সোমবার, ২৮ মে, ২০১২

একাত্তরে হালাল নারীধর্ষণ

লিখেছেন নাস্তিক দীপ

একাত্তুরে পাকিস্তানি আর্মি কর্তৃক বাঙালি নারী ধর্ষণের জন্য যারা পাক আর্মিদের গালি দেন, তাদের জন্য পবিত্র কোরআন এবং হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা। আর যুদ্ধশিশুদের জন্যও পাকি আর্মিদের দায়ী করা চলবে না। এরপরেও যারা পাকি আর্মিদের শাস্তি-ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তারা কিন্তু কোরআন-হাদিসের বিরুদ্ধে চলে যাবেন।
“তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে নারীদের মধ্যে সধবাগণকে (অন্যের বিবাহিত স্ত্রীগণকেও); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”।
(সুরা ৪:২৪)
দক্ষিণ হস্ত অর্থাৎ, ডান হাত বলতে বুঝায় শক্তি প্রয়োগে প্রাপ্ত। ডান হাত শক্তি বা তলোয়ারের প্রতীক।
“তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”।
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় জালালান বলেন- “অর্থাৎ, যাদেরকে তারা যুদ্ধের ময়দানে আটক করেছে, তাদের সাথে সহবাস করা তাদের জন্যে বৈধ, যদি তাদের স্বামীগণ দারুল হরবে জীবিতও থাকে” (দারুল হরব অর্থ - অমুসলিম রাষ্ট্র বা দেশ)।

অর্থাৎ স্বামী জীবিত আছে, এমন যুদ্ধবন্দীও ধর্ষণের উপযোগী।
আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ

মালে গনীমত (War Booty) হিসেবে আমাদের হাতে বন্দিনী আসলে আমরা তাদের সাথে সঙ্গমের সময় যোনিদেশের বাইরে বীর্যপাত ঘটাতাম। অতঃপর এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “তোমরা কি সত্যিই এরূপ কর”? এই প্রশ্নটি তিনি তিনবার করেন। (তারপর তিনি বলেন) – “যে সব আত্মা জন্ম নেয়ার জন্যে নির্ধারিত, সেগুলি আসবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত”।
সহি বুখারি: ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৭।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন