বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ১৯

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮

নিচের হাদিসগুলো প্রমাণ করে যে, নিজের স্ত্রী হলে বীজটি অতিঅবশ্য তার যোনির অভ্যন্তরে বপন করতে হবে। স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত বীজ বাইরে ফেলা চলবে না। হাজার হলেও স্ত্রীর যোনি হচ্ছে শস্যক্ষেত্র!
সহি মুসলিম, বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৩৬৫:

জাবিরের বর্ণনাক্রমে এই হাদিস, যদিও একাধিক বর্ণনাকারী পরম্পরাক্রমে জাবিরের নামে এই হাদিস বর্ণনা করেছেন। তবে জুহরির অথারিটিতে যেটি এসেছে, তার মধ্যে অতিরিক্ত (এই কথাগুলি) আছে- “যদি সে ইচ্ছে করে, স্ত্রীর সামনের দিক অথবা পেছনের দিক হতে (সঙ্গম) করতে পারে। তবে ছিদ্রটি হবে অবশ্যই এক (অর্থাৎ পায়ুপথে নয়, যোনিপথে)।
সহি মুসলিম, বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৩৬৪:

জাবির (বিন আব্দুল্লাহ) (রাঃ) বলেছেন যে ইহুদিরা বলত, যদি কেউ স্ত্রীর সাথে পেছনের দিক হতে সঙ্গম করে এবং সে (স্ত্রী) গর্ভবতী হয়, শিশুটি হবে টেরা। সুতরাং (পবিত্র কোরানের) আয়াত নাজেল হলো - “তোমাদের স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের শস্যক্ষেত্র, সুতরাং যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তা চাষ কর”।
ইমাম মালিকের মুয়াত্তা, বুক নং-৩৪, নাম্বার-৪২১০:

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ হতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (দঃ) দশটি জিনিস অপছন্দ করতেন: হলুদ রং করা, শাদা চুল কলপ করা, পোষাকের প্রান্তভাগ মাটি ছুয়ে যাওয়া, স্বর্ণের তৈরী আংটি পড়া, সাজ-সজ্জা করে গায়ের মেহরাম পুরুষের সামনে যাওয়া (বাপ, ছেলে, ভাই ইত্যাদি চৌদ্দপ্রকার সম্পর্ক আছে যাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম, এরূপ সম্পর্কের ইসলামি নাম মেহরাম; এর বাইরে যাবতীয় সম্পর্ক গায়ের মাহরাম, যাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক বৈধ), তাবিজ/কবজ ব্যবহার করা, বীর্যপাতের ঠিক আগ মুহূর্তে যোনির ভেতর হতে লিঙ্গ বের করে আনা - তা সে নিজের স্ত্রী হোক বা অন্য মেয়েলোক হোক (অর্থাৎ উপপত্নী বা যৌনদাসী) এবং এমন মেয়েলোকের সাথে যৌনসঙ্গম করা, যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে। তবে তিনি এগুলিকে হারাম বলে ঘোষণা করেননি।
সহি মুসলিম, বুক নং-৮, হাদিস নং-৩৩৭৭:

আবু সাইদ আল-খুদরি (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলু্ল্লাহর (দঃ) সামনে একবার আজল প্রথার কথা উল্লেখ করা হয়, তিনি বললেন, তোমরা এটি কেন কর? তারা বলল, জনৈক লোক যার স্ত্রী সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ায়, যদি সে তার সাথে (আজল না করে) সঙ্গম করে, তবে স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়তে পারে, যা সে পছন্দ করে না। আরেকজন লোক যার একজন ক্রীতদাসী আছে যার সাথে সে সহবাস করে, কিন্তু সে চায় না যে, ক্রীতদাসীটি গর্ভবতী হোক এবং উম্-আওলাদ (সন্তানের জননী) হোক। উত্তরে নবী বলেন, এটি না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই, কারণ তা (সন্তানের জন্ম) পূর্বনির্ধারিত। ইবনে আউন বলেন, এই হাদিসটি আমি হাসানের সামনে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, আল্লাহর কসম, (মনে হয়) যেন এর মধ্যে (আজল প্রথার বিরুদ্ধে) তিরস্কার লুকিয়ে আছে।
(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন