শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১২

জানের ওপরে ওঠা আজান

আমার এক স্কুলবন্ধু খুব চমৎকার সুরে আজান দিতে পারতো। যে কোনও ভাষায় রচিত চমৎকার সুরের সঙ্গীত আমি ভাষা না বুঝলেও খুব উপভোগ করতে পারি। কিন্তু আজান রাগে মুয়াজ্জিন হোসেন খানের শোনানো একই খেয়াল কতোবার শোনা যায় আর কতোবারই তা মুগ্ধ করতে পারে, বলুন তো? এমন কোনও গান কি পৃথিবীতে আছে, যা দিনে পাঁচবার করে শুনেও মুগ্ধতা কাটে না এবং বিরক্তিও জাগায় না? কেমন লাগার কথা, যদি সবচেয়ে প্রিয় গান দিয়েও পাঁচ বা ছয় সকালে ঘুম ভাঙানো হয় প্রতিদিন এবং যদি প্রত্যহ সন্ধ্যায় মাগরিবের সময় অল্প দূরত্বে অবস্থিত গোটা কয়েক মসজিদ থেকে ভেসে আসে কান ঝালাপালা করা সমবেত বেসুরো আজান?

খুব সম্ভব, কায়কোবাদ নামে এক মুসলিম কবির একটি কবিতা ছিলো 'আজান' নামে। সেটির প্রথম দু'লাইন ছিলো: 
কে ওই শোনালো মোরে আজানের ধ্বনি
আকুল হইলো প্রাণ, নাচিলো ধমনী।

আজানীয় অত্যাচারে আক্রান্ত ও অতিষ্ঠ আমি প্যারোডি বানিয়েছিলাম: 
কে ওই শোনালো মোরে আজানের ধ্বনি
জ্বলিল পিত্ত মম, আসিলো বমনী।

একটা ভিডিও পেলাম। তাতে আজান শুনে কুকুরের (স্মর্তব্য যে, ইসলামে কুকুর অপবিত্র প্রাণী) প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে। আপলোডার, স্পষ্টতই ঈমান্দার মমিন, বর্ণনায় লিখেছে: Subhana'allah, dog responding to the athaan (muslim call of prayer) in jerusalem, Palestine. Every natural being on the planet praises allah and remebers him. This dog is just one example, And god is all knowing !

তবে একজন মন্তব্য করেছে: Even a poor animal cringes at this ideology of hate, destruction and murder. 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন