বুধবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ০১

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

১.
খাদিজা মারা যাবার পর মুহাম্মদ ১৩ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৩ বছরে তিনি ১৩ খানা বিবাহ করেছেন মাশাল্লাহ। তিনি আরো কয়েক বছর বেঁচে থাকলে পৃথিবীর অনেক উপকার করতে পারতেন। আরও কয়েক ডজন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাদের কন্যাদেরকে বিবাহ করে তাদেরকে মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারতেন। 

২.
ধর্মব্যবসায়ীরা কেউ কেউ পরমহংস,
কেউ কেউ পরমবক।

৩. 
জীবাণু যেমন ফসলের জন্য ক্ষতিকর, ধর্মও তেমনি মানুষের জীবনের জন্য ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যবান ফসল পেতে হলে যেমন জীবাণু কাম্য নয়, তেমনি সুস্থ্য সুন্দর সমাজ ও জীবনগঠনেও ধর্ম কাম্য নয়।

৪. 
গতকাল রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ শেষ করে ঘুম আসছিলো না। ভাবলাম, একবারে ফজর পড়েই ঘুমোতে যাবো। তসবিহ হাতে পায়চারি করার জন্য ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। দেখি, আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ হাসছে। চাঁদের দিকে তাকাতেই চোখে পড়লো ধবল জোছনা কেটে ধলা রঙের একটা ধেনুর পিঠে সওয়ার হয়ে হিজাব-নিকাব পরা ডিজিটালা নবী কবীর উদ্দীন ঊর্ধ্ব আকাশপানে ছুটে চলেছেন। এখন বুঝলাম এই তপস্বিনী মিরাজে গিয়েছিলেন। এই অলৌকিক ঘটনার আমি একজন চাক্ষুস সাক্ষী। আশা করছি, মুমিন এই বান্দার সত্যভাষণের পরে নবী কবীর উদ্দীনের মিরাজে সন্দেহ পোষণেরই লোক পাওয়া যাবে না, মিথ্যা প্রমাণ তো অনেক দূরের কথা। 

৫.
যে কোনো ধর্মগুরুর জীবনীর সাথে অধার্মিক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী তুলনা করলেই বিশ্বাসের ভয়াবহতা ও অবিশ্বাসের উদারতা সম্পর্কে বুঝতে পারা যেতে পারে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন