আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১২

ইসলামপচানির প্রাবল্যের হেতু

লিখেছেন অভিষেক খান 

বন্ধুদের অনুযোগ, আমি নাকি অ্যান্টি-ইসলামিস্ট! আরে বাপ, আমি তো অ্যাথেইস্ট, তার মানে সবরকম ধর্মের বিরোধী, কেবল ইসলামবিরোধী কেন হতে যাব? তবে এটা ঠিক যে, ইসলাম নিয়েই বেশি বলি। কারণটা ভিন্ন। কারণ, ইতরামিতে যে "মুসলমানরাই" এগিয়ে!

কোনো খ্রিষ্টানকে তো গডের নামে বিমান নিয়ে বিল্ডিঙে পড়তে দেখা যায় না, জিসাসের কার্টুন আঁকলে তো কাউকে মরতে হয় না, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কিংবা হেয়ারস্টাইলের জন্য কোন ইহুদি-খ্রিষ্টানের গায়ে পাথর পড়ে না, ধর্মত্যাগের জন্য কল্লা কাটা পড়ে না, শতাধিক ছাত্রীকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা হয় না। তাহলে ওদের ব্যাপারে কী নিয়ে বলব? অন্য ধর্ম নিয়ে কিছু বলার আগে তো দশবার ইসলাম নিয়েই বলা প্রয়োজন। প্রয়োজন এজন্য নয় যে, ইসলাম খারাপ (কারণ বস্তুত ধর্ম মাত্রই খারাপ), বলা প্রয়োজন কারণ মুসলমানদের কীর্তিকলাপ বলতে বাধ্য করায়।

ইসলাম নাকি আব্রাহামিক রিলিজিয়নগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মানবতাবাদী। তবে বাস্তবে দেখা যায় উল্টো চিত্র। এর কারণ মৌলবাদ। আধুনিক বিজ্ঞান ও যুগের সাথে তাল মেলাতে ইহুদি-খ্রিষ্টানরা ওদের ধর্মগ্রন্থগুলোকে আক্ষরিক অর্থে নেয়া বাদ দিয়েছে। মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্মীয় আইন-কানুন তো আছেই, পৃথিবীর বয়স ছয় হাজার বছর কিংবা অ্যাডাম-ইভের কিচ্ছাকাহিনীকেও এখন ওরা রূপকাশ্রয়ী মনে করে। দৈনন্দিন আচার-সংষ্কৃতির সঙ্গে ওদের মূল ধর্মীয় বিধিবিধানগুলোর দূরত্ব যোজন যোজন। তাই বলে ওদের মৌলবাদীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। তবে মুসলমানরা এই ব্যাপারটাতে এখনো অনেক পিছিয়ে, আর এ কারণেই ইসলামে যত বিপত্তি।

তবে বন্ধুগণ,কথা দিচ্ছি, প্রাসঙ্গিক হলে অন্য ধর্মগুলো নিয়েও বলব। তাতে খুশি হয়ে বগল বাজাতে শুরু করো না আবার। বলি, অন্যের পশ্চাদ্দেশের কোন ফাঁকে কি আছে সেটা দেখার আগে নিজেরটা একবার চেক করে নেয়া শ্রেয়।

ধর্মপচারকের পক্ষ থেকে:
আসলে ধর্মকারীতে সব ধর্মকে নির্দয়ভাবে ধোলাই করা হলেও অনেক মুসলমানই এটাকে অ্যান্টি-ইসলামিস্ট ব্লগ আখ্যা দিয়ে নানান জায়গায় অপপ্রচার চালায়। তাদেরকে নানানভাবে বিশ্লেষণ করে চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ দেখালেও তারা তাদের সুবিধাবাদী অবস্থান ত্যাগ করে না। অভিষেক খানের লেখাটি আমার চিন্তাধারারই প্রতিফলন। শুধু তাতে আরেকটি কথা যোগ করা যায়: আমরা ইসলাম দ্বারা পরিবেষ্টিত ও আক্রান্ত বলেই ইসলামপচানির প্রাবল্য সবখানে। মতিকণ্ঠে 'আউলা মাথা' এক পাঠকের করা একটি মন্তব্য এখানে প্রণিধানযোগ্য:
একদল ধর্মগাধা আছে ইসলাম লইয়া কিছু কইলেই হিন্দু খ্রিষ্টান বৌদ্ধ লইয়া আসে। আরে গর্দভ যেখানে ৯০% মুসলিম বাস করে সেখানে তো খালি ইসলাম নিয়াই কথা হইব। আম-জামের দেশে বইয়া স্ট্রবেরী লইয়া ভাবে কেউ? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন