আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ২ জুন, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ১৩

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২

হিলা বিবাহ: সেক্স ম্যানিয়াকদের জন্যে আশীর্বাদ

যদি কোনো স্বামী মৌখিকভাবে তিনবার তালাক শব্দটি উচ্চারণ করে, তবে ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী স্ত্রীর ওপর অফেরতযোগ্য তালাক (তালাকে বাইন) পতিত হয়। স্ত্রী তখন ঐ স্বামীর জন্যে সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ বা হারাম হয়ে যায়। সে উক্ত স্ত্রীকে পুনর্বিবাহ করতে পারবে না যতক্ষন না স্ত্রী অপর কোন ব্যক্তিকে বিয়ে করে, তার সঙ্গে যৌনসঙ্গম করে, অতঃপর উক্ত সাময়িক স্বামী তাকে তালাক দেয়। দ্বিতীয় তালাকের পর স্ত্রী তার ইদ্দতকাল (তিনটি স্রাব, প্রায় তিন মাস) শেষ করলে তবেই কেবল প্রথম স্বামী তাকে বিয়ে করতে পারে। 

এই লজ্জাজনক প্রথার পক্ষে ইসলামপন্থীরা এই বলে সাফাই গায় যে, এটা নাকি স্বামীদের জন্যে সতর্কবার্তা, এর ফলে তালাকে বাইন উচ্চারণ করার পুর্বে স্বামীকে একশ’ বার ভাবতে হবে।

ইসলামি পরিভাষায় এই ধরনের বিবাহকে হিলা বিবাহ বলা হয়; পবিত্র কোরাণের ২:২৩০ আয়াতে (সুরা বাকারা) এই প্রকারের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। 
০০২-২৩০:
অনন্তর যদি সে তালাক প্রদান করে তবে এর পরে অন্য স্বামীর সাথে বিবাহিতা না হওয়া পর্য্যন্ত সে তার জন্য বৈধ হবে না, তৎপর সে তাকে তালাক প্রদান করলে যদি উভয়ে মনে করে যে, তারা আল্লাহর সীমাসমুহ স্থির রাখতে পারবে, তখন যদি তারা পরস্পর প্রত্যাবর্তিত হয় তবে উভয়ের পক্ষে কোনোই দোষ নেই এবং এগুলিই আল্লাহর সীমাসমূহ, তিনি অভিজ্ঞ সম্প্রদায়ের জন্যে এগুলি ব্যক্ত করে থাকেন।
এই উদ্ভট নিয়ম সমাজের কিছু চতুর লোকের সামনে প্রায় বিনে পয়সায় অবাধ সেক্স উপভোগ করার দ্বার অবারিত করে দিয়েছে। কোনো কারণে একটি মেয়ে তালাকপ্রাপ্তা হলো। ব্যস, মধুর ভাণ্ড যেন উপচে পড়লো। তাকে সাময়িকভাবে বিয়ে করার জন্যে তথাকথিত সম্ভ্রান্ত এবং ভাল লোকের অভাব নেই সমাজে। বিয়ের নামে মেয়েটিকে দু’চার রাত উপভোগ করার পর তালাক দিলে তবেই কেবল সে তার পুর্বস্বামীর সঙ্গে ঘর করার লাইসেন্স পাবে, সেই উদ্দেশ্যেই এই বিয়ের প্রহসন।

সুতরাং সেক্স ম্যানিয়াকদের পোয়া বারো, প্রফেশনাল স্বামীর অভিনয় করে মুফতে একটি নারীদেহ ভোগ করা গেল। এই হলো ফ্রি সেক্স করার ইসলামি পথ। ফ্রি বললাম এই কারণে যে, এসব বিয়ের বলি মেয়েটি প্রায়শই অসহায়া হয়ে থাকে এবং বিয়েটি হয় খুবই স্বল্প সময়ের জন্যে। সুতরাং এরূপ বিয়ের দেনমোহরের পরিমাণ দু’ চার শ’ টাকার বেশী হওয়ার কথা নয়। কয়েকটিমাত্র পবিত্র বাক্য উচ্চারণ আর সামান্য কিছু অর্থ, ব্যস, তরতাজা একটি নারীদেহ।

(চলবে) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন