রবিবার, ২০ মে, ২০১২

ছহীহ পার্থিব গেলমানচর্চা

মোল্লা, মাওলানা, মৌলভীদের কৃত কোনও অপকর্ম ফাঁস হয়ে গেলে ঈমান্দারদের বলতে শোনা যায়, এরা ছহীহ মুছলিম নয়। এদের দিয়ে মুসলিমদের বিচার করবেন না। মানে দাঁড়ায় এই: ফল দিয়ে গাছের মূল্যায়ন চলে না। আবার এই ঈমান্দারেরাই কিন্তু নামেমাত্র মুসলিমের যে কোনও কৃতিত্ব ফলাও করার সময় তার ইছলামী পরিচয়টা প্রকটভাবে প্রকাশ করতে দ্বিধা করে না। 

কী আর বলবো! পরস্পরবিরোধিতাই তো আস্তিকীয় আচরণ ও 'যুক্তি'-র প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। 

একটি সংবাদের লিংক পাঠিয়েছেন টোস্টার। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইসলামবাজেরা অব্যাহত রেখেছে পার্থিব গেলমানচর্চা।

পঞ্চগড়, মে ১৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- শিশু ছাত্রদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পঞ্চগড়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। 
এমদাদুল হক আটোয়ারী উপজেলার সোনাপাতিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তার বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিশকিনপুর গ্রামে। 
পঞ্চগড়ের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম আবু মনছুর মোহাম্মদ জিয়াউল হক শনিবার এ আদেশ দেন। 
পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, এমদাদুল হক আট মাস আগে আগে ওই মাদ্রাসায় যোগ দেন। 
ছাত্রদের সঙ্গে তার অসংলগ্ন আচরণে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট লোকজন এবং গ্রামবাসীর সন্দেহ হলে তারা কয়েকজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 
ছাত্ররা জানায়, নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ওপর ওই শিক্ষক যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন।

পুলিশ কর্মকর্তার আরো বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে শনিবার ভোরে মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। 
পুলিশের উপস্থিতিতে গ্রামবাসীর সামনে ওই শিক্ষক অভিযোগ স্বীকার করেন বলেও তিনি জানান। 
ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক হামিদুল ইসলাম এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগে আটোয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 
আটোয়ারী থানার ওসি মজনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন। 
লক্ষ্যণীয় যে, নবীজির এই উম্মতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে সমকামিতার অভিযোগে, শিশুর ওপরে চালানো যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নয়। বাহ! বাংলাদেশের আইনে, মনে হয়, সমকামিতা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এবং শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন এবং সমকামিতা একই কাতারভুক্ত! হায়, বাংলাদেশ! 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন