আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১২

মিতকথন

লিখেছেন দ্রোহী 

যে ধর্মে বোরকাকে নারীর সম্ভ্রম রক্ষার হাতিয়ার হিসাবে দেখা হয়, সে ধর্মের অনুসারীরা যে যৌনসবর্স্ব সেটা কি বলে দিতে হয়? ইসলাম নিয়ে সত্যিকার অর্থে জানেন এমন কেউ একটু বলবেন ইসলামে কেন নারীদেহ ঢেকে -ঢুকে রাখার ওপরে এত জোর দিতে বলা হয়েছে? বা আদৌ কি জোর দিতে বলা হয়েছে?

নারীদের দেহ ঢেকে-ঢুকে না রাখলে সমস্যাটা কী? ঈমান শক্ত হয়ে যায়? সেক্ষেত্রে নিজের ঈমানে ইট না ঝুলিয়ে নারীকে কেন বস্তায় ভরতে হবে?

লিখেছেন মিসির আলী

আমাকে একবার একজন বলল যে, নবীজি বিয়ে করছেন সব সামাজের কল্যাণের জন্য। উনার প্রায় সব স্ত্রীই বিধবা আর অসহায় ছিল, সুতরাং সেটা কামুক চরিত্রের পরিচায়ক না।

আমি বললাম, ভাল বলছেন জাকির নায়েক একই কথা বলে। আমি মানি নিঃসন্দেহে এইগুলা মহৎ কাজ। তো ভাই, আপনার বাবা অথবা চাচাদের কেউ যদি এমন মহান কাজ করে, আপনার কেমন লাগবে? আপনি নিশ্চয়ই পাড়ায় মিষ্টি বাটবেন তাই না? ধরেন, আপনার বাবা বয়স ৫০ অতিক্রমের পর বাজার থেকে ৩ জন বিধবা ভিখারীকে বিয়ে করলেন, আপনার তো তাকে বাহবা দেয়া উচিত। আর আপনার বোনের স্বামী যদি এই কাজ করে, আপনার কি সেটা ভাল লাগবে?

তিনি চুপ করে গেলেন।

আমি তখন বললাম, কেউ চায় না, তার বোনের স্বামী, তার মায়ের স্বামী, কন্যার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করুক আর সেজন্যই আপনাদের নবী ফাতেমা জীবিত থাকাকালীন আলীকে দ্বিতীয় বিয়ে না করার অনুরোধ করেছিলেন। কেননা তিনি জানতেন, এর যাতনা কতটুকু; মেয়েরা এর ফলে কতোভাবে স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়! আর তিনি চাইতেন না ফাতেমা এইরকম পশুর মত জীবন যাপন করুক।

আফছুছ যে, তিনি নিজের বেলায় ঠিকই বুঝলেন উম্মতের বেলায় বুঝলেন না।

লিখেছেন মহা পুরুষ 

মুণি-ঋষিরা যখন কঠোর তপস্যায় নিমগ্ন থাকতেন, দেবরাজ ইন্দ্র তখন তাদের ধ্যান ভঙ্গ করাতে অপ্সরাদের পাঠাতো। বিবস্ত্রা সুন্দরী অপ্সরাদের নাচে-গানে মুগ্ধ হয়ে মুণি-ঋষিরা তাদের সাথে শারীরিক ভাবে মিলিত হতেন এবং অন্যত্র তপস্যা করতে চলে যেতেন। এই মুণি-ঋষিদের অনেক আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ছিল, তাদের অভিশাপের ভয়ে দেবতারা পর্যন্ত কাঁপতো। বিশ্বামিত্র এমনই একজন আধ্যাত্মিক ক্ষমতাধর মুণি যিনি কিনা বিবস্ত্রা সুন্দরী অপ্সরা মেনকাকে দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেন নি। উল্লেখ্য যে, অতি শক্তিশালী আধ্যাত্মিক ক্ষমতা এখানে যৌন উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। বিশ্বামিত্রের বীর্যে জন্ম হলো শকুন্তলার, যাকে ঘন জঙ্গলে ফেলে মেনকা স্বর্গে চলে গেলেন। মানবতার চর্চার কী সুন্দর উদাহরণ! আর ইন্দ্রই বা কী মোটিভে বিবস্ত্রা অপ্সরাদের ধ্যান ভঙ্গ করাতে পাঠাতো এই বিষয়টা পরিষ্কার নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন