নাজিল হয়েছে হযরত নাসির আবদুল্লাহ (রাঃ)-র উপরে।
(ভুবনেশ্বর হে, মোচন কর বন্ধনও সব, মোচন কর হে
প্রভু মোচন কর ভয়, প্রভু কর হে দৈন্য লয়)
তবে কি তারা (মুসলমানেরা) এরপরেও চ্যালেঞ্জ করবে যখন আমি জিনকে তোমাদের সামনে আবিষ্কার করে দিলাম। নিশ্চয় এর মাঝে রয়েছে ভবিষ্যতের নিদর্শন যারা ছাগু না তাদের জন্য।
তোমরা তো জানতে না যে, এই পৃথিবীতে তোমরা কেন আগমন করেছ। অতঃপর আমি তোমাদের মনে জিন পর্যবেক্ষন করার বাসনা এনে দিলাম আর সত্য খুলে গেল তোমাদের সামনে, তোমরা যা জানতে না, আমি তা প্রকাশ করে দিলাম, নিশ্চয় আমরা (মগজ) নিপুণ উম্মচনকারী।
তারা কি জানে না, ব্রেক চাইপা ধইরা রাখলে গাড়ী সামনের দিকে চলে না, মাঝে মাঝে গিয়ারও চেঞ্জ করা লাগে, তবে কেন তারা মানবে না, কিসের তাদের এত অহংকার? নাকি তারা তাদের আল্লার দোযখের ভয়ে ভীত? তারা নিজেরা না পারলে আমাদের আশ্রয় প্রার্থনা করে না কেন?
হে সৎ বিজ্ঞানীগণ, আপনারা তাদেরকে (ইহুদি নাসারা মুসলিম) বলুন, তোমরা তোমাদের স্যান ড্রাইভের পাওয়ার কাট করে দাও যাতে করে দোযখ-বেহেস্তসহ সব হাবিযাবি স্মৃতি তোমাদের মাথা থেকে মুছে যায়। আর নিশ্চয় আপনাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার অসীম জ্ঞান, যা সত্যের চেয়েও সত্য, যা কখনো কমবে না। অতঃপর তারা যদি তা না করে, তবে আপনাদের ত দায় নেই, অসীম নিরুদ্দেশ যাত্রায় সহযাত্রী হারানোর ব্যথা ত আপনারা এক্স৫ত২ ড্রাইভ থেকে এন৬ভি৯২ ফাইল ডিলিট করে দিলেই ভুলে যাবেন।
তবে আপনাদের মধ্যে কেউ যদি তাদেরকে যেখানে যে অবস্থায় পাওয়া যায় ধরে ধরে ভিএলটিডি১৭ ইনজেকশন পুশ করে দেয় তাহলে তা আপনাদের জন্য মঙ্গলময়। ভিএলটিডি১৭ ইঞ্জেকশন দিয়ে দিলে তাদের মেমরি সেল থেকে আরব্য রজনীর স্মৃতি মুছে যাবে, যা আপনাদের দ্রুত সমাজ ও সভ্যতা সংস্কারে সহায়ক। তবে সীমালঙ্ঘন যেন না হয়, সীমালঙ্ঘনকারী নিজেই নিজের কর্ম দ্বারা তার জিনের ভিতর পরিবর্তন এনে নিজেরই বংশধরের আধুনিকায়নে বাধাস্বরূপ।
আর লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের ফলে যে জিন আপনারা আজকে পেলেন তা কি আপনাদেরকে সুস্পস্ট ভাবে বলে না যে এই জিনের পরিবর্তন বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এর আধুনিকায়নই গায়েবের একমাত্র ইচ্ছা? তবে কি আপনারা নারীদেরকে অবহেলা করার শিক্ষা পেলেন? কক্ষনও না, বরঞ্চ নারী আর পুরুষ গায়েবের কাছে একই স্বত্তা। নারীরা আপনার শুক্রানু গ্রহন করে এবং তার সাথে নিজেদের ক্রোমজম সংযোগ ঘটিয়ে আপনাদের এবং নিজেদের বংশ বিস্তার করে, তবে কি তারা আপনাদের জন্য অধিক পূজনীয় নয়? নারীদেরকে সদা প্রফুল্ল এবং স্বাস্থ্যবতী রাখা আপনাদের বিশেষ দায়িত্ব, আর যারা তা করে তারাই আপনাদের মাঝে উত্তম পুরুষ।
কোনো নারীকে দেখে যদি আপনাদের বাসনা জাগে তার মধ্যে নিজেদের শুক্রানু পুশ করার, তবে তার অনুমতি প্রার্থনা করুন, যদি সে আপনার শুক্রানু ধারণ করতে রাজী না থাকে, তবে অন্য আরেকজন নারীর কাছে যান; এভাবে একের পর এক যতক্ষণ ভিক্ষা না মেলে। তবে সীমালঙ্ঘন আপনাদের নিজেদেরই অমঙ্গল বয়ে আনে। অতঃপর সে যদি গর্ভবতী হয়ে পড়ে, তবে তার সুস্বাস্থ্য এবং আপনাদের সন্তানের সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা নিশ্চিত করা আপনাদের অবশ্য দায়িত্ব, যতদিন না সে ১৮ বছরের সাবালক হয়ে যায়, তবে যদি কেও চায় তাদের নাতি-নাতনিরও স্বাস্থ্য এবং শিক্ষায় সাহায্য করতে, তবে তা অধিকতর উত্তম। কারণ নাতী-নাতনী আপনাদেরই জিন বহন করে।
আপনারা তো জিনবহনকারী জাহাজস্বরূপ। নিজেরা লক্ষ লক্ষ বছরের পুরানো জিন বহন করেন আবার সে জিনকে আরেক কারখানায় আপলোড/ডাউনলোড করে নতুন নতুন জাহাজ বানান, আবার সে জাহাজগুলা আপনাদেরই জিন ধারণ করে আপনাদেরই অস্তিত্বের সাক্ষী দেয়, তাহলে গায়েব কি আপনাকে অনন্তকাল ধরে বাঁচিয়ে রাখেনি? এরপরেও কি আপনারা মৃত্যুর পর আবার জীবন খুঁজবেন? চিন্তা করা উত্তম আপনাদের গায়েবের পক্ষ থেকে।
জন্মদানের উদ্দেশ্য ব্যতীত যৌনসম্ভোগ নিয়ে অধিক ব্যস্ত থাকা আপনাদের জন্য ক্ষতিকর বা সময়ের অপচয়, “মাসে এক, বছরে বারো, তার মধ্যে যত কমাতে পার” নীতি আপনাদের জন্য মঙ্গলময়। সময়ের অপচয় না করে জ্ঞান অর্জন করা গায়েবের তরফ থেকে অধিক সন্মানিত কারণ যত তাড়াতাড়ি আপনারা পরমজ্ঞান লাভ করবেন, তত তাড়াতাড়ি গায়েবের সাথে আপনাদের দেখা মিলবে। গায়েব বড়ই নম্র এবং বিনীত যে কিনা আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ভবিষ্যৎ পাড়ি দিতে চা্য়, আর তাই তো তিনি এত যত্ন করে লালন করেন আপনাদেরকে। তবে আপনারা কি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন?
বলো, তোমরা কেন রমণীদিগের প্রতি অত্যাচার কর? তোমরা যখন একজনকে একলা ফেলিয়া আরেকজনের সাথে সহবাস কর, তখন কি ভাব না সেও যদি তা-ই করে তবে তুমি কি পরিমাণ কষ্ট পাইবে? তবে তোমরা কেন তাদের দুর্বলতা সম্বল করিয়া বাণিজ্য কর? যুগে যুগে তোমাদের সন্তান ধারন করিয়াই নারীরা কিছুটা দুর্বল হইয়া গিয়াছে। গায়েব তোমাদের এহেন কর্ম দেখিয়া বড়ই ব্যথিত হন। তোমাদেরকে কি উচিত নয় এহেন কর্ম হইতে বিরত হইয়া গায়েবকে কিছুটা শান্তি দেওয়া, যিনি তোমাদিগকে লালন করেন পরম যত্নে।
গায়েব ইচ্ছা করিলেই নিমেষে সব কিছু করিয়া ফেলিতে পারেন না, না হলে তিনি নিজেই তোমাদিগের মাঝে তোমাদিগের পিতা-মাতার, পিতামহের, মাতামহের সম্পত্তি বন্টন করিয়া দিতেন নারী এবং পুরুষ সমান সমান ভাবে। তবে তোমরা যদি স্বেচ্ছায় নারীদিগকে কিছুটা বেশী দিয়া দাও, তাহলে গায়েব অতি খুশি হন কারন তোমাদের রহিয়াছে শক্ত দুটি হাত - কর্ম করিবার জন্য, আর নারীরা ব্যস্ত থাকে উদরে তোমাদের সন্তান ধারন করিয়া। এহেন কর্ম করিলে তোমাদের জন্য রহিয়াছে অতি উত্তম পুরস্কার –সুসন্তান যারা গায়েবের কাছে তোমাদের প্রতিনিধিত্ব করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন