১.
কীভাবে যে ভুললাম! ক্রিসমাসের সময় এই দুটো ভিডিও রিপোস্ট করবো, ভেবে রেখেছিলাম; সঠিক সময়ে মনে পড়েনি। প্রথমটি কিংবদন্তীর ব্রিটিশ কমেডি গ্রুপ মন্টি পাইথনের একেবারে রাখঢাকহীন গান। নাম - ফাক ক্রিসমাস। প্রভূত আনন্দদায়ী। দ্বিতীয় ভিডিও - কয়েকটি ছোট ছোট গানের সংকলন। বলা হচ্ছে, নাস্তিকদের জন্য ক্রিসমাসের গান। একেবারে হাহাপগে।
২.
তথ্য-প্রমাণহীন ভিত্তিহীন বিশ্বাস অনিবার্যভাবে ক্ষতিকর। তবু অনেককেই বলতে শোনা যায়, বিশ্বাস একটা নিরীহ ব্যাপার এবং সেটা নিয়ে অনর্থক তর্ক-বিতর্ক অপ্রয়োজনীয়। নিরীহই বটে! লক্ষ-কোটি নিরীহ উদাহরণের একটি পড়ুন। একেবারে সাম্প্রতিক। শস্যের উৎপাদন বাড়াতে ভারতে সাত বছরের বাচ্চা মেয়েকে হত্যা করে ঈশ্বরকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
(লিংকম্যান: দ্রোহী)
৩.
কেমন হতো, যদি জেমস বন্ডকে দায়িত্ব দেয়া হতো ধর্মগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে?
ধর্মবিশ্বাসের সামনে ডারউইন একটি আতঙ্কের নাম। তাই তাঁকে আমি প্রধান ধর্ম- ও ঈশ্বরঘাতক বলে থাকি। এই দেখুন না, ইন্টারনেটে সন্তানদের অবাধ ব্রাউজিং নিয়ন্ত্রণ করতে পিতামাতা যদি শিশুবান্ধব ফিল্টার বেছে নেয় সেটিংসে, তাহলে সেই ফিল্টার শুধু পর্নোগ্রাফিক সাইটগুলোই ব্লক করবে না, করবে 'ডারউইন' বা 'বিবর্তনবাদ' শব্দযুক্ত সাইটগুলোও! সিদ্ধান্ত তুরস্ক সরকারের।
(লিংকম্যান: দ্রোহী, মৌনতা)
৫.
স্পা হইলো ইছলাম-বিরোধী ব্যাপারস্যাপার। অতএব মমিন-মমিনাগণ, খিয়াল কৈরা!৫.
(লিংকম্যান: শান্তনু বণিক)
৬.
চৌদি আজবের নাম শুনলে বাংলাদেশের অজস্র লোক শ্রদ্ধা-প্রেম-মুগ্ধতায় বিগলিত হয়ে নুয়ে পড়ে। আরও এক দল লোকের অনুরূপ প্রতিক্রিয়া হয় ফাকিস্তানের নাম শুনলে। তাদেরকে বাংপাকি বলে ডাকা হয় বটে, তবে আমি পছন্দ করি 'পাকচোদ' বলতে। ‘সেক্স’ বেশি খোঁজেন পাকিস্তানিরা শীর্ষক খবর পড়ে পাকচোদদের প্রতিক্রিয়া কেমন, জানতে ইচ্ছে করে খুব।
চৌদি আজবের নাম শুনলে বাংলাদেশের অজস্র লোক শ্রদ্ধা-প্রেম-মুগ্ধতায় বিগলিত হয়ে নুয়ে পড়ে। আরও এক দল লোকের অনুরূপ প্রতিক্রিয়া হয় ফাকিস্তানের নাম শুনলে। তাদেরকে বাংপাকি বলে ডাকা হয় বটে, তবে আমি পছন্দ করি 'পাকচোদ' বলতে। ‘সেক্স’ বেশি খোঁজেন পাকিস্তানিরা শীর্ষক খবর পড়ে পাকচোদদের প্রতিক্রিয়া কেমন, জানতে ইচ্ছে করে খুব।
২০১০ সালের জুলাই মাসে এ বিষয়ে আগে একটি বিশদ (প্রায় গবেষণামূলক) পোস্ট দেয়া হয়েছিল ধর্মকারীতে: সবচেয়ে যৌনবঞ্চিত, এবং সে-কারণেই সবচেয়ে যৌনক্ষুধার্ত, জাতির নাম - মুসলমান।
৭.
বলিউডের ছবিতে হরদম দেখানো হলেও বাস্তবে ভারতের আদালতে সাক্ষীদেরকে গীতা বা অন্য কোনও তথাকথিত পবিত্র কিতাব ছুঁয়ে শপথ করতে হয় না বহু বছর ধরেই। তবে কোনও ধর্মোল্লেখ না করে সর্বজনীন ঈশ্বরের নামে শপথ করার আইন বহাল আছে ১৯৬৯ সাল থেকে। কিন্তু নাস্তিকেরা ঈশ্বরের নাম নেবে কোন যুক্তিতে? এক নাস্তিকের অভিজ্ঞতা।
(লিংকম্যান: কৌস্তুভ)
৯.
হুমায়ূন আহমেদের পুরনো লেখাগুলো পড়ে অন্তত আমার ধারণা হয়েছিল, তিনি নাস্তিক, খুব সরব যদিও নন। কিন্তু এখনকার লেখাগুলো এ কথাই বলে দেয়, এককালের প্রবল যুক্তিবাদী এখন যুক্তির পথ ত্যাগ করে ঈমান্দার মমিন। পদে পদে কোরান থেকে উদ্ধৃতি দিতে এবং নবীজির জীবনাচরণ স্মরণ করতে পছন্দ করেন তিনি। ওদিকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছেও অটল আছেন তাঁর নির্ধার্মিকতায়। সক্রিয় ও সরব নাস্তিক না হলেও তাঁর গল্প-উপন্যাসে স্পষ্ট ধর্মবিমুখতা, ধর্মাচারবিরোধিতা ও ঈশ্বরবিশ্বাসের অলীকতা স্থান পেয়েছে বরাবরই। আত্মজীবনীমূল রচনা "অর্ধেক জীবন"-এ তো রাখঢাক ছাড়াই তিনি অনেক কথা বলেছেন ধর্মগুলোর বিরুদ্ধে। গত ২৮ ডিসেম্বর আনন্দবাজারে তাঁর লেখা উপসম্পাদকীয় পড়ুন।
(লিংকম্যান: অশোভন, আসামী মজানন্দ পরমঘুঘু)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন