লিখেছেন ধর্মপ্রাণ প্লেবয়
মানুষ কি মৃত্যুর পর শুনতে পারে? আসুন দেখি, এ বিষয়ে কোরান ও হাদিস কী বলে?
হাদিস
আব্দুল্লাহ্ এবনে ওমর বর্ণনা করেন:
রাছুল (সাঃ) মরা লাশগুলোর প্রতি উঁকি দিয়ে বলতে লাগলেন- ঐ সময় হযরত ওমর (রাঃ) বললেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আপনি মৃত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলছেন? যাদের কোনো শ্রবণশক্তি নেই। নবী উত্তর দিলেন, তারা তোমাদের মতোই শ্রবণ করে, কিন্তু উত্তর দেওয়ার শক্তি নেই।
(হাদিস সূত্র: বোখারী, ১ম খন্ড, আজিজুল. হক; পৃ: ৩৫১; হামিদিয়া লাইব্রেরী)
অপরদিকে কোরান কী বলে?
কোরান
সূরা নমল ২৭:৮০ আয়াত:
إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاء إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَঅর্থ: নিশ্চয়ই তুমি মৃতদেরকে শুনাতে পারবে না– অন্ধ, বধিরকেও নয়।
সূরা রূম ৩০:৫২ আয়াত:
فَإِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاء إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَঅর্থ: অতএব, আপনি মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না।
দেখা যাচ্ছে, এ বিষয়ে হাদিস ও কোরানের মত সম্পূর্ণ বিপরীত।
এখন দেখা যাচ্ছে, মোহাম্মদ স্পষ্টতই আল্লার বাণীকে অস্বীকার করেছে। অস্বীকার করা হতে পারে দুইটি কারণে, না জানা থাকা ও ইচ্ছাকৃত। রাসূল হিসেবে কোরান না জানা বা ব্যাখ্যা না জানা অসম্ভব। বাকি থাকে ইচ্ছাকৃত। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোরানের কোন আয়াত অস্বীকার করে তাদের ব্যাপারে বলা আছে:
তাহলে তোমরা কি ধর্মগ্রন্থের অংশবিশেষে বিশ্বাস কর ও অন্য অংশে অবিশ্বাস পোষণ কর? অতএব তোমাদের মধ্যে যারা এরকম করে তাদের ইহজীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া আর কি পুরষ্কার আছে? আর কিয়ামতের দিন তাদের ফেরত পাঠানো হবে কঠোরতম শাস্তিতে। আর তোমরা যা করছ আল্লাহ সে বিষয়ে অজ্ঞাত নন।
(সূরা বাকারা, আয়াত ৮৫)
কোরান কি তার কথা রেখেছে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন