অধিকাংশ ধর্মবিশ্বাসীর ধারণা, অবিশ্বাসীদের নৈতিকতা বলে কিছু নেই এবং থাকতেও পারে না, যেহেতু তাদের নেই দোজখভীতি। অবশ্য বেহেশতের লোভে যারা সৎ কাজ করে, তাদের চিন্তাধারা এমনই হবার কথা।
অথচ ধর্মহীন দেশগুলোতেই কিন্তু অপরাধের হার ধর্মপীড়িত দেশগেুলোর তুলনায় অনেক-অনেক কম (এ বিষয়ে ধর্মকারীতে দু'বছর আগে প্রকাশিত একটি তথ্যবহুল পোস্ট আস্তিক-আকীর্ণ অঞ্ঝলে অধিক অশান্তি দেখে নিন)।
আমার তো মনে হয়, ধর্মবিশ্বাসীরা অনেক সহজে 'পাপ' (আসলে পাপ বলে কিছু নেই, আছে অপরাধ) করতে পারে, কারণ, খুব সম্ভব, প্রত্যেক ধর্মেই পাপমুক্তির পদ্ধতি বাতলানো আছে। সারা জীবন যাবতীয় অপকর্ম করে মৃত্যুর আগে যিশুকে ত্রাণকর্তা মানলেই খ্রিষ্টানের স্বর্গবাস নিশ্চিত, হজ্ব করে মুসলিম তার সারা জীবনের গুনাহ মুছে ফেতে পারে, হিন্দুদের আছে গঙ্গাস্নান বা তীর্থযাত্রা ধরনের কিছু ব্যাপার (নিশ্চিত নই)... এমন সুযোগ থাকলে পাপ করতে বাধা কোথায়? বিবেক বা নৈতিকতার কোনও প্রয়োজনই তো তাদের নেই!
আমার তো মনে হয়, ধর্মবিশ্বাসীরা অনেক সহজে 'পাপ' (আসলে পাপ বলে কিছু নেই, আছে অপরাধ) করতে পারে, কারণ, খুব সম্ভব, প্রত্যেক ধর্মেই পাপমুক্তির পদ্ধতি বাতলানো আছে। সারা জীবন যাবতীয় অপকর্ম করে মৃত্যুর আগে যিশুকে ত্রাণকর্তা মানলেই খ্রিষ্টানের স্বর্গবাস নিশ্চিত, হজ্ব করে মুসলিম তার সারা জীবনের গুনাহ মুছে ফেতে পারে, হিন্দুদের আছে গঙ্গাস্নান বা তীর্থযাত্রা ধরনের কিছু ব্যাপার (নিশ্চিত নই)... এমন সুযোগ থাকলে পাপ করতে বাধা কোথায়? বিবেক বা নৈতিকতার কোনও প্রয়োজনই তো তাদের নেই!
ভূমিকা শেষ। এখন আসল কথায় আসি। আমেরিকার অস্টিন শহরে The Atheist Experience নামে লাইভ প্রশ্নোত্তরের একটি অভিনব কেবল-টিভি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় সাপ্তাহিকভাবে। এতে দর্শকদের প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়ে থাকে টেলিফোনে। প্রধান উপস্থাপক Matt Dillahunty. তাঁকে বিতার্কিক হিসেবে অসাধারণ মনে হয় আমার। সেই অনুষ্ঠানের একটি অংশে ধর্মহীনদের নৈতিকতা প্রশ্নে এক মমিন খ্রিষ্টানকে এমন কোণঠাসা করে ফেললেন তিনি! আহা! আমার মনে হলো, আমাদের মধ্যে যাঁরা ছাগু পেঁদিয়ে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য শিক্ষণীয় এমনকি অনুকরণীয় হতে পারে তাঁর বিতর্ক-পদ্ধতি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন