আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৪ মে, ২০১২

শান্তির ধর্ম ইসলাম: শান্তির বাণী বনাম সহিংসতা

লিখেছেন ধর্মপ্রাণ প্লেবয় 

মোহাম্মদ যখন মক্কায় বিপদাপন্ন ছিলেন, তখন শান্তির বাণী দিয়েছেন আর ক্ষমতা পাওয়ার পর দেখিয়েছেন আসল রূপ। এ বিষয়ে প্রথম দিকে নাজিলকৃত মাক্কী সূরা (মক্কায় অবতীর্ণ) ও পরবর্তীতে নাজিলকৃত মাদানী (মদীনায় অবতীর্ণ) সূরার তুলনামূলক পর্যালোচনাঃ

১.
সূরা তোয়াহা, ১৩০: “সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তারপ্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবাভাগে,সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন।” (মাক্কী)

সূরা আত তাওবাহ, ১২৩: “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন। ” (মাদানী)

২. 
সূরা মুজাম্মিল, ১০: “কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।” (মাক্কী)

সূরা আল-আনফাল, ১২: “যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।” (মাদানী)

৩. 
সূরা কাফিরুন, ৬: “তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মমত আর আমার জন্য আমার ধর্মমত।” (মাক্কী)

সূরা আত-তাওবাহ, ৫: “অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক।” (মাদানী)

৪.
সূরা ক্বাফ, ৪৫: “ তারা যা বলে, তা আমি সম্যক অবগত আছি। আপনি তাদের উপর জোরজবরকারী নন।অতএব,যে আমার শাস্তিকে ভয় করে,তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দান করুন।” (মাক্কী)

সূরা আত-তাওবাহ, ১৪: “যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন,তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।” (মাদানী)

৫. 
সূরা আল-আনকাবুত, ৪৬: “তোমরা কিতাবধারীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করবে না, কিন্তু উত্তম পন্থায়; তবে তাদের সাথে নয়, যারা তাদের মধ্যে বে-ইনসাফ।এবং বল, আমাদের প্রতি ও তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তাঁরই আজ্ঞাবহ।” (মাক্কী)

সূরা আত-তাওবা, ২৯: “তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।” (মাদানী)

৬. 
সূরা যুখরুফ, ৮৮-৮৯: “রসূলের এই উক্তির কসম, হে আমার পালনকর্তা,এ সম্প্রদায় তো বিশ্বাস করেনা। অতএব,আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং বলুন, ‘সালাম।’ তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।” (মাক্কী)

সূরা মোহাম্মদ, ৪: “অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখনতাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে!” (মাদানী)

৭. 
সূরা আল আরাফ, ১৯৯: “আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খজাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক।” (মাক্কী)

সূরা আল-আনফাল, ৬৫: “হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়।আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন।” (মাদানী)

৮. 
সূরা আল-জাসিয়া, ১৪: “মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদেরকে ক্ষমা করে, যারা আল্লাহর সে দিনগুলো সম্পর্কে বিশ্বাস রাখে না যাতে তিনি কোন সম্প্রদায়কে কৃতকর্মের প্রতিফল দেন।” (মাক্কী)

সূরা আল-মায়েদা, ৩৩: “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়,তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি” (মাদানী)

ধর্মকারীতে পূর্বে প্রকাশিত প্রায় প্রাসঙ্গিক পোস্ট: কোরানের ভালো আয়াত বনাম অসহিষ্ণু/জঙ্গিবাদী আয়াত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন