মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)
পূর্বোক্ত হাদিস তিনটি ভালভাবে পাঠ করুন, পাঠক। কী মনে হয় আপনার? কেউ একজন দয়া পরবশ হয়ে বিধবা বিয়ে করলো, মোহম্মদের (দঃ) প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তার অবস্থাটা কী দাড়ালো তা’হলে? তার বিধানকে অনুসরণ করে কেউ যদি অতি অল্পবয়েসী মেয়েকে বিয়ে করার জন্যে ক্ষেপে উঠে, তাকে খুব একটা দোষ দেয়া যায় কি? যৌন-নির্যাতনকারী হিসেবে গণ্য করাও মুশকিল, কারণ সে আল্লাহর রসুলের (দঃ) নির্দেশ পালন করেছে মাত্র। স্বয়ং রসুলের (দঃ) হেরেমে এরূপ একজন কুমারী ছিল। তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছিলেন যে, কম বয়েসী কুমারীর সাথে সহবাসে মজাই আলাদা। বালিকা শিশুদের সাথে সহবাসে আল্লাহপাকেরও নিশ্চয়ই সম্মতি রয়েছে। কোরানে আছে- আল্লাহ তার বিশ্বাসী বান্দাদের মনোরঞ্জনের জন্যে অক্ষতযোনী কুমারীদের অক্ষয় ভাণ্ডার প্রস্তুত করে রেখেছেন। প্রমাণ স্বরূপ কোরানপাকের গোটাকয়েক আয়াত এখানে উদ্ধৃতি দেয়া গেল। মেয়েদের কুমারীত্বের প্রতি আল্লাহপাকের কতটুকু মোহ, এ থেকে মোটামুটি তার একটি চিত্র পাওয়া যাবে।
সুরা দুখান (৪৪), ৫১-৫৪: “নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে, উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমুহে। তারা ব্যবহার করবে পাতলা ও কিংখাবখচিত রেশমী বস্ত্র, পরস্পর মুখোমুখী হয়ে বসবে। এরূপই হবে এবং তাদের জন্যে রয়েছে আয়তলোচনা স্ত্রীগণ”।
সুরা আর-রহমান (৫৫), ৫৪-৫৮: “তারা সেথায় রেশমের আবরণবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় জান্নাতের ফল ঝুলবে তাদের সামনে। অতএব তোমাদের পালনকর্তার কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? তথায় থাকবে আয়তলোচনা রমণীগণ, কোনো মানব ও জ্বিন পূর্বে তাদেরকে ব্যবহার করে নাই।….প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমনীগণ”।
৭০-৭৪: “সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ। অতএব তোমাদের পালনকর্তার কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? তাবুতে উপবেশকারী হুরগণ।….কোন মানব ও জ্বিন পুর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি”।
সুরা ওয়াক্কিয়া (৫৬), ৩৫-৩৮: “আমি জান্নাতের রমণীদিগকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী। কামিনী, সমবয়স্কা। ডানদিকের লোকদের জন্যে”।
সুরা আন্-নাবা (৭৮), ৩১-৩৪: “পরহেজগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য, উদ্যান, আঙ্গুরবীথি। সমবয়স্কা, ইন্দ্রিয়তৃপ্তিকারী তরুণী এবং পুর্ণ পানপাত্র”।
(কোরানুল করিমঃ মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন কর্তৃক অনুদিত)
ওপরের আয়াতগুলি পড়লে বোঝা যায়, কেন অল্পবয়স্কা কুমারী বিয়ে করা উত্তম। কারণ আল্লাহপাক অল্পবয়েসী কুমারী মেয়ে পছন্দ করেন, তাই তিনি তার প্রিয় বান্দাদের মনোরঞ্জনের জন্যে বেহেশতে তার অঢেল সরাবরাহ নিশ্চিত করেছেন।
এজন্যেই বোধ হয় পারস্যের দার্শনিক কবি উমর খৈয়াম গেয়েছিলেন:
“স্বর্গপুরের হর্মে নাকি
দেদার হুরি বসত করে,
সেথায় দেখ অঢেল সুরার
উর্মিমুখর ঝর্ণা ঝরে”।
আল্লাহর পাক কালামেও ঠিক অনুরূপ বিবরণই রয়েছে।
(চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন