আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

একটি ছাগলের রচনা (উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য)


লিখেছেন Mockerof Islam 

ছাগল মূলত একটি চতুষ্পদ প্রাণী। কারণ দিনে অন্তত ৫ বার এদেরকে চার পা/হাতের উপর ভর করে উপুড় হয়ে থাকতে দেখা যায়। বাকী সময় এরা মনুষ্য প্রজাতির অনুকরণে দুই পায়ের উপর ভর করে চলাফেরার চেষ্টা করে, বিশেষতঃ স্ত্রী লিঙ্গের মনুষ্য প্রজাতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণকালে। পুরুষ ছাগলের মাথার লোম এবং দাড়ি সাধারণত মেহেদী রঙের হয়। স্ত্রী ছাগলেরা জন্মের পর বিভিন্ন আকর্ষণীয় রংবিশিষ্ট হয়ে থাকে কিন্তু বয়স ৮ বছর হলে এদের শরীরের সমস্ত লোম পুরুষ ছাগলের সবল উপস্থিতির কারণে কাল রং ধারন করে।

পুরুষ ছাগলের মাথায় বয়োসন্ধির পরপরই একজোড়া শিং গজায় যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তারা মনুষ্য প্রজাতির আচরণ পছন্দ না হলেই যত্রতত্র গুঁতানো শুরু করে। এই হিংস্র স্বভাব লুকানোর জন্যে তারা সাধারণত সাদা রঙের এক টুকরো গোলাকার কাপড় মাথায় দিয়ে শিং ঢেকে রাখার চেষ্টা করে। বিশেষ প্রজাতির কিছু জংলী ছাগলের পায়ে ক্ষুরের মতন ধারাল খুর থাকে যা ব্যবহার করে এরা নিরীহ মনুষ্য প্রজাতির হাত ও পায়ের রগ কেটে থাকে। 

সকল প্রজাতির ছাগলের পশ্চাৎ দেশে ছোট আকৃতির লেজ দেখা যায় যেটা তারা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে তবে মনুষ্য প্রজাতির মুখোমুখি হলে শেষ পর্যন্ত তার প্রকৃত পরিচয় বেরিয়ে পড়ে। অবশ্য অবস্থা বেগতিক দেখলে এরা কুকুরের মত পায়ের আড়ালে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায়। তালগাছের ছায়া এদের বিশেষ প্রিয়, চ্যালেঞ্জ-এর মুখোমুখি হলেই এরা তালগাছ আঁকড়ে পড়ে থাকে। 

ছাগল সাধারনত সামনে যা পায় তা-ই খায়, বিশেষ করে মোড়কে যদি 'হালাল' শব্দটি লেখা থাকে, তা স্বজাতির মাংসই হোক আর সাবানই হোক। তবে ছাগলের প্রিয় খাদ্য হল কাঠাল পাতা এবং ডিমসেদ্ধ। বছরের একটি বিশেষ মাসে ছাগলেরা দিনের বেলা খাদ্য গ্রহণ করে না, অন্যকে খেতে দেখলেও তেঁড়ে গুতা মারতে আসে। কিন্তু সূর্য ডোবার পর তারা সারা দিনের উপোস গাদা গাদা খোরমা-খেজুর ও ছোলা খাওয়ার মাধ্যমে পুষিয়ে দেয়। এই মাসে পাড়ার মাঠে, আস্তাবলে বড় দাড়িওয়ালা রাম-ছাগলদের নিয়মিত উপস্থিতিতে ছাগলের জীবনাচরণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায় বলে এই মাসকে 'রাম-জান' বলা হয়। 

এই রাম-জান মাস ছাড়া সারা বছর জুড়েই ছাগলের প্রজনন মৌসুম চলে। একটি পুরুষ ছাগল একসাথে ৪ টি মাদি ছাগলকে মিলনসঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করে থাকে তবে তাতে তাদের ক্ষুধা মেটে না। সেই কারণে স্ত্রী লিঙ্গের মনুষ্য প্রজাতিকে মানসিকভাবে বলাৎকার করার জন্যে তারা প্রতিটি মূহুর্ত গোপনে লালায়িত হয়ে থাকে এবং ছাগলাঙ্গের আকস্মিক বিস্তার ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তাদেরকে কালো কাপড়ে সারা শরীর ঢেকে চলাফেরার জন্যে অন্যায় আবদার ধরে থাকে। কিন্তু তাদের খোয়াড়ের কোনো মাদি ছাগল অন্য কোন খোয়াড়ের পুরুষ ছাগলের সাথে একটি লোম বিনিময় করলেও তারা জোট বেঁধে দু'জনকেই খুঁটিতে বেধে লাদি নিক্ষেপ করে হত্যা করে থাকে। একে পশুবিজ্ঞানীরা 'অজ-অনার' বা সংক্ষেপে 'জানোয়ার কিলিং' বলে থাকেন। 

পুরুষ ছাগল সাধারণত ছানার জন্যে সংরক্ষিত স্ত্রী ছাগলের সব দুধ খেয়ে ফেলে, সেই কারণে সব ছাগলের ছানা তাদের বাপের থেকে আরো কম বুদ্ধি নিয়ে বড় হয়। ছাগলের যৌনক্রিয়াকে 'ছহবত' (ছাগলের হোগায় বীর্যপাতের তরিকা) বলা হয়ে থাকে। প্রতিটি মাদি ছাগল বছরে একটি করে ছাগল ছানার জন্ম দিয়ে থাকে তবে অন্তত একটি পুরুষ ছাগল ছানার জন্ম না দেয়া পর্যন্ত তারা বিয়োতেই থাকে। 

ছাগলের বৈজ্ঞানিক নাম Muslimia Astikas. প্রজাতি হিসাবে ছাগলের ইতিহাস বেশিদিনের নয়। এ পর্যন্ত সবচেয়ে পুরনো ছাগলের যে ফসিল পাওয়া গেছে তার সময়কাল খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০-২০০০ সাল। মোখলেস বা মিছা নামে এক জাদুকরের 'আওরাত' নামক গ্রন্থে সর্বপ্রথম ছাগল পালনের কথা জানা যায়, তিনি ৪০ বছর ধরে বনে-বাদাড়ে পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে অসংখ্য জংলী ছাগল সংগ্রহ করেছিলেন। তার ছাগলের গায়ের বোঁটকা গন্ধে লোহিত সাগরের পানিও নাকি সরে গেছিল, ২ টি করে ছাগল মোটাতাজাকরণ ঐশী ট্যাবলেট খাওয়ানোর পরেও সেই গন্ধ দূর করা যায়নি।

তবে আধুনিক ছাগলের সূচনা আজ হতে মাত্র ১৪০০ বছর আগে। মহামদন মৌজে-ঠাপা নামে আরবের এক অশিক্ষিত দাড়িওয়ালা মেষপালক সর্বপ্রথম কিছু বুনো ছাগলকে আজীবন অফুরন্ত কাঠালপাতা আর ৭২ টি কচি, কুমারী মাদি ছাগলের সাথে নির্বিচার প্রজননের মিথ্যে লোভ দেখিয়ে তাদের বশ করে পোষ মানাতে সক্ষম হন। তারপর ক্ষুর এনে সব পুরুষ ছাগলকে খাসি করে দেন যাতে তিনি ছাড়া আর কেউ মাদি ছাগলদের প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রতি দেখভাল না করতে পারে। প্রথম প্রজন্মের এই ছাগকুল কে বলা হয় 'ছা-হাবা' (হাবা ছাগলের সংক্ষিপ্ত রূপ), পরবর্তীতে যারা মহামদনের সাথে সুগন্ধি পুদিনা পাতা খাওয়ার লোভে তার ঊষ্ট্রচালিত রথের পিছন পিছন মদিরা নগরীতে গিয়েছিল তাদের নামের আগে 'অজ-রথ' লেখা হয়। 

ইতিহাস বলে, মহামদন তার ছা-হাবাদেরকে অক্কা নামক এক শহরের মাঝখানে কাবাবঘর নামে একটি প্রাচীন আয়তকার ঘরের কাছে নিয়ে যান যেটি ইতরা-মিন নামে তার এক পূর্বপুরুষ নিজের পুত্রকে জবাই দিয়ে কাবাব বানিয়ে খাবেন বলে বিশাল তন্দুরীর মত করে বানিয়েছিলেন। কালক্রমে সেটি অক্কা শহরের বুড়োখোকাদের পুতুল খেলার ঘর হিসাবে বেদখল হয়ে যায়। মহামদন ছাগলদের কাবাবঘরের চারপাশে ৭ বার নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে হয়রান করে বলেন যে, কাবাবঘরে আকাশ থেকে 'লাল-লহু' নামে এক দানব কসাই এসে বাসা বেধেছে। মহামদনের কথা ছাগলরা না শুনলে লাল-লহু ঢা'লা তাদেরকে জবাই করে লহুর বন্যা বইয়ে কাবাবঘরে অনন্তকাল ধরে ঝলসে মাটন কাবাব বানাবেন! 

এ কথা শুনে ছাগলেরা লাল-লহু কে সামনাসামনি দেখার দাবী করলে মহামদন তাদের সাবধান করে দেন যে, লাল-লহু ঢা'লা ছাগলদের কাছে অদৃশ্য, তাকে সন্তুষ্ট করার একমাত্র পথ ছাগল-ধর্মের চর্চা করা, অর্থাৎ বিনা প্রশ্নে মেষপালকের আদেশ-নির্দেশ অনুসরন করা এবং মনের সুখে লাদিয়ে মাটি উর্বর করে আবার সেই মাটিতে গজানো ঘাস খেয়ে দিবারাত্র লাল-লহু ঢা'লার প্রসংশা করে জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য পূরণ করা, যার নাম তিনি দেন 'ইছলম' (ইহকালে ছাগলদের লাদানোর মাসায়েল/মতবাদ)।

তিনি আরো হুঁশিয়ার করে দেন, যে সব ছা-হাবা অতিরিক্ত বকর বকর করে প্রশ্ন করবে তারা তাদের বক্‌র-ই-মান হারাবে। আর যারা লাল-লহু বা মহামদনের সমালোচনা করবে তাদের মূঢ়-বাদ ঘোষনা করা হবে। মহামদন লাল-লহু কে একই সাথে ভালবাসতে এবং ভয় করতে বলেছেন। ব্যাপারটা যে কী করে সম্ভব, তা ছাগল তো দূরের কথা, মানুষের মাথায়ও ঢোকেনি। আজকে পৃথিবীর সব অঞ্চলের ছাগল নির্বিশেষে আমরা যে কমন 'আল...ল্যা' ডাকটি সবসময় শুনে থাকি, সেটা ওই 'লাল-লহু'র ই অপভ্রংশ, যে কারনে একে একে লাল-লহু'র ৯৯ টি উদ্ভট নামের উদ্ভব ঘটেছে। ছাগলেরা তাদের ছানাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই নাম গুলোতেই ডাকে আর বুড়ো বয়সে তাদের লাদি পর পর লোমে জুড়ে দিয়ে বানানো 'টেশঁবি' নামক এক জপ-মালা হাজার বার টেপার মাধ্যমে লাল-লহু ঢা'লা কে ফিসফিসিয়ে স্মরণ করে (তবে এই অঞ্চলের ছাগলদের আজকাল 'মাশাল...ল্যা' ডাকটিও ঘন ঘন ডাকতে শোনা যায়)।

মহামদন কালে কালে তার পোষ মানানো বিশাল ছাগলের পালের অন্ধ গুঁতানোর শক্তিকে (ইছলমি ঊমম...ম্যা) ব্যবহার করে সমগ্র আরব প্রদেশের ক্ষমতা দখল করে বসেন এবং তাঁর রাজত্ব পরবর্তীতে আরো সম্প্রসারণ করে প্রায় অর্ধেক পৃথিবী দখল করে নেন। তিনি তাঁর মৃত্যুর আগে কীভাবে ছাগলদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তা বিস্তারিত ভাবে তার কিছু সেনাপতি ও উত্তরসূরীদের বলে যান, যা পরবর্তীতে লিপিবদ্ধ করে 'ক্ষুর-আন' নামে একটি সংকলন বের করা হয়। 

এই কিতাব এত সহজ অথচ কৌশলী ভাষায় লেখা যে, ছাগলেরা এটি পড়তে পারে, মুখস্ত করতে পারে, কিন্তু মানে বুঝতে পারে না, শুধু 'ক্ষুর আনার' ভয়েই অন্ধভাবে অনুসরন করে। মানুষ এর মানে বুঝতে পারে বটে, তবে এটা শুধু ছাগলের বেলায় প্রযোজ্য হওয়ায় এই কিতাব মানুষের জন্যে কোনোকালেই প্রাসঙ্গিক ছিল না, যদিও এ যুগের ছাগলেরা সেটা মানতে নারাজ, তারা মনুষ্য প্রজাতিকেও এই কিতাব মানতে হবে বলে দিবারাত্র ব্যা ব্যা করে থাকে। 

মহামদন তাঁর 'ক্ষুর-আন' এ চালাকি করে বলে গেছেন যে, তাঁর মৃত্যুর পরে আর কোনো মেষপালক ছাগল প্রজাতির জন্যে নিযুক্ত করা হবে না। এতে ছাগলেরা স্ব-নির্ভর হতে শেখে এবং সেই থেকে তার নিজেদের পালের মধ্যে মহামদনের দাড়ির মত সবচাইতে বড় দাড়িওয়ালা ছাগলকেই (সাধারনত ছাগল পিতার তিন নম্বর বাচ্চা) অন্ধভাবে অনুসরণ করে থাকে। 

দিনে ৫ বার বা অন্য যে কোনো সময় 'আজান' অর্থাৎ 'অজদের জামাতে আনিবার গান' নামক একটি বিশেষ সাংকেতিক বেসুরা ধ্বনি প্রচার করা মাত্রই খোয়াড় হতে ছাগলেরা পালে পালে বেরিয়ে পাড়ার কমন আস্তাবলে জড়ো হয় এবং লাল-লহুর স্মরণে ঘাস খাওয়ার প্রতীকী অর্থে মেঝেতে কপাল ঠুকে লোম ঊঠিয়ে ফেলে। এছাড়া এরা বিভিন্ন উপলক্ষে নিজেদের খোয়ারে 'মি-লাদ' নামক অনুষ্ঠানে সবাই মিলে জমায়েত হয়ে লাদিয়ে থাকে। 

'ক্ষুর-আন' যেহেতু দাসপ্রথাকে সমর্থন করে, তাই আধুনিক যুগে মহামদনের অনুসারী ছাগলেরা, যারা ছাগু নামে অধিক পরিচিত,‌ তারা লাল-লহু বিস্মৃত একদম নিম্নবুদ্ধির ছাগলদেরকে দাস বানিয়ে বেচাকেনা করে এবং বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে 'ক্ষুর-বাণী' নামক উৎসবে নিজেরাই 'লাল-লহু' কসাই সেজে 'লাল-লহু আরেকবার' বলে জবেহ্‌ করে কাবাব বানিয়ে স্ব-জাতির মাংস ভক্ষণ করে থাকে ও অন্যান্য ছাগলের মধ্যে বিলিয়ে থাকে।

অন্যান্য প্রাণীর মত ছাগলের মধ্যেও মাইগ্রেশন প্রচলিত আছে। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্থানের মধ্যে ইতিহাসের বৃহত্তম ছাগল মাইগ্রেশনের ঘটনা ঘটেছিল। প্রতি বছর ছাগলেরা সারা দেশ থেকে আশুলিয়া নামক স্থানে তুরাগ নদীর তীরে সাময়িকভাবে মাইগ্রেট করে জমায়েত হয়ে যে পানিতে লাদায় সে পানিতেই পিপাসা নিবৃত্ত করে অনেক অশ্রুবর্ষণ করে থাকে। প্রতিটি ছাগল তার জীবন কালে অন্তত একবার দীর্ঘ মাইগ্রেশনে যায় কাবাবঘর দর্শন করার জন্যে। সেখানে লাল-লহুর বিশাল লাদি মনে করে সংরক্ষিত একটি বিশাল কালো পাথরে চুমা খেয়ে নিজেদের সব দুধ, শিং এবং সম্ভব হলে চামড়া কাবাবঘরের সেবায় উৎসর্গ করে দিয়ে আসে। 

পশুবিজ্ঞানীরা ছাগ-এষণা করে দেখেছেন, ছাগলেরা বাংলা ভাষার চাইতে মহামদনের ভাষা আর.বি. (RB - Rants of Beduin) যা অনেকটা কর্কশ শুকনা কাশির মত শোনায়, তাতেই বেশি সাড়া দিয়ে থাকে। এমনকি ছাগলেরা টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের দলিল দস্তাবেজ পর্যন্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেললেও আর.বি. লেখা কোনো কাগজ খায় না, সেটা গালাগালি হলেও যত্ন করে খোয়াড়ের দেওয়ালে কাবাবঘরের পোস্টারের পাশে টাঙ্গিয়ে রাখে। 

ছাগলেরা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি হলেও তারা বিনোদনপ্রিয়। নিজেরা অন্য প্রজাতীর প্রাণীদের বিনোদন দিতে এবং বিনোদিত হতেও ভালবাসে। এই কারণে অধুনা তারা একটি জোকার ছাগলকে প্রায় মহামদনের সমমর্যাদায় নায়েকের আসনে বসিয়েছে। এই জোকারের বিশেষত্ব হল তিনি মহামদনের মত ভয় দেখান না, ক্ষুর-আন এর কঠোর বাণীগুলো তিনি মিষ্টি করে সুর-আন বানিয়ে দিয়েছেন, যাতে আকৃষ্ট হয়ে পালে পালে বেকুব দাস ছাগলেরা ইছলম ছাগ-ধর্মের বৈশ্বিক খোয়াড়ের সুশীতল খড়ের ছায়ায় লাদানোর জন্যে স্বপ্ন দেখছে, যদিও একটি মনুষ্য প্রজাতিকেও সে এ পর্যন্ত পটাতে পারেনি। 

ইদানীং দেশে অনেক ছাগল মোটাতাজাকরন সংস্থা গজিয়েছে যাদের কাজ দেশের গবাদিপশুর স্বাস্থ্যের উন্নতির নামে গোপনে ছাগল প্রজাতিকে মনুষ্য প্রজাতির শাষক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। এরা দেশের জনগন কে ঐশ্বরিয়া রায় এর যৌনাবেদনে ভুলিয়ে রেখে এই ফাকে আদালতে ঐশী-শরিয়া-রায় প্রবর্তন করতে চায়। ইতরামি ছাগল শিবির, জামানত-এ-পিছলামি, হুর-কাতিল বিবাদ, হিজরা-কুল-পীরিত ইত্যাদি ষড়যন্ত্রকারী প্রতিষ্ঠানের ছাগুদের হাত থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মের মনুষ্য প্রজাতিকে রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে এদেরকে ধরে খাসি করে হাসি বন্ধ করা দরকার।

ছাগলের অসংখ্য নেতিবাচক দিকের মধ্যে একটি ইতিবাচক দিকও আছে। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ছাগলের ভুমিকা বিশাল। প্রতিবছর অসংখ্য ছাগল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মাইগ্রেট করে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের মনিবের মাংস, দুধের চাহিদা পূরণ করে উপার্জিত ঘাস পাতার কিছু অংশ দেশে নিয়মিত পাঠাচ্ছে বলে দেশের আপামর ছাগলেরা খেয়ে-লাদিয়ে বেচে আছে। মহামদনের দেশের লোক বলে দেশি ছাগলেরা তাদের মনিবের অত্যাচার ও প্রবঞ্চনা মেনে না নিলে তারা দেশের উন্নতিতে আরো অবদান রাখতে পারত। যখন মহামদনের আইন মত ওই দেশের উঁচু প্রজাতির ছাগলেরা দেশি ছাগলদের জবেহ্‌ করে শাস্তি দেয়, তখন আমাদের দেশি ছাগলেরা বলে, ছাগল তো এভাবেই জবেহ্‌ করার নিয়ম! কিন্তু ঐসব দেশের ছাগলদের প্রতি বেশিরভাগ সময়ই মহামদনের এই নিষ্ঠুর আইন প্রযোজ্য হয় না। 

এই দৃষ্টিভঙ্গির আশু পরিবর্তন না হলে একমাত্র সমাধান হল মহামদনের অনুসারী দেশের সব ছাগুকে মহামদনের দেশে রপ্তানীর পরিমাণ কয়েক হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয়া এবং এমন ব্যবস্থা নেয়া যাতে এরা তাদের সার্ভিস শেষে যেন তাদের প্রিয় মহামদনের দেশেই কাবাব হয়ে চিরজীবন থেকে যায়। এভাবে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব। এতে যদিও দেশে মাটন শিক-কাবাব এর সাপ্লাই ও ইন্টারনেট ব্লগ গুলোতে বিনোদনের পরিমান কমে যাবে, কিন্তু দুষ্টু ছাগলের থেকে শূন্য খোয়াড়ও ভাল!

(বিঃদ্রঃ এই রচনায় উল্লিখিত ঐতিহাসিক চরিত্রসমূহ ও ঈশ্বর পুরোপুরি কাল্পনিক। অন্ধবিশ্বাস অথবা বাস্তব চরিত্র/ঘটনার সাথে সাদৃশ্য পাওয়া গেলে তা নিতান্তই ছাগতালীয় বলে গণ্য হবে।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন