আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ০৭

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬

নারীদেহ ভোগের জন্যে, নিশ্চিন্তে চালিয়ে যান

ইসলামে সেক্স শব্দটির অর্থ হলো নারীদেহ ভোগ। সেক্স যে নর এবং নারী- এই উভয় প্রজাতির জন্যেই চরম আনন্দদায়ক একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে- সে ধারণা ইসলামী কামশাস্ত্রে অনুপস্থিত। ইসলামী প্রথামতে পুরুষটিই এই খেলার একমেবাদ্বিতীয়ম খেলোয়াড়। খেলাটি কীভাবে চলবে, তা স্থির করবে পুরুষটি, নারীর কোনো ভুমিকা সেখানে নেই। ইসলামী রতিক্রিয়ায় নারীর সক্রিয় অংশগ্রহনের নিয়ম নেই। সে পুরুষের রতিখেলার একজন নিষ্ক্রিয় সহযাত্রী মাত্র; পুরুষটিকে যৌনতৃপ্তি দেয়ার মামুলি যন্ত্র বিশেষ। 

ইসলামী আইনসমুহের ভিত্তি বলে পরিচিত কোরাণ এবং হাদিসশাস্ত্র নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করার পর আমার অন্ততপক্ষে তা-ই মনে হয়েছে। ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী - দৈহিক/জৈবিক আনন্দলাভের এই প্রক্রিয়া আর দশটা বাণিজ্যিক অথবা ব্যবসায়িক লেনেদেন-প্রক্রিয়ার মতোই। একজন প্রাপ্তবয়স্কা নারীরও নিজের পছন্দানুযায়ী বর নির্বাচনের অধিকার নেই ইসলামে, বর নির্বাচনে তাকে অভিভাবকের পছন্দের ওপর নির্ভর করতেই হবে। বিবাহ কিংবা যৌনসম্পর্কিত যে কোনো কর্মকাণ্ডে নারীর অস্তিত্ব শুধুমাত্র একটি যৌনতৃপ্তি-প্রদায়ী বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। নারী একটি সেবা প্রদানকারী মেশিন (সার্ভিস প্রভাইডিং অবজেক্ট); সেবার বিনিমিয়ে সে কিছু অর্থমূল্য পাবে। ইসলামী পরিভাষায় এই বিনিময় মুল্যের নাম দেনমোহর, সংক্ষেপে মোহরানা। বিয়ের পূর্বে একজন মুসলমান পুরুষকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদানে স্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে হবে। এই অর্থ সে তাৎক্ষনিকভাবেও পরিশোধ করতে পারে, কিংবা পরবর্তীতে পরিশোধ করবে- এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাকীতেও সেবা ক্রয় করতে পারে। 

মোহরানা প্রদানের চুক্তি ছাড়া কোনো বিয়েই ইসলামী আইনানুযায়ী বৈধ নয়। দেনমোহর আসলে যৌনসম্ভোগের জন্যে একটি নারীদেহের অধিকার লাভ করার বিনিময় মূল্য ছাড়া আর কিছু নয়। মোহরানার এই সংজ্ঞা আপনার কাছে অমার্জিত বলে মনে হতে পারে; তবে শরিয়া সম্পর্কিত যে কোনো আইন বই ঘাঁটলেই আমার বক্তব্যের যথার্থতার প্রমাণ পেয়ে যাবেন আপনি। মনে রাখবেন, শরিয়া আইন মুসলিম সমাজে অবশ্য প্রতিপাল্য; স্বয়ং আল্লাহপাক নিজ হাতে মুসলমানদের জন্যে এই আইন তৈরি করে দিয়েছেন। অত্র প্রবন্ধের পরিশিষ্টে উল্লেখিত ৮নং রেফারেন্সটি ইসলামী সমাজে অত্যন্ত প্রামাণ্য শরিয়া গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। আপনার তাৎক্ষণিক বিবেচনার জন্যে আমি সেখান থেকে একটিমাত্র রেফারেন্স উল্লেখ করছি এখন (রেফারেন্স-৮, পৃষ্ঠা-৫২৬)।

স্ত্রীদেহের একচ্ছত্র মালিকানা পুরুষের, স্ত্রীদেহকে সে যেভাবে ইচ্ছে ভোগ করতে পারে, প্রয়োজন পড়লে প্রহারও করতে পারে:
স্বামীর অধিকার: স্ত্রীর শরীর (মাথা হতে পায়ের পাতা পর্য্যন্ত) ইচ্ছেমতো ভোগ করার পুর্ণ অধিকার রয়েছে স্বামীর, তবে কথা থাকে যে এরূপ ভোগপ্রক্রিয়ায় স্ত্রী যেন শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। স্ত্রীর পায়ুপথ দিয়ে সঙ্গম করা সম্পুর্ণভাবে হারাম। ভ্রমনকালে স্বামী ইচ্ছে করলে স্ত্রীকে সাথে বহন করতে পারে। 

এবার আমরা ইসলামী আইনের (ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স) উপর আরেকটি প্রামাণ্য গ্রন্থের কিছু অংশ আলোচনা করব।

হানাফি আইনের টেক্সট বই হিসেবে বৃটিশ আমলে এটির বহুল ব্যবহার ছিল ভারতবর্ষে (রেফারেন্স-১১); ইসলামী আইনের ব্যখ্যায় শরিয়াবিদগণ প্রায়শই এই বইয়ের সাহায্য নিয়ে থাকেন। বইটির ৪৪ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে: 

নারীদেহের ‘বোজা’ (Booza) প্রদানের পর পুর্ণ মোহরানা প্রদান করা আবশ্যিক। বোজা শব্দের ল্যাটিন প্রতিশব্দ Genetalia Arvum Mulierist.


(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন