নাযিল হয়েছে অযান্ত্রিক-এর ওপরে।
কারো নাম না নিলে হয় না ?
১.১ পরিশ্রম মহৎ, কিন্তু বিশ্রাম মহত্তর।
১.২ ঘুমের চেয়ে বড় পুরস্কার আর নেই, এবং যারা জয়নাল ব্যাপারীর পশ্চাতে চুম্মা দিবার মত মহৎ কর্ম সাধন করিবেন; তাহাদের অতি সুখকর বিছানায় ঘুমানোর সুযোগ দেয়া হইবেক।
১.৩ জয়নাল ব্যাপারী অবশ্যই তোমাদের সুখের দিকে নজর রাখেন, কেননা তিনিই তোমাদের সুখের জন্য প্রদান করিয়াছেন দিবানিদ্রা। অতএব তোমরা জয়নাল ব্যাপারীর কোন কোন অবদান গ্রহণ না করিয়া থাকিতে পারিবে?
১.৪ যখনই সুযোগ পাইবে কর্ম হইতে দূরে যাও, নিজেকে যথাসম্ভব চিন্তা মুক্ত রাখার ক্ষমতা মহান ব্যাপারীর পশ্চাতে চুম্বনের মাধ্যমেই অর্জন সম্ভব।
১.৫ ভবিষ্যতে এমন দিন আসিবে যখন সকল বান্দা (ব্যাপারীর ইচ্ছায়) স্বল্প সময়ে স্বল্প পরিশ্রমে স্বল্প খরচে কার্যোদ্ধারের উপায় খুঁজিয়া পাইবে। অতএব কেন তুমি অযথা নিজের মূল্যবান মস্তিষ্ক অপব্যবহার করিবে?
১.৬ তাহাদের উদ্দেশ্য তোমরা বলিও তোমরা কেন অযথা খাটিয়া খাটিয়া মরিতেছ ? তোমরা কি জানো না যে একটি চুম্মা তোমাদের হাজার দিনের ক্লান্তি দূর করিতে সক্ষম। তোমরা এমন অনেক বিষয়ে অবগত নও যাহা ব্যাপারীর নখদর্পণে।
১.৭ ব্যাপারী তাই মোখলেস কে কহিলেন, আয় মোখলেস্য, তোমা দ্বারা আমার বাণী বহনে বহু ক্লেশ সাধিত হইয়াছে। অতএব, তোমার শান্তি প্রাপ্য হইয়াছে। ব্যাপারী অবশ্যই তাহার কথার খেলাপ করেন না। যাহারা তোমার মত চুম্বন বিশারদ এবং তোমার শান্তির ব্যবস্থা আয়োজন করে তাহাদের সকলের জন্যই রহিয়াছে অপার বিশ্রাম, যখন তাহারা গ্রাম ছাড়িয়া যাইবে।
১.৮ এবং অবশ্যই সপ্তদিবসই তাহাদের শান্তি সমভাবে বিরাজ করিবে। জয়নাল ব্যাপারী মোখলেস এবং যাহারা (তাহার) কথা অনুযায়ী কর্ম করে তাহাদের প্রতি ক্ষমাশীল।
১.৯ তাহাদের জন্য রহিয়াছে সুদৃশ্য পালঙ্ক এবং শিমিল পাখির পালকে তৈরী বালিশ। সেই পালঙ্কের আরাম এই প্রস্তরের পৃথিবীতে অনুভূত হয় না। এবং তাহার সহিত কোমল বায়ু এবং উপযুক্ত সুগন্ধি (দেয়া হইবে)।
১.১০ অতএব, ইহার অধিক আর কী সুখ বান্দা চাহিতে পারে। বান্দার মস্তিষ্ক শান্তি পাউক, তাহার সকল পরিশ্রম ব্যাপারীর অনুগ্রহেই হইবে। ব্যাপারী উমিম্ !
* কৃতজ্ঞতা: ব্লগার 'সাদাচোখ'-এর জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দাও শীর্ষক মুক্তমনা ব্লগের পোস্ট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন