শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

ইসলামী ইতরামি: ষোলোকলা

১. 
নিদ্রা অপেক্ষা নামাজ উত্তম তো বটেই, এমনকি নামাজ উত্তম মানুষের জীবনের চেয়েও। বিপন্ন বৃদ্ধার মৃত্যু হলো, কারণ দায়িত্বরত মুসলিম সেবক ব্যস্ত ছিলো ফরজ আদায়ে।

২. 
নরওয়ে যে অংশগুলো শান্তিকামী মুসলিম অধ্যুষিত, সেসব এলাকায় অপরাধের হার পার্শ্ববর্তী এলাকার চেয়ে মাত্র নয় গুণ বেশি। এবং এই অপরাধগুলোর শিকার হয় মূলত নরওয়েজিয়ান ও অমুসলিমরা। নরওয়েবাসী আরেক মুসলিম তো হল্যান্ডের চিত্রনির্মাতার (ইসলামের সমালোচনামূলক 'ফিতনা' ছবির পরিচালক) মুসলিম হত্যাকারীর গুণগান গাইলো প্রকাশ্যে।

৩. 
মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকরা হামলা চালিয়ে বাউলদের মঞ্চ ভাংচুর করে এবং অন্তত ১০ বাউল সাধককে মারধর করে। 

৪. 
ইছলামের শান্তির আদর্শে উজ্জীবিতদের কবল থেকে একচল্লিশজন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছয় থেকে এগারো বছর বয়সী এই শিশুদেরকে আত্মঘাতী বোমারু বানানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছিল। ভাবছেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা? একেবারেই নয়। আরও দু'টি নমুনা: দশ বছর বয়সী দুই আত্মঘাতী বোমারু গ্রেপ্তার, আত্মঘাতী বোমারু বানাতে শিশুদের ক্রয় করছে তালিবান। 

৫. 
প্রবাসে মুসলিম মেয়েরা অনৈসলামিক পোশাক পরে, অমুসলিম প্রেমিক জোটায়, এবং এতে নাকি পরিবারের সম্মানহানি হয়! আর তাই সেই 'সম্মান' রক্ষার্থে সহিংসতার প্রয়োগ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে অধিকাংশ ব্রিটিশ মুসলিমরা। কারণ সহিংসতায় অসম্মানের কিছু নেই তো! এদিকে পাকিস্তানে গত বছরে মাত্র ৯৪৩ জন মেয়ে অনার কিলিং-এ তাদের প্রাণ দিয়েছে এবং এভাবে রক্ষা পেয়েছে ও উন্নীত হয়েছে তাদের পরিবারের সম্মান।  

৬. 
ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগে হামলা চালিয়ে ছওয়াব কামানোর পরিকল্পনা বৃথা গেল এক মমিনের। ইউরোনিউজ চ্যানেলের কুড়ি সেকেন্ডের ভিডিও। 

৭. 
কাফেরদের দেশে গিয়ে মসজিদ বানাতে মুসলিমরা সদাই তৎপর। তাতে সামান্য বাধা পড়লেও ইছলামের প্রকৃত রূপ প্রকাশ পেয়ে যায়। কিন্তু আরব অঞ্চলের সমস্ত চার্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে চৌদি আজবের প্রধান মুফতি। অর্থাৎ 'বিশ্বে শুধু নড়িবেক তারই লেজটুকু'। 

৮. 
পুরুষদের খতনা দেয়ার প্রথাটিই বর্বর। আর নারী-খতনা তো অকল্পনীয় রকমের ভয়াবহ। অথচ এই ভয়াবহ প্রথার চর্চা বেড়ে চলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। 

৯. 
কোনও মমিন যদি এক অমুসলিমকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে (মরুভূমি সুশীতল? তাতে ছায়াও আছে?) আনতে পারলে সেই মমিনের বেহেশতবাস নিশ্চিত বলে জানা যায়। পাকিস্তানে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ জন তাদের বেহেশতগমন পোক্ত করতে সক্ষম হচ্ছে: তারা হিন্দু মেয়েদেরকে অপহরণ করে বলপূর্বক আনছে নূরের পথে

১০. 

১১. 
সব ধর্মই ভয় পায় শিক্ষাকে। তবে ইসলাম এই ভীতিকে সাফল্যের সঙ্গে ক্রোধে রূপান্তর করতে পারে। উত্তর নাইজেরিয়ায় ইসলামীরা একের পর এক স্কুল ধ্বংস করে পাঁচ হাজার স্কুলবালকের শিক্ষাগ্রহণপ্রক্রিয়া রোধ করেছে। 

১২. 
স্ত্রী-প্রহার ইসলামে হালাল। কোরানেই এর স্পষ্ট উল্লেখ আছে। তবে প্রহারপদ্ধতি বিষয়ে নানা মোল্লার নানা মত - এ বিষয়ে স্ত্রী-প্রহারের ইসলামী তরিকাগুচ্ছ নামে খুবই কৌতূহলোদ্দীপক একটি পোস্ট প্রকাশিত হয়েছিল ধর্মকারীতে। তো কানাডায় এখন একটি ইছলামী বই পাওয়া যাচ্ছে: A Gift For Muslim Couple. বইয়ের শুরুতেই স্ত্রী সম্পর্কে বলা আছে: তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বলপ্রয়োগ করার বা হুমকি দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া বইয়ে "চাহিবামাত্র স্বামীর চাহিদা মেটাতে স্ত্রী বাধ্য থাকবে", "স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ি ছেড়ে বেরোতে পারবে না" ইত্যাকার স্ত্রী-অধিকারের পাশাআশি উল্লেখ আছে স্ত্রীর প্রহৃত হবার অধিকারের কথা। স্ত্রীকে পেটানো যাবে হাত দিয়ে বা লাঠি ব্যবহার করে। সন্দেহ নেই, মুসলিম স্ত্রীদের জন্য চমৎকার 'গিফট'।

১৩. 
মুসলিমদেরকে বসতে দিলে নামাজ পড়তে চায়। অর্থাৎ একটু প্রশ্রয় পেলেই এরা ইছলামী কার্যকলাপ প্রচারে ও প্রসারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কাফেরদের দেশে বাস করে সেখানকার সমস্ত অনৈসলামিক সুযোগ-সুবিধে নির্লজ্জের মতো ভোগ করে বেহায়ার মতো ইছলামী রীতি-ঐতিহ্য চাপিয়ে দেয়ার প্রয়াস মুসলিমদের সহজাত। দুই ঈদের দিনে স্কুল ছুটির দাবি করেছে এক মমিন। আরেক আবাল শিশুকামী, যুদ্ধবাজ নবীর জন্মদিনে জাতীয় ছুটির দাবি জানিয়েছে। 

১৪. 
ইউরোপীয় মুক্ত জীবনধারায় অভ্যস্ত হওয়ায় মেয়ের মৃত্যু কামনা করে মা। অনুমান করুন, মা কোন ধর্মের অনুসারী। 

১৫. 
এক ইসলামবাজ বলছে, সন্তানকে আমেরিকান পাবলিক স্কুলে পাঠানোর চেয়ে টয়লেটে পাঠানো ভালো। ওদিকে আরেকটা খবরে দেখা যাচ্ছে, চৌদিরা তাদের সন্তানদেরকে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলগুলোতে ভর্তি করাতে উদগ্রীব। লক্ষ্য - ভালো ইংরেজি শেখানো। আল্লাহপাক আর নবীজির ভাষা আরবিরে কেউ পুছেও না! 

১৬.
মুসলিমরা বড়োই শব্দদুষণপটু। মাইক-সংস্কৃতির প্রধান ধারক ও বাহক এরা। ভিডিওতে দেখুন, সংকীর্ণ এক সড়কের এক পাশে খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছে এবং ঠিক তার উল্টোপাশেই এক গণ্ডা মাইকে উচ্চৈঃস্বরে ইছলামী সঙ্গীত বাজিয়ে কাফেরদের কাজে বাধা দিয়ে অশেষ ছওয়াব হাছিল করছে শান্তিকামীরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন