বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১২

মমিন মস্তিষ্ক মিরাকলময়


পাঠিয়েছেন শয়তানের চ্যালা 

ইদানীং ইসলামি মিরাকলে ফেসবুক ছেয়ে যাচ্ছে। এসব মিরাকলের সাথে বিজ্ঞান গুলিয়ে সুস্বাদু করে তোলা হয়। মুমিন ভাইরা এসব মিরাকল খেয়ে খেয়ে তাদের ইমান পাকাপোক্ত করে, চোখ বুঝে গদগদ হয়ে লাইক শেয়ার সুবানাল্লা কমেন্ট করে নেকী কামাই করে, তাছাড়া যেসব পেজ এসব শেয়ার করতে উৎসাহিত করে তারাও চামে কিছু মেম্বার বাড়িয়ে নেয়।

আমাদের উচিত নিত্যনতুন এমন মিরাকল আবিষ্কার করা। যেমন এই ছবিটিই বিশ্লেষণ করা যাক।


ছবিতে নামাজের বিভিন্ন ভঙ্গির সাথে আরবী অক্ষরে "আহমাদ" শব্দের মিল দেখাতে হবে। লাল কালিতে দেখানো হয়েছে মূল মিল। কিন্তু সেভাবে মিল দেখালে তো মিলবে না। তাই ইচ্ছামত কালো কালি দিয়ে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। হাত পা যে দিকেই থাকুক মূল শব্দের সাথে মিল রেখে শরীরের উপর আঁকিবুকি দিয়ে যান। ছবির নিচে মুহম্মদ সঃ, আল্লাহ, ইসলাম ইত্যাদি শব্দ জুড়ে দিন। মিল-অমিল নিয়ে মুমিন ভাইদের প্রশ্ন করার পথটি তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে।

ব্যস, হয়ে গেল একটি মিরাকল!!! দারুণ না?

এবার ব্রেইনের সাথে সেজদা ভঙ্গিটি মিলাতে হবে। 

নামাজ-দোয়া-মোনাজাত ইত্যাদি ছবিতে বাচ্চাদের ছবির বেশ কদর। অনেক কট্টর মুমিন ভাইয়ের প্রফাইল ছবিতে এজন্য ছোট অবুঝ শিশুদের বোরখা-টুপি পরিহিত অবস্থার ছবি দেখা যায়। সহানুভূতি আদায়ের একটা কৌশল আরকি। কাজেই এ ধরনের মিল দেখানোর সময় বাচ্চাদের ছবি ব্যবহার করলে ফল ভাল দেয়।

এবার ব্রেইনের ছবির দিকে মনোযোগ দেই। ব্রেইনের Cerebellum অংশের সাথে মাথাটা মিলানো যায়। Cerebrum অংশে শরীরটাও এঁটে দেয়া যায় কোনোরকমে। Temporal Lobe এর ভাজটা হাটুর ভাজের বিপরীতদিকে পড়ে। কিন্তু নিচে ইসলাম, মুহম্মদ, আল্লাহ ইত্যাদি শব্দ জুড়ে দিলে মুমিন ভাইরা এসব খেয়ালই করবে না। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আরেকটি সহি ইসলামি মিরাকল!!! এরপরে আপলোড করে দিন, দেখবেন লাইক, সুবানাল্লা, আলহামদুলিল্লা, শেয়ারের ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছাস বয়ে যাচ্ছে। 

তবে এত মিলানোর পরেও একটা সমস্যা রয়ে যায়। মিলের বিশ্লেষণ করে খেয়াল হল, ব্রেইনের যে অংশে বাচ্চাটির মাথা দেখানো হয়েছে সেটা আসলে ব্রেইনের পশ্চাৎ ভাগ (সাদাকালো ছবি অংশ দ্রষ্টব্য) । অর্থাৎ এই ছবি অনুযায়ী কেউ যখন কাবার দিকে ফিরে সেজদা দেয় তখন ব্রেইন আবার সেই কাবার দিকে পাছা উচকে রেখে উল্টো দিকে সেজদা দেয়! বড়ই সর্বনাশা ব্যাপার!

তবে যা হবার হয়ে গেছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ক্যাপশনে ইসলাম শব্দটি রাখলে কেউ এ নিয়ে টুঁ শব্দও করবে না। তাছাড়া মুমিন ভাইদের এসব দেখার সময় আছে নাকি! ইসলামি মিল পাইলেই হইল।

যেমন এই লিঙ্কে গেলে দেখতে পাবেন, একটি পেজে ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৮১৫ বার, লাইক পড়েছে তিন হাজারেরও বেশি। কমেন্ট পড়েছে ৩২৭ খানা।

শুধু বাংলাদেশের পেইজগুলোতেই এই ছবি অসংখ্যবার শেয়ার করা হয়েছে। অন্য মুসলিম দেশের হিসাব না হয় বাদই দিলাম। 

সকলের জীবন এমন ইসলামী জ্ঞানে ভরা মিরাকলময় হোক। আমিন।

মোবাইল ফোনে শেয়ার লিঙ্কঃ http://on.fb.me/yqSXYg


ওপরের নোটটি আমরা সত্য কথা বলি তাই আমরা "বেয়াদপ" পেইজে প্রকাশ করা হলে তাতে কিছু মজাদার মন্তব্য পড়ে। কয়েকটি নমুনা: 

ফেসবুকীয় মুমিন বান্দাদের ঈমান নুনুর মত। রগরগা কিছু দেখলে যেমন নুনু ফটাক করে দাঁড়ায় যায়, তেমনি কবুতরে/গাছে/মাছে ও বিভিন্ন জিনিসের গায়ে আঁকা আল্লার নাম দেইখাও তাদের ঈমানুভুতি তড়াক করে খাড়ায় যায়। এবং ঐ পোস্টে সুভানাল্লাহ/আলামদুলিল্লাহর ঝড় বয়ে যায়।

ধর্ম মানেই অন্ধ বিশ্বাস, আর অন্ধবিশ্বাসকারীদের দ্বারাই এমন যুক্তি-প্রমাণহীন ছবি দিয়েই তাদের বোকা বানানো সম্ভব হয়।

সুভানাল্লাহ! বুঝতে পারলাম আমার নু*টা পেঁচিয়ে আন্ডারওয়্যার এর ভেতরে যখন রাখি, সেটা আসলে সেজদার ভঙ্গিতেই ভাঁজ হয়ে থাকে। অতএব তোমরা খোদার কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে (আপনেও বড় নু* ভাঁজ কইরা রাখলে লাইক দেন গা :-D ) 


কামাসুট্রার অনেক পজিশন নামায থেকে চুরি করা হইসে। কাফেরের বাচ্চারা শুধু কাফেরই না, চোরও! 


Nazmul Hossain আর মুমিন মস্তিষ্ক মিরাকলের আস্তানা। 


নবিজি আসার হাজার হাজার বছর আগে সনাতন ধর্মের মানুশ ঠিক সেজদা দেবার মত করেই তাদের কল্পিত ঠাকুর, দেবতাদের প্রনাম করত । এমনকি এখনো হিন্দুরা তাদের বাসায় পুজার বেদিতে বা আসন এ উদ্ভট মুরতিগুলর সামনে একি ভাবে প্রনাম করে । তাহলে কি পাঁঠাদের patent করা মিরাকল ছাগুরা চুরি করে লাফালাফি করছে ? খাইসে , মিরাকল এর এই patent নিয়ে আবার ছাগু পাঁঠা দাঙ্গা না লেগে যায় ...... 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন