আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ১১

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০

ঋতুমতী মেয়েদের সাথে রতিক্রিয়ার বিধান আছে কি?

বিবি আয়েশার ঋতুকালীন অবস্থায় মহম্মদ (দঃ) তার সঙ্গে কী আচরণ করেছেন, নিচের হাদিসগুলি হতে সে বিবরণ পাওয়া যায়।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং - ১, হাদিস নং - ০২৭: 
উম্মুল মোমেনিন আয়েশা হতে বর্ণিত:
উমারাহ ইবনে ঘোরাব বলেন যে তিনি তার খুড়ির নিকট শুনেছেন যে, তিনি (খুড়ি) আয়েশাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- যদি আমাদের মধ্যে কেউ ঋতুস্রাব অবস্থায় থাকে এবং স্বামী-স্ত্রীর একটার বেশি বিছানা না থাকে, সে অবস্থায় তারা কী করবে? উত্তরে তিনি (আয়েশা) বলেছিলেন, এই অবস্থায় আল্লাহর রাসুল (দঃ) কী করেছেন আমি তোমাকে তা বলছি। আমার ঋতুকালীন এক রাত্রে তিনি আমার ঘরে আসলেন। তিনি নামাজের জায়গায় গেলেন, অর্থাৎ সেই ঘরে নামাজের জন্যে সংরক্ষিত যে জায়গা ছিল সেই জায়গায়। তিনি যখন ফিরে আসেন তখন আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন; ঠাণ্ডায় তিনি ব্যথা বোধ করছিলেন। এবং তিনি বললেন, আমার কাছে আস। আমি বললাম, আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে। তিনি বললেন, তোমার ঊরুদ্বয় উন্মুক্ত কর। সুতরাং আমি আমার উরুদ্বয় আবরণমুক্ত করলে তিনি তখন তার চিবুক ও বক্ষ তার মাঝে রাখলেন। আমি তার উপর ঝুঁকে বসে রইলাম যে পর্যন্ত না তিনি উষ্ণ হলেন এবং ঘুমিয়ে পড়লেন।
ওপরের কাহিনীটির অনেক ধরনের ব্যাখ্যা সম্ভব। নিরপেক্ষভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে, ঘটনাটি বরং মহম্মদের (দঃ) মহত্বই প্রতিষ্ঠিত করে। কারণ অন্ততপক্ষে তিনি স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাবকে কোনো রোগ বলে বিধান দেননি, উপরন্তু ঋতুকালেও আয়েশার সাথে প্রীতি ও ভালবাসাযুক্ত আচরণ করেছেন। প্রাণবন্ত একজন তরুণী আয়েশা, তার ঋতুকালীন অবস্থায় মোহম্মদের (দঃ) এই আচরণ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। এস্থলে সহি বুখারি থেকে আরও একটি হাদিস উদ্ধৃত করা হলো যা থেকে প্রমাণিত হয় যে, মহম্মদ (দঃ) তাঁর প্রিয় স্ত্রী আয়েশার সাথে ঋতুকালেও অত্যন্ত প্রীতিময় আচরণ করতেন।
সহি বুখারি, ভলিউম-৩, হাদিস নং-২৪৭:
মোহম্মদ আয়েশাকে তার ঋতুকালেও আলিঙ্গন করতেন।
আয়েশা হতে বর্ণিত: আমার ঋতুকালেও নবী আমাকে আলিঙ্গন করতেন। তিনি যখন ইতিকাফে বসতেন, তখনও তিনি মসজিদ হতে মাথা বাড়িয়ে দিতেন। আমি ঋতুমতী অবস্থায়ই তার মাথা ধুইয়ে দিতাম। 
এখন প্রশ্ন, ঋতুমতী অবস্থায় স্ত্রী কতটুকু পর্যন্ত হালাল? নিচের হাদিসটি হতে এর ইসলামি সমাধান জেনে নিন।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং-১, হাদিস নং-০২১২: 
আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ আল আনসারি হতে বর্ণিতঃ আব্দুল্লাহ আল্লাহর রাসুলকে (দঃ) প্রশ্ন করলেন- যখন আমার স্ত্রী হায়েজ অবস্থায়, তার সাথে কতটুকু পর্য্যন্ত বৈধ? তিনি উত্তর দিলেন- তার কোমর বন্ধনীর উপরের অংশ তোমার জন্যে হালাল।
উক্ত বর্ণনাকারীর পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা হতে জানা যায় যে, ঋতুকালীন অবস্থায় স্ত্রীর সাথে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করাও বৈধ।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন