লিখেছেন কবীর উদ্দীন
৬৬.
মুহাম্মদ (সঃ) - এর মানে হচ্ছে মুহাম্মদের উপর আল্লার রহমত ও করুণা বর্ষিত হোক। তার মানে তিনি কি খুবই করুণ অবস্থায় আছেন? "মুহাম্মদ (সঃ)"-কে বাংলায় "মুহাম্মদ (করুণার পাত্র)" বলা যায় না?
৬৭.
কলেমা শাহাদাত: "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাই একমাত্র স্রষ্টা এবং মুহাম্মদ তার প্রেরিত রাসুল।"
এখানে কে সাক্ষ্য দিচ্ছে, কেন, কোথায় দিচ্ছে? আল্লা ও রাসুলকে কি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাদের বিচার করা হচ্ছে? আর এটা তো শেখানো বুলি। কেউ তো নিজে থেকে সাক্ষ্য দিতে যায়নি! কেউ তো তাকে কখনো দেখেও নি! জোরপূর্বক ভুয়া সাক্ষ্য দেয়ানো হচ্ছে কেন? এটা একটা অপরাধ নয় কি?
৬৮.
ধর্মগ্রন্থগুলো যদি স্রষ্টার রচিত হয়, তবে গ্রন্থপ্রাপ্ত ধর্মগুরুদের এতে কৃতিত্ব কোথায়? তারা তো সেগুলো রচনা করেন নি (অন্তত তারা সেটা দাবী করেছেন)! একজনের রচিত বইয়ে আরেকজনের এত নামডাক কেন?
৬৯.
কিছু কিছু মানুষ মৃত্যুর পরেও হুরী ,মদ আর আঙ্গুর বেদানার লোভে মেঝেতে পাঁচবেলা মাথা ঠুকে মরে।
৭০.
বিশ্ব প্রকৃতির কোনো ঘটন-অঘটনের জন্য ঈশ্বর দায়ী নয়। মানুষ তার উদ্দেশ্যে শুধু শুধু ধন্যবাদ, স্তুতি বা দোষ ছুঁড়ে দেয়। কিছুই তার কাছে পৌঁছায় না। তার কোনো ঠিকানা নেই। কারণ সে নিজেই তো নেই। সে হচ্ছে কিছু মানুষের কল্পনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন