মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১২

ফতোয়াতুল মুসলিমা: ২০১১


ইসলামের দুটো বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত প্রকট: 
১. ইসলাম অমানবিক, বর্বর; 
২. ইসলাম পরম বিনোদনী, ননসেন্স গোছের রসোৎপাদনে তা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। 

দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানুন ধর্মকারীর স্বেচ্ছানুবাদকের করা চমৎকার অনুবাদে।

পাঠিয়েছেন ধর্মপ্রাণ প্লেবয়

২০১১ সালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো বলতে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক আন্দোলন ও স্বৈরশাসকের পতনের কথা আসে। কিন্তু বিচিত্র ও কিম্ভুত কিছু ফতোয়ার ছড়াছড়িতে এ সালটি আসলেই আলাদা ও অনন্য। 

সবচেয়ে ভাঁড়ামিপূর্ণ ফতোয়ার একটি আবার ইউরোপীয় এক ইসলামী চিন্তাবিদের মস্তিষ্কপ্রসূত। তার মতে, পুংলিঙ্গের আকৃতি বিশিষ্ট ফল ও সবজি (যেমন: শসা,কলা, গাজর ইত্যাদি) খাওয়া মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ। এগুলো ছুঁলে বা খেলে নাকি তারা পাপপূর্ণ ফ্যান্টাসির দিকে ঝুঁকে পড়বে!! 

মরক্কোতে Moroccan Association for Jurisprudence research-এর প্রধান মুসলিম পুরুষদের তাদের সদ্যমৃত স্ত্রীর সাথে যৌনসঙ্গম করার অনুমতি দিয়েছেন, যেহেতু ইসলামে মৃত ব্যক্তির সাথে সঙ্গমের ব্যাপারে নিষেধ করে কিছু বলা হয়নি। 

সোমালিয়াতে অতিরক্ষণশীল দল আল-শাবাব আল-মুজাহিদীন আন্দোলন রমজান মাসে সমুচা (স্থানীয় রেসিপি অনুযায়ী মাংস,পনির, সব্জি দ্বারা তৈরী তিনকোণা প্যাস্ট্রি) নিষিদ্ধ করে একটি ফতোয়া জারি করে। তাদের মতে এই জনপ্রিয় স্ন্যাকটি খ্রিষ্টানদের ত্রিত্ববাদের (পিতা,পুত্র এবং পরমাত্মা) প্রতীক। সুতরাং এটি মুসলমানদের গ্রহণ করা উচিত নয়। 

মিশরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্মীয় আইন রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়। মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম প্রচার কমিটির প্রধান শেখ আমর সতৌহি নভেম্বরে একটি ফতোয়া জারি করে প্রাক্তন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যদের সাথে মেয়েকে বিয়ে দেবার ব্যাপারে মেয়ের পিতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, কারণ তারা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। 

দাকাহলিয়ার সালাফি আল-নূর পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদেল হাদী দাবী করেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দলের অপ্রত্যাশিত বিজয়ের কথা কোরানে উল্লেখিত আছে। 

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (!!!) ফতোয়াটি জারি হয় গত জুনে মিশরে। মিশরীয় ধর্মপ্রচারক মোহাম্মদ আল-জগবি বলেন, ইসলামে জ্বীনের মাংস খাওয়া জায়েজ। 

পৃথিবীর সেরা জোকারগুলো বোধহয় ফতোয়াবাজরাই হয়!!! 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন