আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১২

বিশ্বাসবিকারগ্রস্তদের ধর্মীয় পাগলামি: পর্ব ২


কতো যে উৎকট, পাশবিক, ভয়াবহ, বিপজ্জনক বা হাস্যোদ্রেককারী রিচ্যুয়ালের প্রচলন আছে ধর্মবিশ্বাসীদের বিশ্বে! যারা ওসব পালন করে, তাদের মানসিক সুস্থতা প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারে। প্রবল ধর্মবিশ্বাস স্পষ্টতই মানুষকে নির্ঘিলু বানিয়ে ফেলে বা অকেজো করে ফেলে মগজকে।

এইসব রকমারি রিচ্যুয়াল নিয়ে একটি সিরিজ শুরু করেছিলেন মালা আলম, তবে  তিনি ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে পারছেন না বলে সাগ্রহে সিরিজটির দায়িত্ব নিয়েছেন অজাতশত্রু। 

মক্কার কালা পাত্থর

সবাই বলেন আলহামদুলিল্লাহ্‌। বিসমিল্লাহ্‌ বলে শুরু করলাম। 

ইসলামি সংস্কৃতি মতে, মক্কার কালো পাত্থর সোজা বেহেস্ত থেকে এসেছে। আরো বলা হয়, এই পাথর মানুষের সব পাপ নিজের মধ্যে নিয়ে মানুষকে পাপমুক্ত করবে। পাথরের ঐশ্বরিক গুণ!!! কোনো কোনো মুমিন বান্দা মনে করে থাকেন, এই পাথরের আসল রঙ সাদা ছিল, কিন্তু মানুষের পাপ নিজের ভেতর নিতে নিতে কালো হয়ে গেছে। (এইটা দেখি শিবের মতন নীল কন্ঠ মানে কালা দেহ!!!) 


পাথরটি অমসৃণ ডিমের মতো, গড় পুরুত্ব ১০ ইঞ্চি। এইটি হয়তো একটি উল্কাপিণ্ড, সম্ভবত, ভল্কানিক লাভার একটি অংশ, অতি কঠিন পাথরের একটি বড় অংশ, অথবা কাঁচের একটি অংশ, যা একটি উল্কাপিণ্ডের ধাক্কার ফলে তৈরি হয়েছিল। (মুমিনরা কিন্তু কয়, স্বর্গ থিকা পড়সে?!!!) এর অনেক অংশ পূর্বে দুর্ঘটনাবশত ভেঙে গিয়েছিল, মূলত যখন একে ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়েছিল। (আল্লাহ থাকতেও ক্ষতিসাধন!!!) এই প্রাচীন কাঠামো মক্কার কাবা মানে পরিচিত। মক্কা মসজিদের আঙ্গিনাতেই এর অবস্থান। 

মক্কা ভ্রমণের সময় পাথরের মুক্ত অংশ লক্ষাধিক মুমিন হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করে এবং চুম্বন করে, যার ফলে মসৃণ পৃষ্ঠের সৃষ্টি হয়েছে। মক্কার তীর্থযাত্রীরা মনে করে, ওই পাথরকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে স্পর্শ করলে পুণ্যলাভ করা যায়, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ ভিড়ের কারণে কাছে যেতে পারে না, তারা ওইদিকে নির্দেশ করেই শান্তি পায়। (ইসলামে নাকি না মূর্তিপূজা মানা? তাইলে এইটা কি?!!!) 

ঐতিহ্য অনুসারে জানা যায় যে, আদম আর ইভ আর নূহ-এর সাথে এই কাবার সম্পর্ক আছে। আব্রাহাম আরব ভ্রমণর সময় এই পাথর খুঁজে পায়। পরে তার ছেলে ইব্রাহিম মন্দির গড়ে তোলে সেখানে। এই গঠন যখন আবার তৈরি করা হয়, তখন বর্তমান রূপ লাভ করে। (আদম-ঈভ সত্য ছিল! ইব্রাহিম আবার মন্দির গড়েছিল। মসজিদ কই? আবার কয় এখানে নাকি নতুন করে কাঠামো গঠন করা হয়েছে। তাহলে কাবা কেমনে আল্লাহ্‌র সৃষ্টি?!!! এতো স্ববিরোধিতা কেমনে হয়?!!!) এই হল আসল বাকা, মানে কাবা। বলেন সুবাহানাল্লাহ।

হায়রে আবালীয় ইচলামী রিচ্যুয়াল।

পর্ব ১ এখানে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন