হইবে যাহা আমি তাহাদের জন্য নিশ্চিত করিয়াছি এবং তাহাদের নেতা ইস্তিবান আল-হাকিম এর জন্য রাখিয়াছি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাধি যাহার কথা (সে স্বীয় জবানে কাহাকেও) বলিতে পারিবে না অথবা তাহার যন্ত্রণার কথা।

অতঃপর যৌবনেই সে (রোগাক্রান্ত হইয়া) চলৎশক্তি রহিত হইবে ও নিশ্চিত মৃত্যুমুখে পতিত হইবে।

তথাপি তাহার মৃত্যু (নির্দিষ্ট সময়ের আগে) হইবে না ও তাহাকে আরো কষ্ট উপভোগ করাইবার জন্য আমি তাহাকে অনন্তকাল বাঁচাইয়া রাখিব।

নিশ্চয়ই মানুষকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন (চিরকাল) বাঁচিয়া থাকিবার জন্য সৃজন করেন নাই, তাই আল-হাকিমও নিশ্চয়ই কোনো একদিন মৃত্যুবরণ করিবে। 

(কিন্তু জানিয়া রাখ) তাহার বালাই যাহা আমি (শুধু তাহারই জন্যই) পাঠাইয়াছি, তাহা জাহেল ও বাতেন দুনিয়ার কোন হেকিম নির্ণয় করিতে পারিবে না।

উহারা প্রতিবার (তাহার মৃত্যুর) ভবিষ্যদ্বাণী করিবে যদিও তাহাদের ঐসব (ভবিষ্যদ্বাণী) আমি পূর্বেকার ন্যায় নস্যাৎ করিয়া দেই।

কারণ হায়াত ও মউতের একমাত্র মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং তাহার ওপর অন্য কেউ (ভবিষ্যৎ বলিতে) পারে না।

আল্লাহ প্রতিবার (আল-হাকিমের) হায়াত বাড়াইয়া যাইতেছে।

তথাপি (তাহারা) বোঝে না আল্লার মহত্ব ও শক্তি।

উপরন্তু সে (শয়তানের প্ররোচনায় ও কালো যাদুর দ্বারা) আমার সৃষ্টি ও অস্তিত্ব লইয়া (পূর্বেকার ন্যায় পূণঃপূণঃ) প্রশ্ন করিয়া যাইতেছে।

তাহারা কি বোঝে না (তাহার জীবনরক্ষাকারী যন্ত্রের মতো) আল্লাহও সত্য!

আল-হাকিম ও তাহার অনুসারীরা কি দেখে না আল্লাহ কী করিয়া ইহুদী ও নাসাদের মাধ্যমে (তাহার জীবন রক্ষাকারী) যন্ত্র বানাইয়া পাঠাইয়াছে, তবু তাহারা (আমার আমার অস্তিত্বে) অস্বীকার করে!

তবে হে রাসুল, আপনি (মুমিনদিগকে ধৈর্য ধারনের) সুসংবাদ প্রদান করুন এবং (তাহাদিগের জন্য রহিয়াছে) অনন্ত জান্নাত ও পুরস্কার।

মুমিনগন, তোমরা (আল-হাকিমের) দীর্ঘ জীবন দেখিয়া বিভ্রান্ত হইয়ো না।

নিশ্চই সে একদিন তাহার পূর্ব নির্ধারিত মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াইবে (যাহা আল্লাহ) তাহার জন্য নির্ধারন করিয়া রাখিয়াছেন সৃষ্টির আদিতে।

হে মুমিনগন, তোমরা (আল্লার ক্ষমতা লইয়া) সন্দেহ করিও না এবং (আল-হাকিমের মৃত্যু লইয়াও) বিভ্রান্ত হইয়ো না!

আল-হাকিম সেই দিন মৃত্যুবরন করিবে যেই দিন আমি তাহার জন্য নির্ধারন করিয়া রাখিয়াছি এবং তোমরা (মহান আল্লায় তা-আলার ওপর) ইমান রক্ষা করিবে।

যদিও আমি জানি তোমরা প্রায়শই (শয়তানের চালে) বিভ্রান্ত হও, (শয়তান) তোমাদিগকে অন্ধ করিয়া দেয়।

কিন্তু তোমরা কি দেখ না যাহারা (আমার অস্তিত্ব লইয়া) প্রশ্ন করে আমি তাহাদের নেতা আল-হাকিমকে নাপাক অবস্থায় জড় বস্তুর ন্যায় অপমানকর (যান্ত্রিক আসনের ওপর) স্থান নির্ধারন করিয়া রাখিয়াছি। 

তোমরা কি বোঝ না ইহা আমি (তাহাদের নেতার জন্য) দুনিয়ার শাস্তি স্বরূপ পাঠাইয়াছি?

অতঃপর তোমরা কী করিয়া ভুলিয়া যাও যে সে (তাহার প্রভু শয়তানের সাহায্য লইয়াও) তাহার অক্ষমতা কাটাইয়া উঠিতে পারে না।

নিশ্চয়ই আল্লাহ শয়তানের ওপর ক্ষমতা ধারণ করেন।

মুমিনগন কি করিয়া অস্বীকার করিবে (আল্লার কুদরত)!

তাহারা তো (তাহাদের স্বীয় চক্ষে) দেখিয়াছে কী করিয়া আমি ধীরে ধীরে তাহাকে বিকলাঙ্গ করিয়াছি, অতঃপর তাহাকে আবার (সীমিত শক্তি দিয়া) চলার শক্তি দিয়াছি।

ঠিক যেভাবে (হে রাসুল) আপনাকে দিয়া চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত করাইয়াছিলাম!

ইহাই কি তোমাদের (মৃত্যুর পরে আবার) পূনর্জাগরণের প্রমাণ নয়?

তোমরা কি অস্বীকার করিতে পার যে (ইস্তিফান আল-হাকিম) তাহার জবান ব্যাবহার করিয়া (তাহার কুফরি বাক্য) বলিতে অক্ষম?

তথাপী (শয়তান) তাহাকে ভাব প্রকাশ করিবার নিমিত্তে যন্ত্রগনক তৈয়ার করিয়া দিয়াছে যাহাতে সে (মহান আল্লার বিরুদ্ধে) গ্রন্থ প্রকাশ করিতে পারে।

কিন্তু হে মুমিনগন, (তোমরা নিশ্চিত জানিয়া রাখ যে) শয়তানও আল্লারই সৃষ্টি।

এবং আল-হাকিমের গ্রন্থপ্রকাশ সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ অবগত, উহা আমি অনুমোদন না করিলে সে (গ্রন্থপ্রকাশ) করিতে পারিত না। 

সুতরাং আল-হাকিম (আল্লার সৃষ্টি) ছাড়া বাঁচিয়া থাকিতে পারিবে না।

তথাপি তাহারা কেন (শয়তানের প্ররোচনায়) আল্লাকে অস্বীকার করে ও স্বীয় গ্রন্থাবলী রচনা করে যাহা আমি বুঝিতে অক্ষম।

হে ইমানদারগন, (নিশ্চয়ই) আমি সর্ববিষয়ে জ্ঞানী ও (আমার) অজ্ঞাতে কিছুই ঘটে না।

আমিই কি সেই ব্যক্তি না যে (তোমাদিগের জন্য) রাসুল মনোনয়ন করিয়া প্রেরণ করিয়াছি ও (সেই সাথে) আল-হাকিমকেও, যাহাতে তোমরা হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য করিতে পার?

তোমরা কি অস্বীকার করিবে যে আমি পূর্বকালের ন্যায় (বর্তমানেও) সফলকাম হইবো না?

অতঃপর (হে মুমিনগন) তোমরা তোমাদিগের জন্য নির্ধারিত গ্রন্থ ছাড়া আর সব গ্রন্থ অস্বীকার করো ও তাহাতে অগ্নিসংযোগ কর।

(যদিও আমি যা চাই না) তাহা তোমরা কখনোই ধ্বংস করিতে পারিবে না।

আল্লাহ যেমন কোরান সংরক্ষণ করেন, ঠিক সেইরূপ অন্য অন্য কুফরি কিতাবের সহিত আল-হাকিমের গ্রন্থও তিনিই রক্ষা করিবেন যাহাতে (তোমরা ভবিষ্যতে) সাবধান হও।

এবং এইরূপ গ্রন্থ রচনা ও পাঠ হইতে (নিজেরা) বিরত থাক ও (অন্যান্যদেরও) বিরত রাখ।

যদি তোমরা (তাহা করিতে) ব্যর্থ হও তবে (তাহাদিগকে) হত্যা করো যাতে তাহারা কুফরী পথে গমন করিতে না পারে, যদিও সমস্ত হায়াত ও মওতের মালিক আল্লাহ।

(হে মুমিনগন) আমি তোমাদের আল্লার সেই সুসংবাদ প্রেরণ করিয়াছি যে (তোমাদের জন্য) জান্নাতে আমি রাখিয়াছি সুমহান মর্যাদা, আরাম আয়েশ ও ৭২টি কুমারী হূরী ও অসংখ্য কচি বালকের ন্যায় ধপধপে গেলমান।

যাহাদিগের সহিত তোমরা চাহিবামাত্র যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে সহবত করিতে পারিবে।

অতঃপর তোমরা আল্লার প্রেমে মাতোয়ারা হইয়া একমাত্র তাহার ইবাদাত কর ও স্বীয় স্ত্রী ও কন্যাদিগের (গোপনাঙ্গের) হেফাজত করো।

এবং (তাহাদিগকে ব্যবহার কর) তাহাদিগের মধ্যে যাহাদিগকে (তোমাদিগের জন্য) বৈধ করেছি।

নিশ্চই তাহারা তোমাদিগের জন্য শষ্যক্ষেত্র স্বরূপ।

(তোমরা নিশ্চই জান) আল্লাহ সবার উপর দয়াশীল।

আল্লাহ (তাহার) শত্রুদের জন্যও এক ও একাধিক পত্নি ও সন্তানাদি রাখিয়াছেন।

এমনকি আল-হাকিমের জন্যও, যদিও তাহারা তাহাদের পূর্ববর্তীদিগের ন্যায় (অনন্তকাল) জাহান্নামের আগুনে পুড়িবে।

নিশ্চই আল্লাহ মহান ও আল-হাকিম ও শয়তানের ওপর কর্তৃত্বকারী প্রভু ও আল-হাকিন নিশ্চয়ই কোনো একদিন মৃত্যুবরণ করিবে।

না-বলা কথা


এঁকেছেন ইঁদুর 

আমার মাঝে সাঝে এই তাবলিগের পাব্লিকগো এইটা কইতে ইচ্ছা করে! কইতে তো পারি না, তাই কার্টুন আঁকাইলাম! 

(ছবিতে ক্লিক করে পূর্ণাকারে দেখুন)

ঐশী প্ল্যান ও প্লেনের প্রোপেলর


আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটে, সব ঈশ্বর-কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত। যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দাবিটা পাতে নেয়ার যোগ্য না হলেও বিশ্বাসীর রহস্যমণ্ডিত মস্তিষ্ক কিন্তু সেটাই বিশ্বাস করে। শুধু কি তাই, মানুষের যাবতীয় কীর্তির কৃতিত্বও মমিনেরা ঈশ্বরকেই দিয়ে থাকে! 

মাত্র তিন মিনিটের ভিডিও।


মমিন মস্তিষ্ক মিরাকলময়


পাঠিয়েছেন শয়তানের চ্যালা 

ইদানীং ইসলামি মিরাকলে ফেসবুক ছেয়ে যাচ্ছে। এসব মিরাকলের সাথে বিজ্ঞান গুলিয়ে সুস্বাদু করে তোলা হয়। মুমিন ভাইরা এসব মিরাকল খেয়ে খেয়ে তাদের ইমান পাকাপোক্ত করে, চোখ বুঝে গদগদ হয়ে লাইক শেয়ার সুবানাল্লা কমেন্ট করে নেকী কামাই করে, তাছাড়া যেসব পেজ এসব শেয়ার করতে উৎসাহিত করে তারাও চামে কিছু মেম্বার বাড়িয়ে নেয়।

আমাদের উচিত নিত্যনতুন এমন মিরাকল আবিষ্কার করা। যেমন এই ছবিটিই বিশ্লেষণ করা যাক।


ছবিতে নামাজের বিভিন্ন ভঙ্গির সাথে আরবী অক্ষরে "আহমাদ" শব্দের মিল দেখাতে হবে। লাল কালিতে দেখানো হয়েছে মূল মিল। কিন্তু সেভাবে মিল দেখালে তো মিলবে না। তাই ইচ্ছামত কালো কালি দিয়ে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। হাত পা যে দিকেই থাকুক মূল শব্দের সাথে মিল রেখে শরীরের উপর আঁকিবুকি দিয়ে যান। ছবির নিচে মুহম্মদ সঃ, আল্লাহ, ইসলাম ইত্যাদি শব্দ জুড়ে দিন। মিল-অমিল নিয়ে মুমিন ভাইদের প্রশ্ন করার পথটি তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে।

ব্যস, হয়ে গেল একটি মিরাকল!!! দারুণ না?

এবার ব্রেইনের সাথে সেজদা ভঙ্গিটি মিলাতে হবে। 

নামাজ-দোয়া-মোনাজাত ইত্যাদি ছবিতে বাচ্চাদের ছবির বেশ কদর। অনেক কট্টর মুমিন ভাইয়ের প্রফাইল ছবিতে এজন্য ছোট অবুঝ শিশুদের বোরখা-টুপি পরিহিত অবস্থার ছবি দেখা যায়। সহানুভূতি আদায়ের একটা কৌশল আরকি। কাজেই এ ধরনের মিল দেখানোর সময় বাচ্চাদের ছবি ব্যবহার করলে ফল ভাল দেয়।

এবার ব্রেইনের ছবির দিকে মনোযোগ দেই। ব্রেইনের Cerebellum অংশের সাথে মাথাটা মিলানো যায়। Cerebrum অংশে শরীরটাও এঁটে দেয়া যায় কোনোরকমে। Temporal Lobe এর ভাজটা হাটুর ভাজের বিপরীতদিকে পড়ে। কিন্তু নিচে ইসলাম, মুহম্মদ, আল্লাহ ইত্যাদি শব্দ জুড়ে দিলে মুমিন ভাইরা এসব খেয়ালই করবে না। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আরেকটি সহি ইসলামি মিরাকল!!! এরপরে আপলোড করে দিন, দেখবেন লাইক, সুবানাল্লা, আলহামদুলিল্লা, শেয়ারের ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছাস বয়ে যাচ্ছে। 

তবে এত মিলানোর পরেও একটা সমস্যা রয়ে যায়। মিলের বিশ্লেষণ করে খেয়াল হল, ব্রেইনের যে অংশে বাচ্চাটির মাথা দেখানো হয়েছে সেটা আসলে ব্রেইনের পশ্চাৎ ভাগ (সাদাকালো ছবি অংশ দ্রষ্টব্য) । অর্থাৎ এই ছবি অনুযায়ী কেউ যখন কাবার দিকে ফিরে সেজদা দেয় তখন ব্রেইন আবার সেই কাবার দিকে পাছা উচকে রেখে উল্টো দিকে সেজদা দেয়! বড়ই সর্বনাশা ব্যাপার!

তবে যা হবার হয়ে গেছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ক্যাপশনে ইসলাম শব্দটি রাখলে কেউ এ নিয়ে টুঁ শব্দও করবে না। তাছাড়া মুমিন ভাইদের এসব দেখার সময় আছে নাকি! ইসলামি মিল পাইলেই হইল।

যেমন এই লিঙ্কে গেলে দেখতে পাবেন, একটি পেজে ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৮১৫ বার, লাইক পড়েছে তিন হাজারেরও বেশি। কমেন্ট পড়েছে ৩২৭ খানা।

শুধু বাংলাদেশের পেইজগুলোতেই এই ছবি অসংখ্যবার শেয়ার করা হয়েছে। অন্য মুসলিম দেশের হিসাব না হয় বাদই দিলাম। 

সকলের জীবন এমন ইসলামী জ্ঞানে ভরা মিরাকলময় হোক। আমিন।

মোবাইল ফোনে শেয়ার লিঙ্কঃ http://on.fb.me/yqSXYg


ওপরের নোটটি আমরা সত্য কথা বলি তাই আমরা "বেয়াদপ" পেইজে প্রকাশ করা হলে তাতে কিছু মজাদার মন্তব্য পড়ে। কয়েকটি নমুনা: 

ফেসবুকীয় মুমিন বান্দাদের ঈমান নুনুর মত। রগরগা কিছু দেখলে যেমন নুনু ফটাক করে দাঁড়ায় যায়, তেমনি কবুতরে/গাছে/মাছে ও বিভিন্ন জিনিসের গায়ে আঁকা আল্লার নাম দেইখাও তাদের ঈমানুভুতি তড়াক করে খাড়ায় যায়। এবং ঐ পোস্টে সুভানাল্লাহ/আলামদুলিল্লাহর ঝড় বয়ে যায়।

ধর্ম মানেই অন্ধ বিশ্বাস, আর অন্ধবিশ্বাসকারীদের দ্বারাই এমন যুক্তি-প্রমাণহীন ছবি দিয়েই তাদের বোকা বানানো সম্ভব হয়।

সুভানাল্লাহ! বুঝতে পারলাম আমার নু*টা পেঁচিয়ে আন্ডারওয়্যার এর ভেতরে যখন রাখি, সেটা আসলে সেজদার ভঙ্গিতেই ভাঁজ হয়ে থাকে। অতএব তোমরা খোদার কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে (আপনেও বড় নু* ভাঁজ কইরা রাখলে লাইক দেন গা :-D ) 


কামাসুট্রার অনেক পজিশন নামায থেকে চুরি করা হইসে। কাফেরের বাচ্চারা শুধু কাফেরই না, চোরও! 


Nazmul Hossain আর মুমিন মস্তিষ্ক মিরাকলের আস্তানা। 


নবিজি আসার হাজার হাজার বছর আগে সনাতন ধর্মের মানুশ ঠিক সেজদা দেবার মত করেই তাদের কল্পিত ঠাকুর, দেবতাদের প্রনাম করত । এমনকি এখনো হিন্দুরা তাদের বাসায় পুজার বেদিতে বা আসন এ উদ্ভট মুরতিগুলর সামনে একি ভাবে প্রনাম করে । তাহলে কি পাঁঠাদের patent করা মিরাকল ছাগুরা চুরি করে লাফালাফি করছে ? খাইসে , মিরাকল এর এই patent নিয়ে আবার ছাগু পাঁঠা দাঙ্গা না লেগে যায় ...... 

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১২

ধর্মাবিষ্ট হলে বল্দার্গুও সুমিষ্ট


Faith by definition is believing in things without evidence, and personally I don't do that, because I'm not an idiot! 

পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের ধার না ধেরে বিবিসি-র এক টক শোতে ওপরের কথাগুলো বলে মমিনজগতে শোরগোল তুলেছিলেন ব্রিটিশ যে স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান Kate Smurthwaite (না দেখে থাকলে ছোট্ট দ্বিতীয় ভিডিওটি আপনার জন্য); পনেরো মিনিটের আরেকটি টক শোতে তাঁকে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেল। যদিও তাঁকে ও তাঁর পক্ষকে খুব বেশি কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি, তবে তাঁর স্বল্প সময়ের পারফরমেন্সটিও দারুণ উজ্জ্বল। ভিডিওটি দেখে আরও একবার নিশ্চিত হোন: প্রাপ্তবয়স্ক ও শিক্ষিত লোকেরাও ধর্মাবিষ্ট হয়ে কী ধরনের বল্দার্গুতে বিশ্বাস করতে পারে! 



ধর্মগুরু হইবার রেসিপি


লিখেছেন জুপিটার জয়প্রকাশ 

আপনি কি ধর্মীয় জগতে বিপ্লব করে একজন ধর্মপ্রণেতা হতে চান? তাহলে এই রেসিপি আপনার জন্য। কিন্তু এই রেসিপি সফলভাবে প্রয়োগ করার জন্য আগে হিউম্যন সাইকোলজি নামক একটি মজার বিষয়ে কিছু জ্ঞান লাগবে। আসুন তবে, জ্ঞান দেওয়া শুরু করি।

প্রত্যেক মানুষের সাধারণ স্বভাব হল: 

১. তারা এখন এখন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে ভাল অবস্থায় থাকতে চায়।

২. তারা শর্টকাট ভালবাসে। কম পরিশ্রমে বেশি ফল পেতে চায়। অন্য কেউ তার কাজ করে দিলে আরো খুশি হয়।

৩. তারা প্রশংসা পছন্দ করে। নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করে।

৪. তারা বাড়িয়ে গল্প বলতে ভালোবাসে।

৫. অজানা জিনিষের প্রতি তাদের মনে ভয় এবং কৌতূহল দুইই থাকে। তারা নিজে নিরাপদে থেকে জ্ঞান চায়।

এইবারে আসুন দেখি কিভাবে এই মানবিক ধর্মগুলোকে কাজে লাগিয়ে তাদের কাছে ভাল হবেন: 

১. প্রথমেই আপনাকে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। তবেই তারা আপনার কাছে জড়ো হবে। মনোযোগ আকর্ষণের একটা পথ হল, কোনো প্রচলিত বিশ্বাসের উপরে প্রশ্ন তোলা। যেমন “মূর্তিপূজা করে কী হয়?” ইত্যাদি। বা জ্ঞানগর্ভ কথা, কিম্বা মানুষের উপকার করা এইসব। সাহিত্য, গান, ইত্যাদিও চলবে। দেখবেন, কিছু কিছু করে মানুষ আপনার দিকে মনযোগ দেবে।

২. এবারে প্রচার করতে হবে যে, মানুষের বড় দুঃখ। আপনি সেই দুঃখ দূর করার উপায় তালাশ করছেন। যেহেতু সব মানুষই নিজের বর্তমান অবস্থাকে আরো ভাল করতে চায় কাজেই তারা আপনাকে ভালবেসে ফেলবে।

৩. কিছু কিছু মানুষ আপনার কাছে আসবে। আপনাকে তাদের দুঃখে গলে যেতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, তারা না জেনে ভুল করে এসেছে বলেই তাদের এত দুঃখ।

৪. আপনি যখনই তাদের বলবেন যে, ঈশ্বরকে ভক্তি করে ডাকলে তিনি তাদের দুঃখ দূর করবেন, তখনই কথাটা তাদের দারুণ পছন্দ হবে। (কারণ তারা শর্টকাট ভালবাসে। অন্য কেউ কাজটা করে দিলে খুশি হয়।)

৫. চুরি, ঘুষ, মাতলামি ইত্যাদি কাজ, যেগুলো সবাই খারাপ বলে জানে, সেগুলোর ব্যাপক নিন্দা করতে হবে। এতে আপনার খ্যাতি আম পাব্লিকের মধ্যে ছড়াবে। সকলেই আপনাকে একজন সৎ মানুষ বলে জানবে।

৬. আপনি তাদের প্রশংসা করলে তারা সহজে আপনার নিন্দা করবে না।

৭. তারা যখন আপনাকে পছন্দ করবে তখন অন্যের কাছে বাড়িয়ে গল্প করবেই। (কারণ এতে সে নিজেকে বুদ্ধিমান প্রমাণ করার সুযোগ পাবে) । এতে আপনার প্রচার হবে।

৮. এই সময়ে সকলের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। অন্য ধর্মকে খারাপ বলা চলবে না। বললে ইঁটের জবাবে পাটকেল খাবেন। 

দ্বিতীয় ধাপ হল যে, তারা আপনার প্রতিটি কথা বিশ্বাস করবে। 

১. আপনাকে সোজা কথাকে একটু ঘুরিয়ে বলতে হবে। এমন কথা বলতে হবে যেটা সকলেই জানে। কিন্তু এমন ভাবে বলতে হবে যাতে প্রথমে শুনে নতুন কিছু মনে হয়। এতে লোকে আপনাকে জ্ঞানী ব্যক্তি বলে মনে করবে।

২. এই পর্যায়ে আপনার কিছু চামচা দরকার হবে। যারা আপনাকে ঘিরে বসে আপনার পছন্দমত প্রশ্ন করবে। আপনি তার উত্তর দেবেন। তারা জয়দ্ধ্বনি করবে। তারা যে আপনার কথা নির্বিচারে বিশ্বাস করে দারুণ লাভবান হয়েছে এই কথা প্রচার করবে।

৩. আপনার সাথে যে ঈশ্বরের যোগাযোগ আছে, সেই কথা এই সময়ে ইশারায় জানাতে হবে। কোনো প্রশ্ন শুনে মাঝে মাঝে চোখ বুঁজে বসে থাকবেন, কিছুক্ষণ পরে চোখ খুলে উত্তর দেবেন। কখনো অজ্ঞান হয়ে যেতে হবে। কখনো বা “প্রভু হে... সকলই তোমারই ইচ্ছা’ বলে স্লোগান দিতে হবে।

৪. লুকিয়ে কিছু পড়াশুনা করা লাগবে। কিছু লোক লাগিয়ে খবর যোগাড় করতে হবে। পরে আপনার জানা (অন্যের অজানা) কথাগুলো এমন কায়দা (আগেরটা দেখুন) করে বলতে হবে যাতে আম লোকের মনে হয় সেগুলো সোজা ঈশ্বরের কাছে থেকে পেলেন।

৫. কিছু ভাড়াটে লোক রাখতে হবে যারা এসে আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে। আগে থেকে শিখিয়ে রাখা অদ্ভুত প্রশ্ন করবে (যেমন বলতে পারে যে, আমার কয়টা পোলা? কিম্বা আমার পকেটে কয় টাকা আছে?) আপনি তার উত্তর দিয়ে সবাইকে চমকে দেবেন।

৬. গোটা কয় লোককে কানা খোঁড়া সাজিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আপনার বিশেষ চেলা বাহিনী বেছে বেছে তাদের আপনার কাছে আনবে। যাতে কোনো আসল কানা-খোঁড়া না এসে যায়। তার পরেও যদি কেউ এসেই পড়ে তাদের ইমান যে অতি দুর্বল তাতে সন্দেহ করা চলবে না। খুব বেশি ঠেকায় পড়লে অজ্ঞান হয়ে ঈশ্বরের সাথে মিটিং শুরু করে দিন।

৭. বড় করে সভা করুন। আপনার ঈশ্বরের মহিমা নিয়ে লেকচার দিন। সব যে আপনার নিজের অভিজ্ঞতা সেই কথা জোর গলায় প্রচার করুন।

৮. আপনার অলৌকিক ক্ষমতার কথা বাজারে ছড়াতে হবে। কিছু লোক রাখুন যারা নিজের চোখে এইসব দেখেছে বলে দাবী করবে। বাস্তবে এই ঘটনা ঘটানোর কোনো দরকার নাই। কেবল কয়েকজন সাক্ষী আর ব্যাপক প্রচার চাই। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে, দর্শকদের ঘড়ির সময় বদলে দেওয়ার ম্যাজিকের গল্প অনেকেই বিশ্বাস করেন। কিন্তু বাস্তবে এমন ম্যাজিক কেউ কখনোই দেখান নাই।

৯. কোনো ঘটনা ঘটার পরে প্রচার করতে হবে যে আপনি সেই বিষয়ে অভ্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এই অভ্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী প্রমাণ করার জন্য আপনার ‘হয়রাণ ভাই’ বা ‘মাহফুজ ভাই’ বা ‘ইয়াজিদ সিকান্দার ভাই’ এর মত কিছু ভক্ত লাগবে। এছাড়া জনাদশেক সাধারণ চামচা লাগবে যারা তাদের জীবনে আপনার কথা এক্কেবারে মিলে যাবার কথা বলে বেড়াবে।

১০. নিজেই ভবিষ্যদ্বাণী  করা শুরু করুন। তার জন্য আগে নস্ট্রাডামুস মশাইয়ের লেখাগুলো পড়তে পারেন। এই বিষয়ে অনেক সাইট আছে।

উপরের সব কাজগুলি সঠিক ভাবে করতে পারলে আপনার সম্পর্কে মানুষের ধারণা হবেই যে, আপনি কারো খারাপ চাইতেই পারেন না। আপনি কখনো ভুল বলতেই পারেন না। আপনার সঙ্গে ঈশ্বরের সরাসরি যোগাযোগ আছে বলেও অনেকে মনে করবে।

তৃতীয় ধাপ হল কিছু ধর্মীয় বিধান চালু করা: 

১. আপনি যা করেন বা বলেন তা সবই ঈশ্বরের নির্দেশে, আপনার কথা শুনে যারা চলে তাদের যে বেহেস্ত নিশ্চিত এই কথা সরাসরি বলে ফেলুন।

২. যারা আপনার মতের বিরুদ্ধে যায় তারা যে ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই বেকুবি করে সেটাও বলে ফেলুন। তবে সেটা করার আগে তাদের ক্ষমতার মাপ নিতে হবে। পাটকেল খাবার ভয় থাকলে বলুন যে, তাদের ঈশ্বর আর আপনার ঈশ্বর আসলে একই। কিন্তু তার পরেও ইশারায় জানান যে আপনারটা বেশি সহজ।

৩. যেভাবে ছেলেপিলের নাম দেয় সেভাবেই আপনার ঈশ্বরের একটা নাম ঠিক করুন, যেটা ইউনিক হবে (পরম দয়াল, সর্বশক্তিমান ইত্যাদি)।

৪. একটি উপাসনা পদ্ধতি বানান। ইউনিক না হলেও চলবে। আপনার অনুগামীদের নেচার বুঝে সেটা বানাতে হবে।

৫. আপনার বিধানগুলো যে মানুষের ভালোর জন্য, এগুলো না মানলে যে মহা সর্বনাশ নিশ্চিত, সেই কথা পরিষ্কার করে বলুন। যারা মেনে চলবে তাদের জন্য দারুণ পুরষ্কার এবং বাকিদের জন্য বেদম শাস্তি অপেক্ষা করছে, এই কথাও বলে দিন।

আপনার ধর্মীয় বিধানগুলো কেমন হবে? 

১. প্রথমেই দিন একটা লম্বা লিস্ট, চুরি, ডাকাতি, খুন, মিথ্যাকথা, নেশা আরো কী কী কাজ খারাপ। আর একটা লিস্ট দিন ভালো কাজের, এতে সততা, পরোপকার, জ্ঞান অর্জন, অন্যকে সম্মান, হিংসা না করা ইত্যাদি ভালো জিনিস দিন। এতে আপনি ভালো লোকেদের দলে পাবেন।

২. নারীজাতির অধিকার, সুরক্ষা ইত্যাদি নিয়ে কিছু বুলি ছাড়ুন। এতে ভদ্রলোকেরা এবং মেয়েরা আপনার দলে এসে যাবে।

৩. বলুন ‘আপনার ধর্মে ধনী-গরিব সমান।' এতে গরিবেরা আপনার দলে এসে যাবে। গরিবদের না হলে যেহেতু ধনীদের চলেনা, তারাও নিজেরাই এসে যাবে।

৪. এবারে বলুন যে, সত্যকে রক্ষার জন্য সংগ্রামে রক্ত ঝরাতে ভয় পাওয়া উচিত না। এই বুলি শুনে সংগ্রামী বীরের দল আপনার দলে এসে যাবে।

৫. বলুন ক্ষমাই পরম ধর্ম। এতে যারা দায়ে পড়ে অপরাধী তারা আপনার দলে এসে যাবে।

৬. বলুন অসাধুর সঙ্গে (মানে যারা আপনার দলে নয়) যুদ্ধ করা ভাল কাজ। এতে লড়াইবাজ লুটেরার দল আপনার দলে এসে যাবে।

৭. বলুন আপনার ধর্মে পাপীদের পাপ দূর করে তাদের বেহেস্তে পাঠাবার ব্যবস্থা আছে। এতে দলে দলে বদলোক আপনার দলে এসে যাবে।

এইভাবে এমন একটা ধর্ম বানান, যাতে সকলের সুবিধা হয়। দল ভারি হওয়ার পর আপনি সেই দলের মেজাজ বুঝে দেখুন যে, কাদের মন জোগালে আপনার লাভ। যদি দেখেন লড়াইবাজ লোকের দাম বেশি তবে জেহাদ লাগান। যদি মর্দ জোয়ানের দাম মেয়েদের চেয়ে বেশি বোঝেন তবে বৌ পিটানোর বিধান দিন। দুবলারা ঝামেলায় জিততে না পেরে মাথা নামিয়ে মেনে নেবে।

কিন্তু যতদিন দল ভারি না করতে পারেন, ততদিন শান্তির বুলি ছাড়া অন্য কিছু মুখে আনবেন না। অবশ্য মুখে শান্তির বুলি সারা জীবনই চালাতে হবে।

এইভাবেই আপনি হয়ে যাবেন একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তক। যাতে বিজ্ঞানী থেকে অজ্ঞানী সবার জন্য সস্তায় পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা থাকবে।

আপাততঃ এই পর্যন্তই থাক। আশা করি কারো বুঝতে অসুবিধা হলে জানাবেন। তাঁর জন্য আরো ডিটেলে দেওয়া যাবে।

নির্ধার্মিক মনীষীরা – ৫১


নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে লিখেছিলেন: 

All thinking men are atheists.

ঈশ্বর ও ধর্ম বিষয়ে অদূর-অতীতের ও সাম্প্রতিককালীন তিরিশজন খ্যাতিমান লেখকের দুর্দান্ত এক ভিডিও-মন্তব্য সংকলনের সন্ধান পেলাম। না দেখাটা ঘোর অনুচিত হবে। 

লেখক তালিকা: 
1. Sir Arthur C. Clarke, Science Fiction Writer
2. Nadine Gordimer, Nobel Laureate in Literature
3. Professor Isaac Asimov, Author and Biochemist
4. Arthur Miller, Pulitzer Prize-Winning Playwright
5. Wole Soyinka, Nobel Laureate in Literature
6. Gore Vidal, Award-Winning Novelist and Political Activist
7. Douglas Adams, Best-Selling Science Fiction Writer
8. Professor Germaine Greer, Writer and Feminist
9. Iain Banks, Best-Selling Fiction Writer
10. José Saramago, Nobel Laureate in Literature
11. Sir Terry Pratchett, NYT Best-Selling Novelist
12. Ken Follett, NYT Best-Selling Author
13. Ian McEwan, Man Booker Prize-Winning Novelist
14. Andrew Motion, Poet Laureate (1999-2009)
15. Professor Martin Amis, Award-Winning Novelist
16. Michel Houellebecq, Goncourt Prize-Winning French Novelist
17. Philip Roth, Man Booker Prize-Winning Novelist
18. Margaret Atwood, Booker Prize-Winning Author and Poet
19. Sir Salman Rushdie, Booker Prize-Winning Novelist
20. Norman MacCaig, Renowned Scottish Poet
21. Phillip Pullman, Best-Selling British Author
22. Dr Matt Ridley, Award-Winning Science Writer
23. Harold Pinter, Nobel Laureate in Literature
24. Howard Brenton, Award-Winning English Playwright
25. Tariq Ali, Award-Winning Writer and Filmmaker
26. Theodore Dalrymple, English Writer and Psychiatrist
27. Roddy Doyle, Booker Prize-Winning Novelist
28. Redmond O'Hanlon FRSL, British Writer and Scholar
29. Diana Athill, Award-Winning Author and Literary Editor
30. Christopher Hitchens, Best-Selling Author, Award-Winning Columnist


দু'টি ছবি


পাঠিয়েছেন আরিফুর রহমান


পাঠিয়েছেন শয়তানের চ্যালা


সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১২

কোরান কুইজ – ১৩


নিশ্চয়ই মোমিন মুসলমানগণ কোরান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন। বেয়াড়া নাস্তিকগনও নিজেদেরকে কোরান-অজ্ঞ বলেন না কখনও। তাই মুসলিম-নাস্তিক নির্বিশেষে সকলেই অংশ নিতে পারেন কোরানের আয়াতভিত্তিক এই ধাঁধা প্রতিযোগিতায়। এই সিরিজের মাধ্যমেই তাঁরা নিজেদের কোরান-জ্ঞান যাচাই করে নিতে পারবেন।

প্রশ্ন ১৯. কোরান কি সবার জন্য সহজ ও সর্বজনবোধ্য?
ক) হ্যাঁ
খ) না

(স্ক্রল করে নিচে উত্তর দেখুন)

.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.

উত্তর ১৯. সব উত্তরই সঠিক!
(সুরা ১১.১, ৩.৭) 

কোরানের তিনটি ভিন্ন অনুবাদ একসঙ্গে পাওয়া যাবে এখানে

** কৃতজ্ঞতা: আবুল কাশেম।