লিংক Anworhossain Farmer-এর সৌজন্যে পাওয়া।
রাজধানীর মাদ্রাসায় ১৪ শিশুকে খুন্তির ছ্যাকা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শ্যামপুর এলাকার তালিমুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসায় ১৪ মেয়ে শিশুকে খুন্তি দিয়ে ছ্যাকা দেওয়া হয়েছে। ৬ থেকে ১০ বছরের এই শিশুরা মাদ্রাসা ছুটির সময় নিজেদের বাড়িতে নিয়মিত নামাজ পড়েনি এমন কথা জানতে পেরে মাদ্রাসার শিক্ষকের স্ত্রী তাদের এ শাস্তি দেন।
শিশুগুলোর আর্ত চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তাদের রক্ষা করে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে নামাজ না পড়ার অভিযোগে এসব মেয়ে শিশুদের ওপর এই বর্বর কাজ করেন হুজুরের স্ত্রী জেসমিন। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা ঘেরাও করে রাখে।
আহত মাদ্রাসার ছাত্রী শিরিনের খালা ময়না বেগম বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষা শেষে ১০ দিন মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার শিশুরা মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার শিক্ষক মাসুদুর রহমানের স্ত্রী জেসমিন তাদের কাছে বন্ধের ১০ তারা প্রতি ওয়াক্ত নামায আদায় করেছে কিনা জানতে চান।
কয়েকটি শিশু নিয়মিত নামাজ পড়া হয়নি জানালে জেসমিন পাশের ঘর থেকে খুন্তি আগুনে গরম করে একে একে ১৪টিশিশুকে ছ্যাকা দেন। শিশুদের আর্তচিৎকারে শুনতে পেয়েই আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে।
ময়না আরো জানান, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে এলাকার প্রভাবশালী ফজলুর সহযোগিতায় জেসমিন ও মাসুদুর রহমান পালিয়ে যায়।
ঘটনার অনেক পরে শ্যামপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ এস আই) যুবায়ের ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের খোঁজ করেও পাননি বলে বাংলানিউজকে জানান।
আহত শিশুদের কয়েকটির নাম জানা গেছে। এরা হচ্ছে- শিরিন, ফেরদৌসি, রেখা, সুমি ও রুমা।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬০৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১২
আরও দু'টি খবর। পাঠিয়েছেন N.c. Neel
সিলেটে দেরি করে মাদ্রাসায় যাওয়ার ও নবীগঞ্জে স্কুলে ভর্তির কথা বলার অপরাধে
দেরি করে মাদ্রাসায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নগরীর নাববরোড এলাকার মাদারিছুল আল হারামাইন মাদ্রাসায় গতকাল সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রের নাম ওমর ফারক (১০), সে মাদ্রাসায় হাফিজি বিভাগের ছাত্র।
ওমর ফারুক কুয়ারপাড় এলাকার ব্যবসায়ী মইনুল হকের ছেলে। প্রায় দুই বছর হয় তাঁকে ওই মাদ্রাসায় হাফিজ শিক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়। ওমরের পরিবারের সদস্যরা জানান, মাদ্রাসায় হাফিজি শিক্ষার প্রথম পাঠ ভোর সাড়ে ছয়টায় শুরু হয়। প্রতিদিন সে ওই সময়ের আগেই মাদ্রাসায় যেত। ওমর গতকাল বাসা থেকে বের হয়ে বাথরুম করার জন্য আবার বাসায় ফিরে আসে। এতে তার আধাঘন্টা সময় পাড় হয়ে যায়।
নবীগঞ্জে স্কুলে ভর্তির কথা বলার অপরাধে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে নির্যাতন
নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধা কওমি মাদরাসার ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রকে গত রোববার দুপুরে মাদরাসায় পড়া লেখা বাদ দিয়ে স্কুলে ভর্তি হওয়ার অপরাধে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক বেত্রাঘাত করে আহত করেছে । তাকে তার অভিভাবকরা আহত অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন ।
জানা যায়,বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের মুছাবিবর মিয়ার ছেলে কামিল আহমদ (১২) কে তার পিতা প্রাইমারী শেষ করে প্রায় ২ বছর পুর্বে নবীগঞ্জের গন্ধা কওমি মাদরাসায় ভর্তি করেন । এখানে সে মাদরাসার ছাত্রাবাসে থেকে পড়া লেখা করে আসছিল । মাদরাসায় তার লেখা পড়ার প্রতি তার মনোযোগ না থাকায় । ঐ ছাত্রের ইচ্ছে ছিল স্কুলে পড়া লেখা করার । এ নিয়ে সে প্রায়ই একথা মাদরাসার শিক্ষকদের বলে আসছিল এবং কান্নাকাটি করে স্কুলে ভর্তি হবার জন্য বলে । এ অবস্থায় গত রোববার মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু ইউসুফ কে ঐ জানায় সে আর মাদরাসায় পড়া লেখা করবে না বলে জানালে শিক্ষক তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বেত দিয়ে বেধরক ভাবে বেত্রাঘাত করেন । এতে সে গুরুতর আহত হলে খবর পেয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে তার পিতা মুছাবিবর মিয়া মাদ্রাসায় এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন । এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনামনি চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ধরনের কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাইনি ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন