লিখেছেন বালাই ষাট
আদিপিতা আদম আর আদিমাতা হাওয়াকে ঈশ্বর বেহেশতে সবচেয়ে সুন্দর জায়গার প্লট প্রদান করিয়া তাহদিগকে তাহাদের সংসারধর্ম পালনের সুযোগ দিয়াছেন। তাহাদের সেই প্লটের পাশের প্লটেই আখেরি জামানার শেষ নবী মুহাম্মদ তাহার ১১ জন বিবি লইয়া সুখে শান্তিতে বসবাস করিতেছেন।
একদা আদম দৌড়াইতে দৌড়াইতে ''খোদাবন্দ'' কহিয়া ঈশ্বরের দরবারে হাজির হইল এবং কাঁদিতে লাগিল। ঈশ্বর কহিলেন, কী হে আদম এই প্রভাত বেলায় কে তোমার পশ্চাদেশে অঙ্গুলি প্রবিষ্ট করিয়াছে যে, এইভাবে ক্রন্দন করিতেছ।
আদম কহিল, জাঁহাপন, হাওয়া মাগী আবার গর্ভবতী হইয়া পরিয়াছে। তাহার গর্ভের বাচ্চার পিতৃ-পরিচয় লইয়া আমি সন্দেহ প্রকাশ করিতেছি। আপনি অতি সত্বর ইহার একটি বিহিত করেন।
ঈশ্বর কহিলেন, ঠিক আছে, আদম, আমি এখন মেগান ফক্সের লগে ভিডিও চ্যাটে ব্যস্ত রহিয়াছি। তুমি আগামীকল্য আসিয়া ডিএনএ রিপোর্ট লইয়া যাইও।
আদম কহিল, নেহীইইইইইইইই, খোদাবন্দ। আপনি আজই আপনার আতশি কাচে দেখিয়া বলুন। এর আগে আমি আর ওই মাগীর লগে সংসার করিতে অপারগ।
ঈশ্বর মেজাজ তিরিক্ষি করিয়া মেগান ফক্স কে ''বি আর বি'' কহিয়া উঠিয়া পিছনের ঘরে চলিয়া গেলেন। এর কিয়দক্ষণ পরে গিব্রিল আসিয়া আদমকেও পিছনের ঘরে যাওয়ার জন্য ঈশ্বরের বার্তা প্রদান করিল। আদম রুমে ঢুকতেই ঈশ্বর কহিলেন, চিন্তার কোনো কারণ নাই, হে সন্দেহ-পাপী আদম। বাচ্চা তোমারই, এবং বাচ্চা একটা না, গর্ভে যমজ বাচ্চা, দু'টাই ছেলে। আইসো, আমার থ্রিডি আল্টাসনোগ্রাম মেশিনের স্ক্রিনে দেখিয়া যাও তাহারা কী করিতেছে।
তখন আদম কয়েক কদম আগাইয়া স্ক্রিনের সামনে দাঁড়াইল। ঈশ্বর তখন সাউন্ড সিস্টেমের বাটন অন করিলেন তাহাদের কথা শুনার জন্য। উনার সাউন্ড সিস্টেম ২০ কম্পাংকের নিচের সাউন্ডও ভালমত শুনা যায়। ঈশ্বর আর আদম দেখিল বাচ্চা দুইটা কথা বলিতেছে।
১ম বাচ্চা: ঐ দেখ দেখ, বাবা আসিতেছে।
২য় বাচ্চা: না, ঐটা বাবা না। ঐটা মুহাম্মদ আংকেল।
১ম বাচ্চা: তুই কীভাবে বুঝলি?
২য় বাচ্চা: কারণ বাবা আসলে টুপি ছাড়া আসে। কিন্তু মুহাম্মদ আংকেল সর্বদা টুপি মাথায় দিয়ে আসে।
১ম বাচ্চা: ও হ্যাঁ, তাই তো...
ঈশ্বর তখন তাড়াতাড়ি থ্রিডি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন বন্ধ করিয়া দিলেন এবং কহিলেন, পৃথিবীতে আদিপিতা, আদিমাতা, আদিবাইঞ্চোদ সবই ছিল শুধু আদিমাদার্চোদ ছিল না, সেই শূন্যস্থান পূরণ হইল। বোকা আদম না বুঝিয়াই উপ্রেনিচে মাথা হাঁকাইয়া খুশি-মনে গৃহের দিকে রওনা দিল।
পুনশ্চ: মুখফোড়ের ''আদম-চরিত'' নামের স্যাটায়ার সিরিজ থেকে প্রত্যক্ষভাবে অনুপ্রাণিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন