আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

অসংলগ্ন কথামালা

লিখেছেন রাশান ফুলকি

সেদিন গাড়িচাপা পড়ল রহিম
সে তো ছিল আলাভোলা লোক
ঘরে ছিলই বা আর কে?
বউটা আর সে, টোনাটুনির সংসার।
রিকশা চালাতো আর গাইত গান
মনে তো সুখ ছিল তার।

হয়ত বেখেয়াল হয়েছিল সেদিন
ব্যস! মেরে দিল ঐ বাসের ড্রাইভার
চাকায় পিষ্ট হল রহিমের মাথা
ছলকে বেরিয়ে গেল রক্ত
আর দেহ থেকে প্রাণ।
তারপর থেকেই তার বউটা পতিতা
খাবার তো জোটাতে হবে তার।
আর তাই সে আজ প্রমোদবালা,
বিভিন্ন সঙ্গত ও অসঙ্গত কারণেই।
বাকি জীবন এভাবেই কাটিয়ে দিল সে
আর ঐ ড্রাইভার?
কিছুই হল না তার, সে থাকল বহাল তবিয়তে।

শেষ বিচারের মুখে
রহিমের বউটা গেল নরকে
বেশ্যাবৃত্তির দায়ে।
যে দুনিয়াতে সে পুড়েছিল আজীবন
নরকে ঠাঁই হল তার,
নিচে, সবচেয়ে ভয়াবহ স্থানে।
আবার পুড়ল সে, পাকাপোক্তভাবে
এবং আজীবনের তরে।

আর সেই বাস ড্রাইভার?
সেও গেল নরকে
রহিমকে মেরে ফেলার দায়ে।
আর রহিম, নিঃসন্দেহে স্বর্গপ্রাপ্তি হবে তার?
না, তা নয়, তারও হল নরকলাভ
সে যে গাইত গান!

তবে কী লাভ হল রহিমের বউয়ের?
কী লাভ হল রহিমের?
আর কীই বা বিচার হল সেই ড্রাইভারটির?
কতটুকুই বা মূল্য রইল তা রহিম ও তার বউয়ের কাছে?
যখন তার বউ দুনিয়াতেও পুড়ল
আবার নরকেও পুড়ল
শুধুমাত্র ঐ ড্রাইভারের কল্যাণে।
কী বিচার পেল সে?
আখিরাতের প্রহসনের মঞ্চে?
তখন আর ঐ ড্রাইভারের নরকভোগে
আর কীই বা আসে-যায় তাদের?
যখন দুনিয়াতেই খোয়াতে হয়েছে
তাদের সকল স্বপ্ন।
এদিকে, স্রষ্টা মহান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন