লিখেছেন থাবা বাবা
(কদিন আগে স্টিফেন হকিং এর জন্মদিন গেল... হায়াত শেষ হয়ে গেলেও স্টিফেন হকিং এখনো দিব্যি বেঁচে আছেন। তাই আল্লা ক্ষেপে গিয়ে এই সূরাখানা আমার ওপর নাজিল করেছেন... বলেন আমিন!)
শপথ উটমূত্রের, (যাহারা তাহা প্রত্যাখ্যান করিয়াছে) তাহাদের জন্য রহিয়াছে নিশ্চিত মৃত্যু যাহা আমি (তাহাদের জন্য) নির্ধারণ করিয়াছি।
তাহারা শীঘ্রই (মৃত্যুমুখে) পতিত হইবে, যাহা তাহারা ভীত হয় ও মুখোমুখি হইতে চায় না।
আর যাহারা প্রশ্ন করে সময় লইয়া ও স্থান লইয়া যাহা আমি স্বীয় আরশ স্থাপনের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি (তাহাদিগের জন্য) রহিয়াছে পঙ্গুত্বের ব্যাধি যাহা (তাহাদের পক্ষে) এড়ানো সম্ভব হইবে না।
অতঃপর তাহারা মৃত্যুমুখে পতিত হইবে যাহা আমি তাহাদের জন্য নিশ্চিত করিয়াছি এবং তাহাদের নেতা ইস্তিবান আল-হাকিম এর জন্য রাখিয়াছি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাধি যাহার কথা (সে স্বীয় জবানে কাহাকেও) বলিতে পারিবে না অথবা তাহার যন্ত্রণার কথা।
অতঃপর যৌবনেই সে (রোগাক্রান্ত হইয়া) চলৎশক্তি রহিত হইবে ও নিশ্চিত মৃত্যুমুখে পতিত হইবে।
তথাপি তাহার মৃত্যু (নির্দিষ্ট সময়ের আগে) হইবে না ও তাহাকে আরো কষ্ট উপভোগ করাইবার জন্য আমি তাহাকে অনন্তকাল বাঁচাইয়া রাখিব।
নিশ্চয়ই মানুষকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন (চিরকাল) বাঁচিয়া থাকিবার জন্য সৃজন করেন নাই, তাই আল-হাকিমও নিশ্চয়ই কোনো একদিন মৃত্যুবরণ করিবে।
(কিন্তু জানিয়া রাখ) তাহার বালাই যাহা আমি (শুধু তাহারই জন্যই) পাঠাইয়াছি, তাহা জাহেল ও বাতেন দুনিয়ার কোন হেকিম নির্ণয় করিতে পারিবে না।
উহারা প্রতিবার (তাহার মৃত্যুর) ভবিষ্যদ্বাণী করিবে যদিও তাহাদের ঐসব (ভবিষ্যদ্বাণী) আমি পূর্বেকার ন্যায় নস্যাৎ করিয়া দেই।
কারণ হায়াত ও মউতের একমাত্র মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং তাহার ওপর অন্য কেউ (ভবিষ্যৎ বলিতে) পারে না।
আল্লাহ প্রতিবার (আল-হাকিমের) হায়াত বাড়াইয়া যাইতেছে।
তথাপি (তাহারা) বোঝে না আল্লার মহত্ব ও শক্তি।
উপরন্তু সে (শয়তানের প্ররোচনায় ও কালো যাদুর দ্বারা) আমার সৃষ্টি ও অস্তিত্ব লইয়া (পূর্বেকার ন্যায় পূণঃপূণঃ) প্রশ্ন করিয়া যাইতেছে।
তাহারা কি বোঝে না (তাহার জীবনরক্ষাকারী যন্ত্রের মতো) আল্লাহও সত্য!
আল-হাকিম ও তাহার অনুসারীরা কি দেখে না আল্লাহ কী করিয়া ইহুদী ও নাসাদের মাধ্যমে (তাহার জীবন রক্ষাকারী) যন্ত্র বানাইয়া পাঠাইয়াছে, তবু তাহারা (আমার আমার অস্তিত্বে) অস্বীকার করে!
তবে হে রাসুল, আপনি (মুমিনদিগকে ধৈর্য ধারনের) সুসংবাদ প্রদান করুন এবং (তাহাদিগের জন্য রহিয়াছে) অনন্ত জান্নাত ও পুরস্কার।
মুমিনগন, তোমরা (আল-হাকিমের) দীর্ঘ জীবন দেখিয়া বিভ্রান্ত হইয়ো না।
নিশ্চই সে একদিন তাহার পূর্ব নির্ধারিত মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াইবে (যাহা আল্লাহ) তাহার জন্য নির্ধারন করিয়া রাখিয়াছেন সৃষ্টির আদিতে।
হে মুমিনগন, তোমরা (আল্লার ক্ষমতা লইয়া) সন্দেহ করিও না এবং (আল-হাকিমের মৃত্যু লইয়াও) বিভ্রান্ত হইয়ো না!
আল-হাকিম সেই দিন মৃত্যুবরন করিবে যেই দিন আমি তাহার জন্য নির্ধারন করিয়া রাখিয়াছি এবং তোমরা (মহান আল্লায় তা-আলার ওপর) ইমান রক্ষা করিবে।
যদিও আমি জানি তোমরা প্রায়শই (শয়তানের চালে) বিভ্রান্ত হও, (শয়তান) তোমাদিগকে অন্ধ করিয়া দেয়।
কিন্তু তোমরা কি দেখ না যাহারা (আমার অস্তিত্ব লইয়া) প্রশ্ন করে আমি তাহাদের নেতা আল-হাকিমকে নাপাক অবস্থায় জড় বস্তুর ন্যায় অপমানকর (যান্ত্রিক আসনের ওপর) স্থান নির্ধারন করিয়া রাখিয়াছি।
তোমরা কি বোঝ না ইহা আমি (তাহাদের নেতার জন্য) দুনিয়ার শাস্তি স্বরূপ পাঠাইয়াছি?
অতঃপর তোমরা কী করিয়া ভুলিয়া যাও যে সে (তাহার প্রভু শয়তানের সাহায্য লইয়াও) তাহার অক্ষমতা কাটাইয়া উঠিতে পারে না।
নিশ্চয়ই আল্লাহ শয়তানের ওপর ক্ষমতা ধারণ করেন।
মুমিনগন কি করিয়া অস্বীকার করিবে (আল্লার কুদরত)!
তাহারা তো (তাহাদের স্বীয় চক্ষে) দেখিয়াছে কী করিয়া আমি ধীরে ধীরে তাহাকে বিকলাঙ্গ করিয়াছি, অতঃপর তাহাকে আবার (সীমিত শক্তি দিয়া) চলার শক্তি দিয়াছি।
ঠিক যেভাবে (হে রাসুল) আপনাকে দিয়া চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত করাইয়াছিলাম!
ইহাই কি তোমাদের (মৃত্যুর পরে আবার) পূনর্জাগরণের প্রমাণ নয়?
তোমরা কি অস্বীকার করিতে পার যে (ইস্তিফান আল-হাকিম) তাহার জবান ব্যাবহার করিয়া (তাহার কুফরি বাক্য) বলিতে অক্ষম?
তথাপী (শয়তান) তাহাকে ভাব প্রকাশ করিবার নিমিত্তে যন্ত্রগনক তৈয়ার করিয়া দিয়াছে যাহাতে সে (মহান আল্লার বিরুদ্ধে) গ্রন্থ প্রকাশ করিতে পারে।
কিন্তু হে মুমিনগন, (তোমরা নিশ্চিত জানিয়া রাখ যে) শয়তানও আল্লারই সৃষ্টি।
এবং আল-হাকিমের গ্রন্থপ্রকাশ সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ অবগত, উহা আমি অনুমোদন না করিলে সে (গ্রন্থপ্রকাশ) করিতে পারিত না।
সুতরাং আল-হাকিম (আল্লার সৃষ্টি) ছাড়া বাঁচিয়া থাকিতে পারিবে না।
তথাপি তাহারা কেন (শয়তানের প্ররোচনায়) আল্লাকে অস্বীকার করে ও স্বীয় গ্রন্থাবলী রচনা করে যাহা আমি বুঝিতে অক্ষম।
হে ইমানদারগন, (নিশ্চয়ই) আমি সর্ববিষয়ে জ্ঞানী ও (আমার) অজ্ঞাতে কিছুই ঘটে না।
আমিই কি সেই ব্যক্তি না যে (তোমাদিগের জন্য) রাসুল মনোনয়ন করিয়া প্রেরণ করিয়াছি ও (সেই সাথে) আল-হাকিমকেও, যাহাতে তোমরা হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য করিতে পার?
তোমরা কি অস্বীকার করিবে যে আমি পূর্বকালের ন্যায় (বর্তমানেও) সফলকাম হইবো না?
অতঃপর (হে মুমিনগন) তোমরা তোমাদিগের জন্য নির্ধারিত গ্রন্থ ছাড়া আর সব গ্রন্থ অস্বীকার করো ও তাহাতে অগ্নিসংযোগ কর।
(যদিও আমি যা চাই না) তাহা তোমরা কখনোই ধ্বংস করিতে পারিবে না।
আল্লাহ যেমন কোরান সংরক্ষণ করেন, ঠিক সেইরূপ অন্য অন্য কুফরি কিতাবের সহিত আল-হাকিমের গ্রন্থও তিনিই রক্ষা করিবেন যাহাতে (তোমরা ভবিষ্যতে) সাবধান হও।
এবং এইরূপ গ্রন্থ রচনা ও পাঠ হইতে (নিজেরা) বিরত থাক ও (অন্যান্যদেরও) বিরত রাখ।
যদি তোমরা (তাহা করিতে) ব্যর্থ হও তবে (তাহাদিগকে) হত্যা করো যাতে তাহারা কুফরী পথে গমন করিতে না পারে, যদিও সমস্ত হায়াত ও মওতের মালিক আল্লাহ।
(হে মুমিনগন) আমি তোমাদের আল্লার সেই সুসংবাদ প্রেরণ করিয়াছি যে (তোমাদের জন্য) জান্নাতে আমি রাখিয়াছি সুমহান মর্যাদা, আরাম আয়েশ ও ৭২টি কুমারী হূরী ও অসংখ্য কচি বালকের ন্যায় ধপধপে গেলমান।
যাহাদিগের সহিত তোমরা চাহিবামাত্র যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে সহবত করিতে পারিবে।
অতঃপর তোমরা আল্লার প্রেমে মাতোয়ারা হইয়া একমাত্র তাহার ইবাদাত কর ও স্বীয় স্ত্রী ও কন্যাদিগের (গোপনাঙ্গের) হেফাজত করো।
এবং (তাহাদিগকে ব্যবহার কর) তাহাদিগের মধ্যে যাহাদিগকে (তোমাদিগের জন্য) বৈধ করেছি।
নিশ্চই তাহারা তোমাদিগের জন্য শষ্যক্ষেত্র স্বরূপ।
(তোমরা নিশ্চই জান) আল্লাহ সবার উপর দয়াশীল।
আল্লাহ (তাহার) শত্রুদের জন্যও এক ও একাধিক পত্নি ও সন্তানাদি রাখিয়াছেন।
এমনকি আল-হাকিমের জন্যও, যদিও তাহারা তাহাদের পূর্ববর্তীদিগের ন্যায় (অনন্তকাল) জাহান্নামের আগুনে পুড়িবে।
নিশ্চই আল্লাহ মহান ও আল-হাকিম ও শয়তানের ওপর কর্তৃত্বকারী প্রভু ও আল-হাকিন নিশ্চয়ই কোনো একদিন মৃত্যুবরণ করিবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন