আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ০৫

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪

এক রাত্রির খেল:

কথায় আছে - লাখ কথা খরচ করে একটি বিয়ে হয়। বিয়েতে শুধু যে লাখো কথা আর সুদীর্ঘ সময় লাগে, তা-ই নয়, দেনমোহরের বোঝাটাও কম ভারী নয়। এতসব ঝামেলা এড়াতে অনেককে তাই ‘কুইক সেক্সের’ শরণ নিতে দেখা যায়। পৃথিবীর প্রাচীনতম এই পেশাটিতে রমণীর অভাব কোনোকালে ছিল না। এক রাত্রির অতিথিদের আনন্দ দিতে তারা এক পায়ে খাড়া। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় এই সেক্সের নাম “এক রাত্রির খেল"- ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড। বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, এই সহজ উপায়টির সমতূল্য বিধান পবিত্র ইসলামেও আছে! 

এক রাত্রির খেলার ইসলামি পারিভাষিক নাম ‘মু’তা’ - মু’তা ম্যারেজ। এই বিয়ের নিয়মানুযায়ী - একজন পুরুষ কোনো মেয়ের সাথে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে বিয়ের চুক্তি করে অনায়াসে তার সাথে সহবাস করতে পারে। যদিও সুন্নী সমাজে এই ধরনের বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, শিয়াদের মাঝে এখনও তা চালু আছে। মু’তা বিয়ের মাধ্যমে সন্ধেবেলায় একটি মেয়েকে বিয়ে করে সকালবেলায় কিক আউট করা খুবই সম্ভব। তালাক-ফালাকের কোনো ঝামেলা নাই। মু’তা বিয়ে এক সাথে ঘুমানোর একটি চুক্তি মাত্র - এর বেশি কিছু নয়। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এক সাথে চার জনের বেশী বউ রাখা যদিও শরীয়তে নিষিদ্ধ, তবে মু’তা বা টেম্পোরারী বিয়ের ক্ষেত্রে এই বিধি প্রযোজ্য নয়। কোনো বিশেষ সময়ে একজন মুসলমান কতজন অস্থায়ী বউ রাখতে পারবে, তার নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নাই। মু’তা বিয়ের কোন টাইম লিমিট নাই। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ‘এক রাত্রির খেল’ প্রথাটি পুরোপুরি ইসলামসম্মত। মু’তা বিয়ের মাধ্যমে একজন মুসলমান ইচ্ছে করলে যে কোনো সংখ্যক নারীর সাথে দিনরাত সঙ্গমসুখ উপভোগ করতে পারে। কথিত আছে যে, নবীর (দঃ) দৌহিত্র হযরত হাসানের (রাঃ) বৈধ স্ত্রীদের অতিরিক্ত তিন শ’জন সেক্স পার্টনার ছিল (ইসলামী পরিভাষায় অস্থায়ী স্ত্রী)। এদিক বিবেচনা করলে হযরত হাসানকে সে যুগের 'ইসলামী প্লেবয়' আখ্যা দেয়া যেতে পারে। আমার বর্ণনায় আপনার সন্দেহ হচ্ছে? তাহলে নীচের সহি হাদিসটি লক্ষ্য করুন, দেখুন এক রাত্রির খেলের জন্যে সঙ্গিনী বা উপপত্নী যোগাড় করার ইসলামি নিয়ম কী?

সহি মুসলিম, বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩২৫৩: 
রাবি বিন ছাবরা হতে বর্ণিত হয়েছে যে মক্কা বিজয়ের সময় তার পিতা রাসুলুল্লাহর (দঃ) সাথে এক যুদ্ধে শরীক হয়। ‘আমরা সেখানে পনের দিন অবস্থান করি। আল্লাহর রসুল (দঃ) আমাদিগকে অস্থায়ী বিয়ের অনুমতি দেন। সুতরাং আমি আমার গোত্রেরই এক লোকের সাথে (মেয়ে খুজতে) বেরিয়ে পড়ি। আমার সঙ্গীর চেয়ে আমি দেখতে সুন্দর ছিলাম, পক্ষান্তরে সে দেখতে ছিল প্রায় কদাকার। আমাদের উভয়েরই পরনে ছিল একটি করে উত্তরীয়। আমার উত্তরীয়টি ছিল একেবারেই জীর্ণ, আমার সঙ্গীরটি ছিল আনকোরা নুতন।... শহরের একপ্রান্তে একটি মেয়ে দৃষ্টিগোচর হলো আমাদের। অল্পবয়েসী চমৎকার একটি মেয়ে, ঠিক যেন মরাল গ্রীবা চটপটে এক মাদী উট। আমরা বললাম, আমাদের মধ্যে একজন তোমার সাথে অস্থায়ী বিয়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চাই। তা কি সম্ভব? সে বলল, দেনমোহর বাবদ তোমরা আমাকে কী দিতে পার? আমরা উভয়েই তার সামনে আমাদের স্বস্ব উত্তরীয় মেলে ধরলাম। সে আমাদের উভয়ের উপর দৃষ্টি বুলিয়ে নিল। আমার সঙ্গীও মেয়েটির উপর দৃষ্টি বুলিয়ে নিল এবং বললো, ওর উত্তরীয় ছিড়ে গেছে, পক্ষান্তরে আমার উত্তরীয়টি একেবারে নুতন। মেয়েটি অবশ্য বললো, এই উত্তরীয়টি (পুরাতনটি) গ্রহণ করায় ক্ষতি নাই। কথাটি সে দু’তিনবার বললো। সুতরাং আমি তার সাথে অস্থায়ী বিয়ে সম্পন্ন করে ফেললাম এবং যে পর্যন্ত আল্লাহর রসুল প্রথাটি নিষিদ্ধ ঘোষণা না করেন, সে পর্যন্ত এই সম্পর্ক আমি ছিন্ন করিনি।
মু’তা’র শাব্দিক অর্থ উপভোগ (ডিকশনারী অব ইসলাম- টি.পি.হাফস, পৃঃ-৪২৪) প্রায়োগিক অর্থ - কিছু অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্যে অস্থায়ী বিবাহ। এই ধরণের বিয়ে ইরানে শিয়াদের মাঝে এখনও প্রচলিত আছে (ম্যালকম’স পারশিয়া, ভলিউম-২, পৃঃ-৫৯১), তবে সুন্নীরা এই ধরণের বিয়েকে অবৈধ বলে থাকে। আওতাস নামক স্থানে নবী এই ধরনের বিয়ে করতে অনুমতি দিয়েছিলেন, যা নাকি মুসলিম সম্প্রদায়ের নৈতিক মর্যাদার উপর নিঃসন্দেহে এক গুরুতর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সুন্নীদের দাবী - পরবর্তীতে খায়বার নামক স্থানে প্রথাটি বাতিল করে দেন নবী। (মেশকাত, বুক নং ১২, চ্যাপ্টার ৪)।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন