সোমবার, ২৫ জুন, ২০১২

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ২০

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৯৬. 
মুহাম্মদ একদা খাদিজাকে বলল, খালাম্মা, আমি দুম্বার পাল চরাতে গেলাম; দোয়া করবেন। খাদিজা মাথায় হাত দিয়ে বলল, এই পুঁচকে ছোকড়া বলে কী !আমি তোর বিবি, খালাম্মা নই। মুহাম্মদ লজ্জা পেয়ে বলল, জ্বি, খালাম্মা, বহুদিনের অভ্যাস তো!

৯৭.
বিজ্ঞানীরা বলেন পৃথিবীর অহ্নিকগতির ফলে দিবা-রাত্রি হয়। পৃথিবী নাকি সূর্যের চারদিকে ঘোরে! এসব ঘোর আল্লা ও রাসুল বিরোধী কথা।
আসল ঘটনা হলো: সূর্য অস্ত যাবার পর আল্লার আরশের নিচে গিয়ে সিজদায় পতিত হয়। বেচারা সারাদিন জ্বলে মরে, সারারাত নামাজ পড়ে। (নবীজির বাণী, বুখারী শরিফ, হাদিস নাম্বার ৪৪৪১)

৯৮.
আল্লাও হাফেজ, আবার কোরান মুখস্থকারীও হাফেজ। আল্লার সাথে মানুষের তুলনা! শিরক হয়ে গেল না!

৯৯.
হযরত মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সঃ) কে দেখলাম, তিনি মেসওয়াক দিয়ে দাঁত মুবারক মাজছেন। তিনি মুখে মেসওয়াক রেখে এরূপে ওয়াক-ওয়াক করছিলেন, মনে হয়েছিল যেন বমি করবেন। (ছহি বোখারী হাদিস নাম্বার ২৩৭)
উক্ত হাদিসে জ্ঞানীদের জন্য লুকিয়ে আছে অনেক জ্ঞান। নেকী অনুসন্ধানীদের জন্য নেকী। যারা অশেষ নেকী হাসিল করতে ইচ্ছুক, তারা দৈনিক ২বার মেসওয়াক দিয়ে দাঁত মেজে ওয়াক-ওয়াক করুন। বেহেশতে যাবার রাস্তা সুগম করুন। 

১০০.
প্রশ্ন: বেহেশতে আঙুর-বেদানা আছে, আম-কাঁঠাল নেই কেন?
উত্তর: মুহাম্মদ আঙুর-বেদানা দেখেছে অথবা নাম শুনেছে। কিন্তু আম-কাঁঠাল দেখেও নি, নামও শোনেনি তাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন