লিখেছেন জুপিটার জয়প্রকাশ
নাস্তিকেরা এতকাল বলে এসেছে আল্লাহ আছেন তার প্রমাণ কী? মহম্মদ ছাড়া কেউ তাঁকে দেখেছে কি না? ডাক দিলে তিনি আসবেন কি না? নাস্তিকেরা যে তাঁর বিরুদ্ধে এত কথা কয় তাতে তাঁর শাস্তি দেবার ক্ষমতা আছে কি না? তারা বলে থাকে আল্লাহ হলেন মহম্মদের মনের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া এক চরিত্র (যেমন সুপারম্যান) । ইহুদী আর ক্রীশ্চানদের প্রাচীন ধর্মীয় ধারণার সঙ্গে নিজের ভাবনাচিন্তা মিশিয়ে তাঁর মন এই বস্তুটি বানিয়েছে এবং নিজের বক্তব্যকে তাঁর কথা বলে বিশ্বাস করে প্রচার করেছে। এক কথায় এটি একটি মানসিক রোগ মাত্র। যদি না ধান্দাবাজি হয়। কোরান এর আয়াতগুলি নাজিল হওয়ার পদ্ধতি থেকেই এটি বোঝা যায়।
এতকাল আমিও ভেবে এসেছি যে নাস্তিকেরাই ঠিক। ধর্মের মধ্যে যুক্তি-প্রমাণ বলে কিছু নাই। কিন্তু অবশেষে আল্লাহ আমার উপর মেহেরবান হলেন ও আমার অন্তরের বেকুবি দূর করে চোখ থেকে চশমা হঠিয়ে দিলেন। বিনা চশমায় আমি তাঁর দেওয়া বাণীগুলি আবার নতুন করে পড়লাম।
শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হলাম যে দুনিয়ার সেরা বৈজ্ঞানিক ধর্ম হল গিয়ে ইসলাম। এর মধ্যে এতই যুক্তিপূর্ণ কথাবার্তা আছে যে, মন দিয়ে পড়লে সকলেই বুঝবে, যদি তারা বুদ্ধিমান হয়। নাস্তিকেরা বেকুব বলেই বোঝে না, তারা যেসব যুক্তি-প্রমাণ এর কথা এখন বলে, তা কোরান বলে গেছে অনেক আগেই।
যেমন কোরানে লিখিত আছে এটি আল্লাহ দিয়াছেন। তেমনি ধর্মের কিতাবের বলে সেটি ঈশ্বর দিয়াছেন। আমিও একটি কিতাব লিখে বলতে পারি ঈশ্বর দিয়াছেন। এইভাবে ফয়সালা হবার আশা নাই। হিন্দুদের কিতাবে লিখিত আছে দেবদেবী অনেক আছে, মূর্তিপূজা খারাপ না (অবশ্যই কেউ মূর্তিপূজা করতে বাধ্য নয়। সে নিরাকার ভজতেই পারে) আর সেই কিতাব তাদের দেবতারাই দিয়াছেন। এই ঝামেলার ফয়সালা কেমনে হবে সেই নিয়ে অনেক ক্যাচাল হয়েছে। কিন্তু এই সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য অভ্রান্ত কোরানে পথ বলে দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ।
দেখুন, একাধিক দেবতার এবং দেবদেবীর মূর্তিদের সম্পর্কে কোরানের যুক্তিসমূহ।
আল আরাফ:
১৯২) আর ওরা কোনো ক্ষমতা রাখেনা সাহায্য করার, আর তারা নিজেদেরও সাহায্য করতে পারে না।
১৯৩) আর তোমরা যদি তাদের (মূর্তিপূজকদের) সুপথে আহবান করো, তারা তোমার অনুসরণ করবে না। তাদের আহবান করো বা চুপ থাকো; দুইই সমান।
১৯৪) নিঃসন্দেহে তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে যাদের আহবান কর তারা তোমাদের মতই; তাই তাদের ডাকো, তোমাদের প্রতি তারা তবে সাড়া দিক—যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
১৯৫) তাদের কি পা আছে যা দিয়ে তারা চলতে পারে, অথবা হাত আছে যা দিয়ে ধরতে পারে, তাদের কি চোখ আছে যা দিয়ে দেখতে পায় বা কান আছে যা দিয়ে শুনতে পারে? (তাদেরকে) বলো—ডাকো তোমাদের অংশীদারদের, তারপর আমার বিরুদ্ধে ফন্দী করো। আর আমাকে অবকাশ দিওনা। (এখানে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হচ্ছে, ডাকো তোমার দেবতাদের, তাদের বলো দেরি না করে আমাকে শাস্তি দিয়ে দেখাতে।)
অন্য সব ধর্মের লোকদের পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে ডাকো তোমাদের দেবতাদের। যদি তারা থাকে তবে সাড়া দিক। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার শাস্তি দিক।
এমন চ্যালেঞ্জ যদি হিন্দুদের দেবতাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় তবে তারা বলবে, সাড়া দেওয়ার সময় হলেই তিনি সাড়া দেবেন। তোমাকে তিনি তোমার শাস্তি নিশ্চয় দেবেন। এখন না হলেও মারা যাওয়ার পরে। শুনে মুসলমান কোরান খুলে পড়বে তাদের সুপথে আহবান করলেও তারা আসবে না। বলে যে লিখেছে সেটাই ঠিক। আল্লাহ সবকিছু জানেন।
সত্যিই আল্লাহ সবকিছু জানেন। চেয়ে দেখ বেকুব নাস্তিকেরা, তোমরা যেইটাকে নিজেদের যুক্তি বলে চালাতে চাইছিলে সেইটা ১৪০০ বছর আগে আল্লাহ নিজেই তাঁর বান্দাদের শিখিয়ে গেছেন।
নাস্তিকেরা কী বলবে, জানাই আছে। তারা বলে বসবে, কোরানের এইসব আয়াত দেখলেই বোঝা যায় এগুলো পাগল কিম্বা ধান্দাবাজের বানানো। তারা তাদের বুদ্ধি অনুযায়ী কথা বলুক, বেশি বুদ্ধি ওদের কাছে আশা করি না।
==========================
ইংরাজীঃ-
[7:191] Is it not a fact that they are idolizing idols who create nothing, and are themselves created?
[7:192] Idols that can neither help them, nor even help themselves?
[7:193] When you invite them to the guidance, they do not follow you. Thus, it is the same for them whether you invite them, or remain silent.
[7:194] The idols you invoke besides GOD are creatures like you. Go ahead and call upon them; let them respond to you, if you are right.
[7:195] Do they have legs on which they walk? Do they have hands with which they defend themselves? Do they have eyes with which they see? Do they have ears with which they hear? Say, "Call upon your idols, and ask them to smite me without delay.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন