ধর্মপচারকের সূত্র: অধিকাংশ আস্তিকের ধর্মবিশ্বাস ও ঘৃণা সমানুপাতিক।
আমেরিকার এক পাবলিক স্কুলে একটি বোর্ডে প্রার্থনা খোদাই করা আছে দেখে এক স্কুলবালিকার মনে হয়েছিল, স্কুল ধর্মচর্চার স্থান নয় এবং স্কুলভবনে প্রার্থনা-বোর্ড অসংবিধানিক। তখন সে পিতার মাধ্যমে আদালতের শরণ নেয়। এ বিষয়ে ধর্মকারীতে একটি পোস্টও গিয়েছিল গত বছরের এপ্রিল মাসে: এমন তেজী ও দৃঢ়চেতাদেরকেই দরকার আজ।
তো বিচারশেষে আদালত রায় দিয়েছে তার পক্ষে। এখন স্কুল কর্তৃপক্ষকে সরিয়ে ফেলতে হবে সেই বোর্ড।
মেয়েটি স্রেফ চেয়েছিল তার সংবিধানসম্মত অধিকার ফিরে পেতে। কিন্তু দীর্ঘকাল জুড়ে নানাবিধ অন্যায্য অধিকার বিনা বাধায় ভোগ করার সুখ থেকে বঞ্চিত হতে অধিকাংশ বিশ্বাসীর অনড় অনীহা পর্যবসিত হয়ে পড়ে জান্তব ক্ষোভে, ক্রুর ক্রোধে, হায়েনার হিংস্রতায়। নগ্ন হয়ে পড়ে তাদের বিশ্বাসময় মানসপট।
বিচার চলাকালে এবং রায় ঘোষণার পর মেয়েটিকে অকল্পনীয় চাপ সহ্য করতে হয়েছে স্কুলে এবং সমাজে। সকলে তাকে টিটকারি করেছে, অপমান করেছে পদে পদে। ইন্টারনেটে তার সম্পর্কে বলা হয়েছে অশ্লীল, কুৎসিত কথা, ব্যক্ত করা হয়েছে বিবিধ বিকৃত বাসনা, প্রকাশ করা হয়েছে তার বাসার ঠিকানা। বিস্তারিত পড়ুন এখানে (নিচে কিছু স্ক্রিনশটও দেয়া হলো)।
কিন্তু অত্যন্ত সবল মানসিক শক্তির অধিকারী এই মেয়ে হতোদ্যম হয়নি। রায়ের পরে তার প্রতিক্রিয়া জানানো সাক্ষাৎকার (নিচে এমবেড করা ভিডিও) দেখে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।
আরও একটি প্রীতিকর সংবাদ হলো, সাহসী মেয়েটির এই সংকটের সময় তাকে সর্বতোভাবে সমর্থন যুগিয়ে এসেছে American Humanist Association, স্কুল পাশ করে কলেজে ভর্তি হবার পর তার জন্যে স্কলারশিপের ব্যবস্থা করছে Friendly Atheist নামের ব্লগ, ইতোমধ্যে সংগৃহীত হয়েছে সাড়ে পনেরো হাজার ডলার।
এখন দেখুন আস্তিক মানসপটের বেশ কিছু স্ক্রিনশট।
আদালতের রায়ের পরে মেয়েটির দেয়া সাক্ষাৎকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন