আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১২

সূরা আলবার্ট আইনস্টাইন


লিখেছেন থাবা বাবা

(মহান বিজ্ঞানের প্রতিভূ শয়তান কর্তৃক নাজিলকৃত)

আজ তাঁর জন্মদিন
সূর্যের আলোকতরঙ্গের শপথ... হে মানব সমাজ, তোমরা কি বিজ্ঞানের প্রেরিত বার্তাবাহক আইনস্টাইনের কথা শ্রবণ কর নাই! তোমরা কি E=mc2 ভুলিয়া গিয়াছ? তোমরা কি জান না, বিজ্ঞানের মহান সূত্র এবং তত্ত্বের প্রতি যাহারা বিমুখ হয় ও বিস্মৃত হয়, তাহারা পর্যন্ত আমার অনুগ্রহ লাভ করিয়া থাকে, যদিও সেটা তাহাদের প্রাপ্য নহে। নিশ্চয় বিজ্ঞানের অনুগ্রহ অসীম। তোমারা নিশ্চয়ই অবগত আছ যে, জ্ঞান ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা আমার কাছে সবচেয়ে আদরণীয় এবং বিজ্ঞানচর্চাকে আমি সকল কিছুর ঊর্ধ্বে মর্যাদা দান করিয়াছি! আর যাহারা জ্ঞান ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা সম্পর্কে বিমুখ হয়, কদর্য আল্লাহ ও বিবিধ অশুভ ভগবানেশ্বরেরা তাহাদের প্রলুদ্ধ করে এবং তাহারা মিথ্যা ও ভুল পথে পরিচালিত হয়, যাহা কখনোই কাম্য নহে।

তোমরা জানিয়া রাখ, হে মুক্তমনাগণ, আমি নিশ্চয়ই আলবার্ট আইনস্টাইনকে বিজ্ঞানের সর্বশেষ বার্তাবাহক করিয়া পাঠাই নাই, যাহা অনেকেই ভাবিয়া লইয়াছিল, যদিও এই সকল ভাবনা-চিন্তা ও “শেষ কথা” বলিয়া বিজ্ঞানে কিছুর স্থান নাই এবং যে কোনো সময় যে কেউ ভুল প্রমাণিত হইতে পারে; যেমন আইনস্টাইনের মহান তত্ত্বও এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। অতঃপর সেই সকল সূত্রসমূহ নিজ নিজ যুক্তির বলে টিকিয়া থাকিলে সর্বদাই আমার সমর্থন লাভ করিবে।

আলোর বর্ণালী ও নিউটনের তৃতীয় সূত্রের শপথ, আমি ঘোষণা করিতেছি যে, তোমাদিগের মধ্যে যে কেউ বিজ্ঞানের ধারক-বাহক ও বার্তাবাহক হইতে পার। মহান বিজ্ঞান সেই নিমিত্তে তাহার দ্বার সদা সর্বদা অবারিত রাখিয়াছে। তোমরা কি স্টিফেন হকিং-এর ব্যাপারে অবগত নহো? কী করিয়া এই মহান সাধক বাক- ও চলচ্ছক্তি রহিত হইয়াও নিজ যোগ্যতা ও বিজ্ঞানের সহায়তায় বিজ্ঞানের সকল মহান বার্তা প্রচার করিয়া যাইতেছে? ইহা কি মানব সম্প্রদায়ের জন্য চরম সুসংবাদ নহে?

আমি তোমাদিগকে এই সুসংবাদ দিতে চাই যে, বিজ্ঞানের মহান সাধক আইনস্টাইনের জন্মতিথীতে তোমরা তাহার প্রদত্ত বার্তা ও তত্ত্বসমূহ লইয়া অধিক চর্চা ও আলোচনা কর, যাহাতে বিজ্ঞানের আলো ধর্মের নূরকে বিতাড়িত করিয়া বিশ্বজগৎ সমুজ্জ্বল করিতে পারে!

নিশ্চয়ই বিজ্ঞানের শক্তি অসীম ও শুভকর!!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন