"পৃথিবীর সমস্ত গে আর লেসবিয়ানকে বিদ্যুতায়িত কাঁটাতারের দেয়ালের অপর পাশে আটকে রাখা দরকার, যাতে তারা বেরোতে না পারে সেখান থেকে। তারপর কয়েক বছর পেরিয়ে গেলে সমকামীরা এমনিতেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে পৃথিবীর বুক থেকে। কারণ তারা সন্তানোৎপাদন করতে পারবে না যে!" - এ বিশ্বকে সমকামীমুক্ত করার এমন হিটলারী রেসিপি প্রস্তাব করেছে এক ধর্মবাজ। নিশ্চয়ই ধর্ম সব সময়ই মানবতামণ্ডিত।
২.
অনেক গোপন দলিল ফাঁস হয়ে গেছে বলে ভ্যাটিকান স্পষ্টতই বিব্রত। খোদ পোপের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে ভ্যাটিকানের পুলিশ। ভারি অবাক হলাম পড়ে। ঈশ্বর এতো নিষ্ক্রিয় কেন? তার দূতাবাসকে কেলেংকারির মুখোমুখি হওয়া সে রহিত করতে পারলো না? আর ঈশ্বরময় দেশে পুলিশের প্রয়োজনটা কোথায়, তা-ও ঠিক বোধগম্য নয়।
৩.
কোরানে সুরা নিসায় স্ত্রী-প্রহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে স্বামীকে। এ বিষয়ে এতো বিশদ বিশ্লেষণ ও গবেষণা অন্তত আমার চোখে আর পড়েনি। আরও অবশ্যদ্রষ্টব্য: স্ত্রী-প্রহারের ইসলামী তরিকাগুচ্ছ।
৪.
এমন অনেক বর্বর, নৃশংস কাজ আছে, যেগুলো অবিশ্বাসীদের পক্ষে ঘটানো কোনওভাবেই সম্ভব নয়। কারণ সেসব করতে গেলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন বিশ্বাস। এই যেমন মেক্সিকোর এক মহিলা উপবাস পালন ও প্রার্থনাপাঠের পর তার নিজের পাঁচ বছর বয়সী পুত্রসন্তানের চোখ উপড়ে ফেলেছে। তার বিশ্বাস ছিলো, এভাবে 'পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।' বদ্ধোন্মাদ ইব্রাহিম নবীর ছেলে হত্যার উদ্যোগের সঙ্গে এই ঘটনার চরিত্রগত কোনও পার্থক্য দেখি না।
৫.
আল্যার প্যাঁদানি খাওয়া আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। অথচ কোনও এক রহস্যজনক কারণে সে সর্বশক্তিমান হয়েও কারোর একটি যৌনকেশও উৎপাটন করতে পারছে না। ফলে এগিয়ে আসতে হচ্ছে তার অনুসারীদের। কুয়েতের সংসদ 'ব্ল্যাসফেমির অপরাধ মৃত্যুদণ্ড' আইনটি পাশ করেছে। কারণ হিসেবে আল্যা-পচানির হার বৃদ্ধির কথাই বলা হয়েছে।
৬.
লেসবিয়ান জীবনযাপনের 'অপরাধে' এক মহিলার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান পরিচালনায় অস্বীকৃতি জানিয়েছে ধর্মযাজক। শিশুধর্ষক ধর্মযাজকদের মৃত্যুর পর তাদের এই 'নৈতিকতা' কোথায় লুকিয়ে থাকে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন