লিখেছেন হযরত নালায়েক
উইকিলিক্সের ফাঁস করা জিব্রাইলের গোপন বার্তা থেকে জানা গেছে যে, আধুনিক যুগের মুমিনদের পাঞ্জেরী ডাঃ যাকির নায়েককে ডিজিটাল নবী হিসেবে মহান আল্লাহ তা’আলা মনোনীত করেছেন। তাঁকে নবী করার জন্য দিকে দিকে বিশেষ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে, বাদ জুম্মা আল্লাহের কাছে বিশেষ মোনাজাতও করা হবে বলে জানা যায়। যাকির নায়েক এ খবর শুনে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “আমি নবী হলে আমার উম্মতদের জন্য ৭২টি নয়, তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি হুরপরী থাকবে, ডিজিটাল যুগের মুমিনদের চাহিদার কথা বিচার করে হুরপরীদেরকে আরো যৌন আবেদনময়ী করার জন্য আল্লাহের কাছে ফরিয়াদ জানাব।” তিনি নবী হওয়ার পরে মুমিনদের জন্য আরো কিছু থাকবে বলে রহস্যময় ইঙ্গিত করেন। তবে গোপন সূত্রে জানা গেছে, তিনি তার উম্মতদের জান্নাতে আরো বেশি গেলমানের ব্যবস্থা করবেন।
তবে এ ঘটনায় আরব বিশ্বে বয়ে যাচ্ছে সমালোচনার ঝড়। পবিত্র কাবা শরীফের প্রধান ইমাম বলেন, “নবী হওয়ার অধিকার শুধু আরব পুরুষদেরই রয়েছে। অনারব পুরুষরা যতোই বর্বর, অশিক্ষিত, ভণ্ড হোক না কেন, তারা কখনোই নবী হতে পারে না” । আল্লাহ যদি এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করেন, তাহলে আরবরা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন। আপাতত তারা কাবা শরীফের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে মুফতি আমিনী এ খবর শুনে হতাশায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, “নায়েক সাহেব খ্রিষ্টানদের স্যুট-টাই পরে এসির বাতাসে বয়ান করেন, আর এদিকে আমি কোরানে বর্ণিত স্বামীদের স্ত্রী পেটানোর অধিকার রক্ষায় রাজপথে আন্দোলন করছি। অথচ আল্লাহ তাকেই বেছে নিলেন!” এক বেরসিক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করে বসেন, “আপনি তো রাজপথে নামেননি, আপনিও তো বাসায় বসে এসির বাতাস খেয়েছেন”; তার উত্তরে আমিনী রাগান্বিত হয়ে বলেন “আম্নে আমাত্তে বেশি বুঝেন!”
বিশিষ্ট মাওলানা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। আল্লাহর এই বিমাতাসুলভ আচরণে তিনি যারপরনাই ব্যথিত। “ডিজিটাল যুগের ইহুদী নাসারাদের তৈরী ইউটিউব আর টেলিভিশন দিয়ে মুমিনদের কাছ পৌঁছানো যায় না।” তবে তিনি ওয়াজ করার সময় যে-মাইক ব্যবহার করেন, সেটাও যে ইহুদী নাসারারদের তৈরী জিজ্ঞাসা করার পরে তিনি উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
সাঈদীর নিজেকে নবী করার দাবি তোলার কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অধ্যাপক গোলাম আযম। “সাঈদী নিজের কথা বললেও সে কেন আমার কথা বলল না, সেটা বুঝতে পারলাম না। ৭১ সালে ইসলামের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। কোরান অনুযায়ী যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে সহবত করা, কাফেরদের কতল করা - সবকিছুই করেছি। এমনকি সহীহ ইসলামী শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলাম আমি। অথচ সাঈদী কিনা আমার কথা না বলে নিজের কথা বলল!”
এদিকে ছয় বছরের শিশু মেয়েদের পিতামাতার মধ্যে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের ঢেউ। কিন্তু নবীজির পক্ষে এতোগুলো বাচ্চাকে বধূ হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভবপর নয় বলে শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রতিযোগিতার। তারা নিজেকে হযরত আয়েশার জায়গায় দেখতে পারবে, এ কথা ভেবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কষ্টটুকু শিশুদের পিতামাতা অবলীলায় সহ্য করে যাচ্ছে। এক শিশুর অনুভূতির কথা জানতে চাইলে সে বলে, “আম্মু, আমি স্কুলে যাব!” শিশুর মা তার মুখ চেপে ধরে আমাদেরকে জানান, “আসলে আর তিন বছর পরে নবীজি ওর সাথে সহবত করবেন, একথা ভেবেই আমরা উচ্ছসিত।” তবে এই প্রতিযোগিতা নবীজির বন্ধুদেরকে খেপিয়ে তুলেছে। একজন সাহাবী জানান, “নবীজির বধূ হবার অধিকার শুধু আমাদের মেয়েদেরই রয়েছে। সেখানে এ ধরনের প্রতিযোগিতা কোরান ও সুন্নাহ পরিপন্থী।”
তবে প্রতিযোগিতা যে শুধু শিশুদের মধ্যে তা কিন্তু নয়। যৌন আবেদনময়ী সুন্দরীরা নবীজির পালক ছেলের বধূ হবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। কিন্তু পূত্রবধূ কেন, এ প্রশ্নের জবাবে এক সুন্দরী বলেন, “আসলে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি তো, তাই অন্য পথে ট্রাই করছি। পূত্রবধূ থেকে নবীজির নিজের বধূ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এরকম সুযোগ হেলায় হারাতে চাই না।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন