রবিবার, ২৭ মে, ২০১২

অকুতোভয় এক সৌদি নারীর গল্প

নিশ্চয়ই ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। আর তাই নারীর সম্মান অটুট রাখতে ইসলামের জন্মদাতা দেশ চৌদি আজব এখন পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যে-দেশ অলিম্পিকে কোনও নারী প্রতিযোগীকে পাঠাবে না। নারীদের সম্মান রক্ষার্থে সে-দেশের আইনপ্রণেতারা নানাবিধ আইন প্রবর্তন করে রেখেছে। নারী সেখানে সম্পদের মতো, যার মালিক পুরুষ। নারীরা অবলা, তাদের সামর্থ্য নেই নিজেদের সম্মান বজায় রাখার! তাই শেয়ালের কাছে মুর্গির হেফাজত রাখার মতো পুরুষের ওপরে বর্তানো হয়েছে নারীর সম্মানরক্ষার দায়িত্ব।

চৌদি আজবে নারীদের জীবন অনধিকারময়। অগণ্য অধিকারহীনতার একটি - মেয়েদের গাড়ি চালাতে পারে না। সেখানকার ধর্মগুরুরা প্রচার করে, নারীরা গাড়ি চালাতে শুরু করলে কুমারীরা বিলীন হয়ে যাবে সেই দেশ থেকে, ফলে বৃদ্ধি পাবে দেহব্যবসা, পর্নোগ্রাফি, সমকামিতা ও বিবাহবিচ্ছেদের হার। 

কিন্তু মানাআল (Manal) নামের এক দুঃসাহসী সৌদি নারী সমস্ত প্রতিবন্ধক উপেক্ষা করে গাড়ি চালিয়েছিলেন। কারাবাসও হয়েছিল তাঁর। এ বছর Oslo Freedom Forum-এ অংশ নিয়ে সাড়ে সতেরো মিনিটের অত্যন্ত মনোগ্রাহী বক্তৃতায় তিনি চিত্রিত করেছেন আরবের নারীদের জীবনযাত্রা, বলেছেন তাঁর অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ও প্রতিকূলতার কথা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন