রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১২

ফেসবুকীয় হুরপরীগণ ও ছাগুদের স্তন্যপ্রীতি


লিখেছেন শুভজিৎ ভৌমিক

এর আগে আশফাক আনুপ ভাই তার "ছাগছানাদের হাস্যকথা ১" নোটটিতে নারী ছাগুদের চরিত্র উন্মোচন করেছিলেন। তার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমিও ভাবলাম যে, আজকে ফেসবুকে ইসলামি জোশের কাণ্ডারিদেরকে নিয়ে একটা ব্যাপক গবেষণামূলক পোস্ট দিয়ে দেশ ও জাতিরে উদ্ধার কইরা ফেলানো যাক। তো আসেন শুরু করা যাক, পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ'র নামে। 

ফেসবুকের ছাগুমহলে আমার পরিচিতি বাড়তে থাকার কারণ হিসাবে অনেকে "ভালা হইয়া যান, নাইলে সব ফাঁস কইরা দিমু" পেইজের এই নোটটাকে ক্রেডিট দিয়ে থাকেন। অবারিত গালিবর্ষণে ছাগুরা আমার ফেসবুকের ম্যাসেজ ইনবক্স ফুলে ফুলে সাজিয়ে তুলেছেন। আমার প্রতি তাদের অপার আগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতার প্রমাণস্বরূপ আমি ধর্মকারীতে একখানা পোস্ট নাযেল কইরা তাদের চরণে নিবেদন করছিলাম।

আমাকে তারা ভোলেননি। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে নিয়ে আমাকে নিয়ে এসে পরকালে হুরপরী পাওয়ার নিয়তে আছেন জিহাদি ভাইয়েরা। প্রতিদিনই তাদের বেশ কয়েকটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাই। আজকে সকালে আমার কাছে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে, রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন "অনু প্রভা' নামের এক সুন্দরী। স্বাভাবিক, যেখানে ছেলেরা মেয়েদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়া কূল পায়না, সেখানে মেয়ের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেইখা আমার মত সুবোধ বালকের যৌবনের মৌ-বনে একটা ইউরো কোলার ঢেউয়ের দোলা লাইগা গেলো  


দেখা শুরু করলাম প্রোফাইলটা। ইনফো থেকে জানা গেলো, তিনি আমার চেয়ে পাঁচ বছরের বড়, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছেন। এমতাবস্থায় জাতির বিবেকের কাছে প্রাইভেট প্রশ্ন, পাঁচ বছরের বড় এই আপু আমার প্রতি কেন আকৃষ্ট ? আকৃষ্ট করার স্টাইলটাও মন্দ না  


দিলাম রিকোয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট কইরা। ভাইলোগ, ইস দিলশান লামহা মে আপলোগ কাওয়ালি করতালির মাধ্যমে এই নূরে জান্নাতরে স্বাগত জানান। আজকের ম্যাহফিলে আমাদের সাথে সংগীতে সঙ্গত করবেন ছাগুস্তানি কাওয়ালি গায়ক উস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খান।
হুসনোওয়ালোকো ক্যাহদো না নিকলে বাহির
দেখনেওয়ালোকা ঈমান চালা যাতা হ্যায়
মাস্ত নাজরো সে আল্লাহ বাঁচায়ে
নওজওয়ানো সে আল্লাহ বাঁচায়ে ।।
প্রশ্ন রাখি, যার প্রোফাইলে দিনে রাতে জিহাদিদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে, তার প্রোফাইলে আচমকা সুন্দরী নারীর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট কেন? এটা জানতে হলে কম বয়সী নাস্তিকদের প্রোফাইলে ছাগু সমাজের প্রবেশের প্রসেসটা বুঝতে হবে:

১. প্রথমেই ছাগুরা খোঁজেন যে, বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে কারা আজকাল মুক্তমত প্রচারের চেষ্টা করছে। আজকাল নিউ এথিজমের দিকে কম বয়সী ছেলেরা খুব আকৃষ্ট হচ্ছে। ফলে পাওয়া যায় কয়েকজন কমবয়সী মুক্তমনা বালক।

২. খোঁজ (দ্যা সার্চ) শেষ কইরা তারা একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন।অ্যাকাউন্টের নাম দেন আসমা আক্তের, সালমা আক্তের, ফারজানা আক্তের ইত্যাদি "আক্তের" । এছাড়াও প্রেয়সী অ্যাঞ্জেল, রূপসী ক্যান্সেল ইত্যাদি নামও পাওয়া যায়। মুক্তমনাদের অনেকেই আঁতেল গোত্রীয় নাম পছন্দ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে নাম হয় নীল আকাশ, সবুজ ঘাস, গরুর গোবর বা অযাচিত অনন্যা, অশ্রুসজল সুকন্যা, আকাশের মন ভালো নেই ইত্যাদি।

৩. এরপরে গুগলে "বাংলাদেশি সেক্সি গার্লস অ্যান্ড হট মডেলস" ইত্যাদি লিখে সার্চ দেন। পাওয়া যায় দেহপ্রদর্শনে আগ্রহী নারীদের কিছু খুল্লাম-খুল্লা ছবি। এখান থেকে কিছু ছবি নিয়ে তারা ফেসবুকে আপলোড করেন।

৪. এরপর তারা ফেসবুকের কিছু রাম-শাম-যদুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। এই যদুদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপেই পাওয়া যায়। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সদ্য ফেসবুক ব্যবহার শেখা কিছু পঁয়তাল্লিশোর্ধ প্রৌঢ় এইসব "দুধওয়ালীদের" ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট খুব আন্তরিকভাবে অ্যাকসেপ্ট করেন এবং তাদের সাথে খাতির জমানোর চেষ্টা করেন।

৫. ফ্রেন্ডলিস্টে কিছু লোক জমলেই তারা গ্রুপে গিয়ে ওই বালকদের কমেন্টগুলোতে গণহারে লাইক দেয়া শুরু করেন। নারীসমাজে জনপ্রিয়তা উপভোগ করে বালকটি আপ্লুত হয়ে যায়। এই সময়ে চলে আসে সেই মেয়ের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। একে তো যৌনাবেদনময়ী মেয়ে, যা হয়তো তার জীবনে বিরল, তার উপর তার ফ্যান। এই লোভটা অনেকেই ছাড়তে পারে না। বালকটিও অ্যাক্সেপ্ট করে।

৬. কয়েকদিন পরে সেই বালকের প্রোফাইলে আর মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। নাম বদলিয়ে সেই মেয়ে হয়ে যায় "শান্তির পথ", "নূরে মদীনা", "ছাল ছাবিল খালিদী", "ইসলামের আলো" ইত্যাদি।

৭. এরপর যথারীতি বালকের প্রোফাইলের যাবতীয় তথ্য চলে যায় ছাগু সমাজের কাছে। তাদের স্ট্যাটাস, পোস্ট বা ছবি, সর্বত্রই দেখা যায় ছাগুর আনাগোনা। নির্বোধ বালকটি বুঝতেও পারেনা যে কীভাবে এই অপরিচিত ব্যক্তিটি প্রোফাইলে প্রবেশ করলো।

খেয়াল করে দেখুন, মানুষকে ভোলানোর ক্ষেত্রে ছাগুগণ কোন বিষয়টিকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে? যৌনাবেদনময়ী নারী। সাধারণত আমরা মানুষকে সেই বিষয়ের লোভই দেখাই, যা আমাদের নিজেদের কাছেই লোভনীয়। বইপ্রেমিক লোক মানুষকে বইই উপহার দেয়, আর নারীলোভী ছাগুরা অন্যকে নারীর লোভই দেখায়।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় নাস্তিক ব্লগার-ফেসবুকার আসিফ মহিউদ্দিনের অভিজ্ঞতা শোনা যাক তার ভাষ্যে:
এই পর্যন্ত ক্যাটরিনা কাইফ, জেসিকা এলবা, সালমা হায়েক, পাকিস্তানের গোটা দশেক মডেল, ভারতের আরো গোটা পচিশেক নায়িকার প্রপিক ওয়ালা প্রোফাইলের অধিকারিনী(!)র কাছ থিকা প্রেম, সেক্স ইত্যাদির লাগাতার অফার পাইয়া আমি তো পুরাই পাংখা হয়া গেছিলাম

নায়িকাদের সম্পর্কে কিঞ্চিত কম জানাশোনা থাকায় আরেকটু হইলেই ইসলাম কবুল কইরা চাইর বিবির লাইগা বাসা ঠিক কইরা ফালাইতাছিলাম। কিন্তু আফসোস! বুকে পাত্থর রাইখা বলতে হইতাছে, সব চুতিয়াগুলা গেলমান বা হিজরা বাইর হইছে। দুঃখে কষ্টে বালিশ ভিজ্জা গেলেও ক্যাটরিনা আর জেসিকা এলবারে বিয়া করতে পারলাম না! দুঃখের কথা কারে কমু? কয়দিন আগে প্রভার ফটুওয়ালা এক আল্লার বান্দায় কইলো ইসলাম কবুল করলে শাদি মোবারক করবো। আমি টেস্ট ড্রাইভ করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই আর কোন হদিস নাই। পোড়া কপাল আমার!
পাঠক, প্রচণ্ড মিল দেখতে পাচ্ছেন কি নারীলোভী মোহাম্মদের হাত ধরে আসা মহাগ্রন্থ কোরানের দেখানো লোভগুলোর সাথে?
পরহেজগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য, উদ্যান, আঙ্গুরবীথি। সমবয়স্কা, ইন্দ্রিয়তৃপ্তিকারী তরুনী এবং পুর্ণ পানপাত্র।সুরা আন নাবাঃ আয়াত ৩১-৩৪
মাদ্রাসার হুজুরদের কাছে শিশুকাল থেকে গেলমান হিসাবে ব্যবহৃত হতে হতে গুহ্যদ্বারের ব্যাস সূর্যের সমান হয়ে যাওয়া এইসব ছাগলদের কাছ থেকে তাই নারীলোভ ছাড়া আর কীই বা আশা করা যেতে পারে?

প্রশ্ন উঠতে পারে, ছাগুদের কাছে নারী মানে কী? কেমন দৃষ্টিতে দেখেন তারা নারীদের? ফেসবুকে বেশ কিছু পেইজ আছে, যেগুলোর মূল বিষয়বস্তু পর্দা তথা বস্তা প্রথা সম্পর্কে নারীদের সচেতন (!) করা। সমাজ ও ইসলামের কল্যাণার্থে, বলাই বাহুল্য, এই মহান দায়িত্বটি নিয়েছেন রাজশাহী ও চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি শিবিরের পোলাপাইন। আসুন তাদের পরিচালিত কয়েকটা পেইজের নাম দেখা যাক:

১. ওই ছেড়ি, ওড়না গলায় না দিয়া বুকে দে, কামে দিবো
২. উত্ত্যক্ত হওয়া বেহায়া মেয়েদের মৌলিক অধিকার, আসুন তাদের অধিকার সংরক্ষণ করি
৩. ওই মাগিরা, ওড়না ক্যান বুকে দিতে হয় জানোস ?
৪. মুমিন বোনেরা, বাচ্চাদের খাবার ঢেকে রাখুন 
ইত্যাদি...

দেখা যাচ্ছে যে, যে নারীসমাজের স্তন নিয়ে শিবির ব্যাপক চিন্তিত। সুবহান আল্লাহ! নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা চিন্তাশীলদের সঙ্গে আছেন।

গ্রামের ধর্মভীরু পরিবার থেকে আসা এসব ছাগুদের কাছে ছোটবেলা থেকেই নারী বোরকার আড়ালে নিষিদ্ধ হয়ে থাকে। নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের চিরকালের আকর্ষণ। আর সেজন্যই হয়তো মরহুম ওসামা বিন লাদেনের কম্পিউটারে পাওয়া যায় পর্ণো মুভির ভাণ্ডার

মাঝখান থেকে বয়ঃসন্ধিকালে প্রাকৃতিক নিয়মে বুকে কিছু স্নেহপদার্থ সঞ্চিত হওয়ার শাস্তিস্বরূপ নারী নামক এক বীভৎস জানোয়ার এভাবেই পৃথক হয়ে যায় "মানুষের" মিছিল থেকে। নারী মানেই ছাগুদের কাছে কাছে বিকট এক জন্তু, যার বুক ছেলেদের মত সমতল নয় এবং সেখানেই তাদের পার্থক্য।

মুক্তমনা মহলে এই শিবিরের এই স্তনগবেষক গ্রুপটির নাম দেয়া হয়েছে ওড়না পার্টি। তাদের গ্রুপগুলোর কথাবার্তা দেখে মনে হয়, নারী সমাজের এই ক্রমাগত অধঃপতন নিয়ে তারা নিশ্চয়ই মহা দুশ্চিন্তায় আছেন। সেজন্যই নারীকে সভ্য করতে, ছাগুদের সাথে তাদের পার্থক্যের জায়গা, স্তনের উপরে ওড়না দিয়ে মেয়েদের পবিত্র আব্রু রক্ষা করতে তারা একেবারে জান কোরবান করে দিচ্ছেন।

সত্যিই কি তাই ? আসুন দেখা যাক একটা উদাহরণ:


ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, তার নাম শাফিউর রহমান ফারাবি। সম্প্রতি ইসলাম, নারীর পর্দা নিয়ে কালোত্তীর্ণ বিভিন্ন আলোচনা ও নাস্তিকদের সমালোচনা করে ওড়না পার্টির চিফ-ইন-কম্যান্ড, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও স্কলার এই শিবির কর্মী শাফিউর রহমান ফারাবি ব্লগ ও ফেসবুক মহলে তুমুল সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তার ধুন্ধুমার জনপ্রিয়তার কারণ:

১. আমারব্লগে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া তার এই পোস্ট , যেখানে তিনি ব্লগকে ব্যবহার করেছেন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট তথা বউ খোঁজার সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে।

সেখানে ফারাবি বলেছেন:
আমি আমার পিতার একমাত্র সন্তান। আমার চরিত্র রক্ষা করার জন্য বিয়ে করা দরকার। এখন এমন কোন পরিবার যদি আমাকে পছন্দ করে যে আমাকে প্রতিষ্ঠিত করে দিবে তাইলে আমি তাদের পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। মেয়ে যদি বিধবা বা তালাক প্রাপ্তাও হয় আমার কোন আপত্তি নাই।
মারহাবা ! আলহামদুলিল্লাহ কবুল ! আসুন এই চান্সে নুসরাত ফতেহ আলী খান সাহেবের বিখ্যাত একটা বিয়ের গান শোনা যাক:
দুলহে কা স্যাহরা সুহানা লাগতা হ্যায়
দুলহান কা তো দিল দিওয়ানা লাগতা হ্যায়
পাল ভারমে ক্যায়সে বাদালতে হ্যায় রিশতে
আব তো হার আপনা বেগানা লাগতা হ্যায় ।।
২. ফারাবি সাহেব একের পর এক অনলাইনে মেয়েদের প্রেমের কাব্যময় প্রস্তাব দিয়েছেন। তার উদাহরণ এই পোস্টে দেখা গেলো।


৩. প্রথম আলো ব্লগে তিনি সরাসরি এক নারী ব্লগারের পোস্টে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়ের সেই অফার লেটারটা দেখা যাক একবারঃ


বাংলাব্লগের ইতিহাসে ইনিই খুব সম্ভবত প্রথম ব্যক্তি যিনি সহব্লগারদের বিবাহ প্রস্তাব দিয়ে নানা জায়গায় ব্যান খেয়েছেন। তাও একজন না, একাধিক অপরিচিত নারী ব্লগারকে তিনি বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন একইসাথে। অবশ্য নানা জায়গায় ব্যান খেলেও তিনি দমে যাননি, প্রতিউত্তরে তিনি জানান যে বিয়ে করার জন্য একাধিক মেয়ে দেখতেই হয়। তাই একাধিক মেয়েকে একই সাথে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো দোষের কিছু হতে পারে না।

শিবিরদের হিপোক্রেসির ব্যাপারে অনেক কিছুই আপনারা জানেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের চরিত্রের প্রকাশ একটু গুগল করলেই পাওয়া যায়। কিন্তু কোরান হাদিসের পাশাপাশি নারী ও স্তন বিষয়ে তাদের এই নূরানী আগ্রহের বিষয়টি সম্ভবত অনেকেই বিস্তারিত জানতেন না। বুঝতে পারলাম, নারীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করা এই দেশে পাপ, আর দাড়ি-টুপি থাকলেই অনলাইন-ব্লগ-ফেসবুকে ছাগলিঙ্গ থেকে বীর্যপাত করতে থাকা মহা পূণ্য, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।

যেসব পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে নূরের পথ মাদ্রাসায় পাঠিয়ে জান্নাতী তৃপ্তি পান এই ভেবে যে, ছেলে আল্লাহর পথেই আছে; যেসব পিতামাতা ছেলে শিবির করে জন্য আত্মগর্বে ভোগেন এবং ছেলের চরিত্র সম্পর্কে নিঃসন্দেহ থাকেন, তাদের কাছে এই উদাহরণগুলো পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরী। আত্মগর্বে ভোগা সেইসব পিতামাতার রূহের মাগফিরাত কামনায় এবং শিবিরের চরিত্রের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনায় আসেন আমরা পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে মোনাজাত ধরি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন