▼
মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১২
ক্ষ্যাপার ধর্মধোলাই
Billy Connolly - ক্ষ্যাপা এক স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান। স্কটিশ। তাঁর একটি অনুষ্ঠানের প্রায় সাত মিনিটের একটি অংশে তিনি প্রথমে ন্যাংটো করে ছাড়লেন খ্রিষ্টান রক-অ্যান্ড-রোলকে এবং শেষাংশে ধৌত হলো ইসলাম। পরম উপভোগ্য।
হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ৪৯
১.
নির্বোধের কাছে ধর্ম হচ্ছে বাস্তবতা; বুদ্ধিমানের কাছে তা কমেডি।
নির্বোধের কাছে ধর্ম হচ্ছে বাস্তবতা; বুদ্ধিমানের কাছে তা কমেডি।
২.
কুসংস্কার ও ধর্মের ভেতরে একমাত্র পার্থক্য বানানে।
৩.
ধর্মীয় মস্তিষ্কপ্রক্ষালনকালে সবার আগে ধুয়ে যায় রসবোধ।
(সবগুলোই সংগৃহীত ও অনূদিত)
TheThinkingAtheist যখন বক্তা
দুর্ধর্ষ ভিডিওনির্মাতা, বাঘা গোত্রীয় ইউটিউবার TheThinkingAtheist - প্রাক্তন ঘোর ক্যাথলিক। বক্তা হিসেবেও তিনি অত্যন্ত সাবলীল। শ্রোতার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন দারুণ দক্ষতায়। এ বছর Oklahoma Freethought Convention-এ তাঁর দেয়া এক ঘণ্টার বক্তৃতা দেখে/শুনে কখনও প্রাণ ভরে হেসেছি, কখনও আচ্ছন্ন হয়েছি বিষণ্ণতায়। বক্তৃতার শেষে তিনি দেখান তাঁর বানানো আট মিনিটের বাকরুদ্ধ করে দেয়া ভিডিও। নাম: আফটারলাইফ।
তাঁর বক্তৃতার বিষয়: আগের যুগে ও বর্তমানে তথ্যলভ্যতার তুলনা; আস্তিকদের এক বস্তা বস্তাপচা ও পিত্তপ্রদাহী কুযুক্তি, যেগুলো বহু আগেই অসার, বালখিল্য ও পাতে নেয়ার অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছে, তবুও যেগুলো বারংবার 'নতুন' হিসেবে তারা উপস্থাপন করতে থাকে, সেগুলোর উপর্যুপরি দাঁতভাঙা জবাব; ধর্ম- ও ঈশ্বরহীন নাস্তিকেরাও সৎ ও নীতিবান হতে পারে - এক নাস্তিকপুত্রের (TheThinkingAtheist-এর সহযোগী ছিলেন তিনি) মৃত্যুর পর ধর্মপ্রাণ মা'র চিন্তাজগতে আমূল পরিবর্তন... ইত্যাদি।
সময় ও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও না দেখলে নিশ্চিতভাবে কবিরা গুনাহ হবে।
সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১২
নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ২৫
লিখেছেন কবীর উদ্দীন
১২১.
১২১.
হযরত ইবনে দীনার রাঃ কর্তৃক বর্ণিত। তিনি জাবের রাঃ কে বলতে শুনেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবনে উবাইকে দাফন করার পর নবী সঃ সেখানে আসলেন এবং তাকে কবর হতে বের করালেন ও তার মুখে নিজের থুথু দিয়ে দিলেন। সহী বুখারী হাদিস নাম্বার ১১৮৭
ইবনে উবাই একজন অমুসলিম ছিল। উক্ত হাদিস থেকে আমরা কী শিখলাম? কোনো অমুসলিম মারা গেলে তার মৃতদেহ সমাহিত হয়ে যাবার পরেও লাশটিকে উপরে তুলে এনে তার মুখে থুথু ছিঁটানো প্রতিটি মুমিনের ঈমানী দায়িত্ব! একজন মানুষ অমুসলিম ছিল বলেই তার মৃতমুখে থুথু দিতে হবে? এই ঘৃণ্য কাজ কি কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব? নাকি কেবল নবীর পক্ষে সম্ভব?
১২২.
প্রশ্ন: রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় পরিবারতন্ত্রের প্রবর্তক কে?
উত্তর: যিনি দুনিয়ায় শান্তির প্রবর্তক তিনি, মানে স্বয়ং নবীজি। উদাহরণ, ইসলামে খোলেফায়ে রাশেদিনের চারজন খলিফার মধ্যে দুজন নবীর জামাতা (উসমান ও আলি); আর দুজন নবীর শ্বশুর (আবু বকর ও ওমর ফারুক)।
১২৩.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাযেনী রাঃ থেকে বর্ণিত; রাসুল্লাহ বলেছেন, "আমার ঘর ও আমার মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানটুকু জান্নাতের বাগিচাসমূহেরর একটি অংশ।"
জান্নাতের বাগিচা কি এতই কুৎসিত, গাছপালাহীন উত্তপ্ত ধূসর ঊষর নিষ্প্রাণ মরুভূমি?
১২৪.
বন্ধুরা, আপনারা কি কভুও কোনো মানুষের নাম গাভীর বাবা অথবা বিড়ালের বাবা হতে শুনেছেন? তাহলে শুনুন, "আবু বকর" মানে গাভীর বাবা, "আবু হুরাইরা" মানে বিড়ালের বাবা। গাভীর আব্বা ও বিড়ালের আব্বা দু'জনেই ছিলেন নবীজির ঘনিষ্টতম সাহাবি!
১২৫.
হযরত আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি বলেছেন; মসজিদে হারাম বা মসজিদে নববিতে নামাজ পড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার রাকাত নামাজ পড়া থেকে উত্তম। ছহীহ বুখারী শরিফ ১১১২
মন্তব্য ১: স্থানভেদে এবাদতের গুণাগুণের হ্রাসবৃদ্ধি হয় কেমনে?
মন্তব্য ২: সারা জীবন এত কষ্ট স্বীকার ও সময় নষ্ট না করে তবে তো নববি মসজিদে কয়েক রাকাত নামাজ পড়ে আসলেই মামলা খতম!
এক জঙ্গি আয়াতের ব্যবচ্ছেদ
শান্তির ধর্ম ইছলামের ঐশী কিতাব অসংখ্য জঙ্গী-আয়াতআকীর্ণ। ইছলামবাজ ও মমিনেরা এই আয়াতগুলো ডিফেন্ড করতে গিয়ে প্রাণপাত করে নানাবিধ কুযুক্তির অবতারণা করে হাস্যস্পদই হয়ে ওঠে শুধু। একটি বহুল আলোচিত আয়াত হচ্ছে: Fight Those Who Do Not Believe" (9:29).
এক মমিন খ্রিষ্টান এই আয়াতের চুলচেরা গবেষণাবহুল বিশ্লেষণ করে নাস্তিকদের পরিশ্রম সাশ্রয়ে সহায়তা করেছেন। গবেষণায় তিনি ব্যবহার করেছেন কোরান, হাদিস, তাফসির ও অন্যান্য ইসলামী তথ্যসূত্র।
পরম আগ্রহজাগানিয়া এই ভিডিওটি বেশ দীর্ঘ - আটাশ মিনিট। তবে সময় ও সুযোগ থাকলে দেখে নেয়ার পরামর্শ রইলো। পয়সা উশুল হবে নিঃসন্দেহে। এবং নিশ্চিত হবেন: ইছলাম প্রকৃতপক্ষেই শান্তির ধর্ম
ইসলামে কাম ও কামকেলি - ২৬
মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক
(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)
পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫
রিযা: পালক মা / দুধ মা
আপনি কি কখনও এমন অবস্থার কথা চিন্তা করেছেন যে, একজন বয়স্ক পুরুষ একই সাথে একজন দুগ্ধপোষ্য শিশু (২ বছর কিংবা তার চেয়েও কম) এবং একজন মহিলাকে বিয়ে করল যার বুকে দুধ আছে? এমন যদি হয় যে, স্বামীর ঘরে নবপরিণীতা শিশুটিকে দুধ খাওয়ানোর মতো কেউ নেই (ধরা যাক শিশুটি এতিম); ঘরে অবশ্য একটি দুধ-দানক্ষম বউ আছে, কিন্তু সে কি শিশুটিকে দুধ খাওয়াতে পারবে? বর্তমান সময়ে হলে অবশ্য কোন সমস্যা ছিল না, বাজারে হরেকরকম টিনজাত দুধ পাওয়া যায়। তবে বোতলের দুধ খাওয়ানো কোন ইসলামি সমাধান নয়। দেখা যাক, ইসলাম সমস্যাটিকে কীভাবে হ্যান্ডল করেছে।
হেদাইয়া (রেফারেন্স-১১, পৃ-৭১):
উদাহরণ: একজন লোক যার দুইটি বউ আছে এবং এক বউ আরেক বউকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে। যদি কেউ একইসাথে একজন শিশুকে এবং একজন বয়ঃপ্রাপ্তাকে বিয়ে করে এবং বয়ঃপ্রাপ্তা স্ত্রী শিশুস্ত্রীটিকে বুকের দুধ খাওয়ায়, তবে উভয় স্ত্রীই লোকটির জন্যে অবৈধ হয়ে যাবে, কারণ লোকটির সাথে যদি তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক যদি চালু থাকে, এর অর্থ হবে দুধ মা এবং দুধ-মেয়ে উভয়ের সাথে যুগপৎভাবে সহবাস করা যা অবৈধ, ঠিক সেভাবে যেভাবে একজন বায়লজিকাল মা ও তার বায়লজিকাল কন্যার সাথে যুগপৎভাবে সহবাস করা অবৈধ। এক্ষেত্রে একটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে; যদি লোকটি বয়ঃপ্রাপ্তা স্ত্রীর সাথে কোনপ্রকার যৌনসম্পর্ক স্থাপন না করে থাকে তবে সে (বয়ঃপ্রাপ্তা স্ত্রী) দেনমোহর পাওয়ার অধিকারী হবে না, কারণ বিবাহ বিচ্ছেদের কারণটি তার কাছ থেকে উদ্ভুত হয়েছে, বিবাহ পুর্ণাঙ্গকরণের আগে:----কিন্তু শিশুটি অর্ধেক দেনমোহর পাওয়ার অধিকার রাখে, কারণ বিবাহ বিচ্ছেদের যে কারণটি উদ্ভুত হয়েছে তার জন্যে শিশুটি দায়বদ্ধ নয়। এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা যা আলোচনা করলাম- তা একজন বয়স্ক লোক কর্তৃক একজন দুগ্ধপোষ্য শিশুকে বিয়ে করা সংক্রান্ত। কিন্তু দৃশ্যপট যদি উল্টো হয়, অর্থাৎ একজন দুগ্ধপোষ্য শিশুর যদি একজন বয়ঃপ্রাপ্তা নারীর (নয় বছর বা তদুর্ধ) সাথে বিয়ে হয়? পাঠককে এ প্রসঙ্গে আমি জনপ্রিয় লোক-কাহিনী রহিম বাদশাহ ও রূপবান কন্যার ঘটনাটি স্মরণ করতে অনুরোধ করি। শারিয়া আইন অবশ্য এক্ষেত্রে অনেক উদার, এরূপ বিয়ের ক্ষেত্রে শারিয়া তেমন কোন বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।
এরূপ বিয়ের ক্ষেত্রে শারিয়া একটিমাত্র শর্তই আরোপ করেছে, এই আজব শর্তটির ইসলামিক নাম ‘রিযা’ বা ‘রিদা’।
ডিকশনারি অব ইসলাম হতে রিযার সংজ্ঞা (রেফারেন্স-৬, পৃ-৫৪৬):
রিযা: একটি আইনসংক্রান্ত শব্দ। এর অর্থ- নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে কোন নারীর বুক হতে স্তন্য পান করা।
রিযার আইনি সংজ্ঞা:- হেদাইয়া (রেফারেন্স-১১) অনুসারে রিযার আইনি সংজ্ঞা নিম্নরূপ।
রিযা: ধাত্রী/দুধ মা (প্রাগুক্ত, পৃ-৬৭)----আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে রিযা বলতে বুঝায় একটি শিশু কর্তৃক নির্দিষ্ট সময় ব্যাপিয়া একজন নারীর বুক হতে স্তন্যপান করা, স্তন্যপান করার মেয়াদকে ‘পিরিয়ড অব ফষ্টারেজ’ বা ধাত্রীত্বের মেয়াদ বলা হয়ে থাকে।
ধাত্রী-মায়ের কাছে শিশুর স্তন্যপান করানোর ইসলামী নিয়ম এই। এই নিয়মেই একটি নবজাতককে অপর কোন দুধেল নারীর কাছে প্রতিপালন করতে দেয়া হয়। সম্পন্ন আরবদের মধ্যে এই প্রথা আগে চালু ছিল এবং কোন কোন ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত চালু আছে। মহম্মদের (দঃ) চাচা আবু লাহাবের ক্রীতদাসী তায়েবা নাম্নী এক মহিলা খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শিশু মহম্মদকে স্তন্যপান করায়, অতঃপর দুধ মা হালিমার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
(চলবে)
রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১২
ডেভিড অ্যাটেনবরোর ঈশ্বর-ধারণা
ডেভিড অ্যাটেনবরো কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন? স্পষ্টতই না। এক মিনিটের ভিডিওতে তিনি তার কারণ বিশ্লেষণ করলেন। কথাগুলো তিনি একটু অন্যভাবেও বলেছিলেন এক রেডিও-সাক্ষাৎকারে:
My response is that when Creationists talk about God creating every individual species as a separate act, they always instance hummingbirds, or orchids, sunflowers and beautiful things. But I tend to think instead of a parasitic worm that is boring through the eye of a boy sitting on the bank of a river in West Africa, a worm that's going to make him blind. And I ask them, 'Are you telling me that the God you believe in, who you also say is an all-merciful God, who cares for each one of us individually, are you saying that God created this worm that can live in no other way than in an innocent child's eyeball? Because that doesn't seem to me to coincide with a God who's full of mercy'.
রমজানের ফজিলত
পাঠিয়েছেন ফেসবুক মুমিন
ফেসবুকের অ্যাডাল্ট পেইজগুলোর রমজানী সংযম দুষ্ট বালিকা'র পাঠানো পোস্টারটিতে ধরা পড়েছে।
ফেসবুকের অ্যাডাল্ট পেইজগুলোর রমজানী সংযম দুষ্ট বালিকা'র পাঠানো পোস্টারটিতে ধরা পড়েছে।
ধর্মাতুল কৌতুকিম – ৪৫
১২৭.
- ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের জন্য বিয়ে নিষিদ্ধ কেন?
- কারণ কম বয়সী বালকদের অনুমতি নেই বিয়ে করার।
১২৮.
জোকার নায়েকোচিত ইছলামী যুক্তি:
ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুসারে বর্তমানে ১৪৩৩ সাল, আর ইহুদি-নাসারাদের সাল হলো ২০১২, অর্থাৎ ৫৭৯ বছরের তফাত। এখন দেখুন, আমরা ১৪৩৩ সালে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্যবহার করছি। আর ইহুদি-নাসারারা সেটা করছে ২০১২ সালে। অর্থাৎ আমরা তাদের তুলনায় ৫৭৯ বছর এগিয়ে আছি।
১২৯.
'চলো, আমি শর্টকাট রাস্তা জানি,' বললো মুসা নবী।
ইছলামের বিরুদ্ধে অলিম্পিক ষড়যন্ত্র
অলিম্পিকে বর্শা নিক্ষেপ, হাতুড়ি নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা আছে, অথচ পাথর নিক্ষেপ (নারীকে হত্যার লক্ষ্যে) প্রতিযোগিতা নেই। আসলে ইছলামী দেশগুলোকে পদকবঞ্চিত করার জন্য এটা ইহুদি-নাসারা-কাফেরদের ষড়যন্ত্র। নইলে সবগুলো পদকই যেতো মুসলিম জাহানে। স্বর্ণ- ও রৌপ্যপদকের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো চৌদি আজব আর ইরানের মধ্যে।
সৃষ্টিতত্ত্ববিধ্বংসী যুক্তিমালা
ছাগু আছে নির্ধর্মীপ্রধান নরওয়েতেও। সেরকমই এক আবাল, সৃষ্টিতত্ত্ববাদের অনুসারী, The Atheist Experience-এ ফোন করে বিবর্তনবাদ ভ্রান্ত বলে ঘোষণা করলো। কিন্তু পড়বি পড় মালীর ঘাড়ে! অ্যায়সা প্যাঁদানি সে খেলো! শেষের দিকে সে আর কথাও বলতে পারছিল না ঠিকমতো।
পনেরো মিনিটের অতীব উপভোগ্য ও শিক্ষামূলক স-সাবটাইটেল ভিডিও। সাবটাইটেল অন করতে প্লেয়ারের cc বাটনে ক্লিক করুন।
সৃষ্টিতত্ত্ববিধ্বংসী আরেকটি ভিডিও।
শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১২
নূরানী চাপা শরীফ - ০৫
লিখেছেন থাবা বাবা
চাপা-০১০
আরব দ্যাশের বনি-অমুক গেরামের মাইনষ্যের আছিল মদের কারবার। মদ বেইচ্চা কাফেরগুলানের ট্যায়াহয়সা আল্লায় দিলে ম্যালা কম না। হেইদিগে মোহাম্মগের আল্যায় হ্যারে কিচ্ছু দিতেছে না... আর খাদিজার ট্যায়াহয়সাও বেডি মরার পরে মোহাম্মগে ভাইঙ্গা খাইয়া লাইছে। হের লাইগ্যাওই মোহাম্মগ আল্লার কতায় বনি-অমুক গেরাম দহল অইরা ফালাইলো এগদিন।
গেরামের বেডাইন্তেরে মাইরা লাইলো কোফায়া। হের পর হের সাহাবীরা জাপ্পুরদা হড়লো মদের বতুল্ডির উরফে। খায়া খুইয়া টাল অয়া গেল সবতে। হের অরে সবতে মিল্লা টাল অইয়া গেরামের সব বেইড্ডাইন আর ছেরিমানুগুলারে শুরু অরলো গনিমতে ছহবৎ। কিন্তু টাল আছিলো বইল্লা আজল হরনের কতা কাউরই মনো আছিলো না।
১০ মাস ফরে বনি-অমুক গেরামের মানু বিরান অইবো কই, ডাবলের উরফে রিডাবল অইয়া গেলোগা। মোহাম্মগ ফইল্যা বুছতারছে না কেমনে অইছে। ফরে সবটির কতা হুইন্যা যেসুমো বুচ্ছে মদ খাইয়া এই হব্বোনাশডা অইছে, হালায় ফতুয়া বানায়লাইছে যে মদ খাওন আল্লার ফছন্দ না। হেই সুমোত্থে মুসুলমানের মদ খাওন হারাম অইয়া গ্যাছে গা!
এক জোড়া কার্টুন
নিচের কার্টুন পাঠিয়েছেন মোকাম্মেল। অনুবাদও তাঁর।
* "In the beginning was the Word...", বাইবেল, John 1:1
ঈশ্বর অপেক্ষা ইন্টারনেট উত্তম
নিশ্চয়ই ঈশ্বর অপেক্ষা ইন্টারনেট উত্তম। David O'Doherty নামের স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানের আড়াইা মিনিটের ভিডিও। তবে প্রথম দেড় মিনিট না দেখলে এমন কিছু মিস করবেন না।
David O'Doherty - Irish History | ||||
comedians.comedycentral.com | ||||
|
শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১২
'মেয়েদের খেলাধুলা করার দরকার কী?'
ছহীহ মুছলিম পুরুষরা নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রাণী হিসেবেই গণ্য করে থাকে। কারণ নিশ্চয়ই পুরুষ নারীর মালিক ও রক্ষাকর্তা। নারী থাকবে অন্তঃপুরে। বন্দী হয়ে। তাই নারীর সমান অধিকারের প্রশ্নই নেই।
লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নেয়ার জন্য প্রথমবারের মতো দুই মহিলা ক্রীড়াবিদকে পাঠিয়েছে সৌদি আরব। তো গত ১ জুলাই সৌদি টিভিতে অলিম্পিকে নারী ক্রীড়াবিদদের অংশ নেয়া বিষয়ক বিতর্কের একটি অংশ দেখে নেয়া যাক।
পাঁচ মিনিটের স-ট্র্যান্সক্রিপ্ট এই ভিডিও থেকে এক ইসলামবাজের কিছু বাণী উল্লেখ না করে পারছি না:
If women want to practice sports, [they should do it] far from the cameras and out of the sight [of men]
...
The woman is a hidden gem. Anybody who has a gem tries to protect it, so that nobody sees it or covets it.
...
What is the goal of sports? To preserve her religion.
...
What does she want to strengthen her body for? Does she want her body to be muscular in order to wrestle with men? What is the point of this? Will she go to the battlefield?
Sports should be first and foremost for men. Women should follow.
আলহামদুলিল্লাহ।
Following are excerpts from a TV debate on Saudi women's participation in the Olympics, which aired on Rotana Khalijiya TV on July 1, 2012.
Reporter: For the first time in history, Saudi women are taking part in the Olympic games. This may resonate louder than women gaining the right to vote and be elected in the municipal elections, as well as gaining full membership in the Shura Council.
However, this development, which brought joy to many women and men, also arouses the anger of several clerics.
How will this matter be resolved? Will Saudi women participate in the 2012 London Olympics, or will the [social] constraints prevent this and the Saudi team be banned altogether?
[...]
Saudi cleric Ahmad Al-Mu'abi: With regard to women's sports in Saudi Arabia – it can take place in an organized fashion. We have [girls'] schools, which have fences, sports fields, and so on. If women want to practice sports, [they should do it] far from the cameras and out of the sight [of men].
It is in women's nature to keep themselves covered up. Whoever things that we restrict women is wrong. The woman is a hidden gem. Anybody who has a gem tries to protect it, so that nobody sees it or covets it.
[...]
We don't want to place our girls in a position where people can see them everywhere, and the cameras...
Interviewer: But this exists in all Islamic countries. You talk about Saudi Arabia as a Muslim country, but in all other Muslim countries, women practice sports, and they participate in the Olympics.
Ahmad Al-Mu'abi: My dear girl, we are a 100% Muslim country. We are all Muslims, Allah be praised. But other countries have Christians and other non-Muslims. Therefore, they are forced to... But this is not up to me, to you, or to anyone. The Council of Senior Islamic Scholars [in Saudi Arabia] will decide one way or the other. That's all I know.
But with regard to a girl's engaging in sports – it is required so long as it is in her home, or with her friends, or her neighbors. But what is the goal of sports? To preserve her religion. The goal of Islam is to build the body and soul. Should we focus on the body and forget about the soul?
[...]
Sports journalist Reem Abdallah, founder of the first Saudi women's soccer team: I have read that according to some fatwas, if women participate in the Olympics, they will remove the hijab and wear immodest clothing. Are Saudi women waiting to go to the Olympics in order remove the hijab? That is the first question.
The second question is whether you have such mistrust of Saudi women. She was raised on religion, on moral values, and on lofty principles. I do not believe that the goal of the Saudi woman is to go to the Olympics in order to remove her hijab and wear immodest clothing.
We all have a clear and honest goal. I hope that Saudi women will be viewed in a positive, rather than negative, light. Through my hijab, my modest clothing, and my participation in the Olympics, I may open the eyes of the Westerners, so that they see a Muslim, Arab, and Saudi woman, who can attain great achievements. This has been proven by the equestrian Dalma [Rushdi], who won a bronze medal.
I am totally convinced that any girl who represents Saudi Arabia – whether in the Olympics or anywhere else – will represent it in the best possible way, in a way that brings honor to Islam as well as to the country.
[...]
Ahmad Al-Mu'abi: Is there nothing left to deal with but women and sports? What does she want to strengthen her body for? Does she want her body to be muscular in order to wrestle with men? What is the point of this? Will she go to the battlefield?
Sports should be first and foremost for men. Women should follow.
মিতকথন
লিখেছেন রাইহান কবির রনো
আল্লাহ কি কোনো কালে নামাজ-রোজা-হজ্ব-যাকাত ইত্যাদি ন্যূনতম ইসলামের মূল বিষয়গুলো পালন করতেন
বা এখন করেন? কোথাও তো এ বিষয়ে কোনো আয়াত পেলাম না! তাহলে তো মহান আল্লাহ একজন অমুসলিম! একশো ভাগ খাঁটি কাফির। তার জন্য রয়েছে দোযখের নিম্নতম স্থান।
লিখেছেন কজমিক ডাস্ট
আচ্ছা, আমরা প্রায়ই শুনতে পাই যে, ক্রোধে আল্লাহ্র আরশ কেঁপে উঠবে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছি যে, এই আরশ কাঁপলে সবচেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কার? আল্লাহ্র নিজেরই। এই আরশ মানে হচ্ছে সিংহাসন বা চেয়ার। অনেকে বলে টুল। জমিন থেকে হাজার হাজার মাইল উপরে এই কম্পন হলে তো আল্লাহ্র ব্যালেন্স হারিয়ে নিচে পড়ে যাওয়ার কথা, তাই না? সুতরাং 'রেগে গেলেন তো পড়ে গেলেন' - এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আল্লাহ্পাকের আজই অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট ক্লাস জয়েন করা উচিত।
লিখেছেন আরেকজন মহাপুরুষ
আমার এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছে। প্রসঙ্গ - হুমায়ূন আহমেদ।
তার কথা, হুমায়ূন আহমেদ জিনিয়াস ছিলেন, কিন্তু বুড়া বয়সে নিজের মেয়ের বয়সী একজনরে বিয়া করসে। শালা একটা লুইচ্চা আছিল।
ওরে যখন মনে করায়া দিলাম যে, অর (আমার বন্ধুর) পেয়ারা নবীর আদর্শর বাইরে কিচ্ছু কি করছে?
সে বলল, দ্যাখ, সব কিছুতে ধর্ম টেনে আনা তোর একটা বদভ্যাস হয়ে দাঁড়াইসে। তোর লগে এই ব্যাপারে আমি কথা বলতে চাইনা...
... হায়রে মুমিন বান্দা... ধর্ম নিয়ে নিজের বিবেকের বাউন্ডারির বাইরে চলে গেসে...
লিখেছেন ধর্মগুরু
"আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মান কাজ চলছে আপনারা সাধ্য মত দান (ভিক্ষা) দিয়ে যান। এই দানের উসিলায়..."
পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহপাকের টাকার অভাবের কথা চিন্তা করে খুব মায়া হচ্ছে! আহ! বেচারার মা-বাপ-স্ত্রী-পুত্র-কন্যা কেউ নাই। এতিমের এতিম। তার উপর টাকার অভাবে একটা ঘর উঠানোর সামর্থ্যও নাই! না জানি পবিত্র রমজানে রোজা রাখতে তার কত কষ্ট হচ্ছ খাবারের অভাবে!
হে মানবতার ধারক ও বাহক মানবতাবাদী নাস্তিকগণ, এতিম আল্লাহর সাহায্যে এগিয়ে আসুন! আল্লাহর এই দুর্দিনে আপনারা আরো মানবিক হোন। আমিন!
আল্লাহ ও ঈশ্বরের লড়াই
ইসলাম সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম বলে প্রচার করে যারা, তাদের জন্য একটি বিশেষ সংবাদ: শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই প্রতি বছর ২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২০ লাখ মুসলিম ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিষ্টান বনে যাচ্ছে অর্থাৎ তারা, আমি যেভাবে বলে থাকি, মাদকদ্রব্যের ব্র্যান্ড পাল্টাচ্ছে। না, এই তথ্য ইহুদি-নাসারা-কাফিরদের মস্তিষ্কজাত নয়, বরং ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম রক্ষা করতে ব্যাপক যে-কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, তার উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিধৃত করে নির্মিত ভিডিও থেকে মুসলিমদের জন্য আতঙ্কজনক এই তথ্য পাওয়া গেছে।
আমার মনে হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় লড়াই বেধেছে আল্লাহ আর ঈশ্বরের মধ্যে। "দেখিব খেলায় কে হারে কে জেতে কেনা হলে শেষ।"
ওহ, ভালো কথা। এটা কিন্তু ইছলামী ভিক্ষা-ভিডিও। অতএব অশেষ ছওয়াব হাছিল করতে গাঁড়োল-গর্দভ-গবেটরা ডোনেট করুন।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১২
শয়তানহীন রমজান মাসে
'হা-হা-হাদিস – ৩০' থেকে উদ্ধৃতি:
কোনও মাস অর্থাৎ সময় ক্যামনে পবিত্র হইতারে, সেইটার গ্রহণযোগ্য কোনও ব্যাখ্যা না থাকলেও মুসলিমেরা রমজানরে পবিত্র মাস মনে করে। আর আপনেরা কি জানেন যে, ইচলামের পেয়ারে নবী কইসে, এই পবিত্র মাসে বেহেশতের দরজা খুইলা দেওয়া হয় আর বন্ধ কইরা দেওয়া হয় দোজখের দরজা? দোজখের দরজা আছে, সেইটা নাহয় বুঝলাম, কিন্তু বেহেশতের দরজা থাকার মানে তো এইটাই খাড়ায় যে, বেহেশত একটা সীমিত ও বদ্ধ স্থান, যেইটার দরজা এগারো মাস বন্ধ থাকে। সারা জীবন ছওয়াব কামাই কইরা মরনের পরেও হালায় পুরা স্বাধীনতা নাই। আহারে মমিন ভাইয়েরা!
তবে সবচেয়ে মজার কথা হইলো, রমজান মাসে সব শয়তানরে (ইবলিস কয়জন আসলে?) চেইন দিয়া বাইন্ধা রাখা হয়। শুইনা মনে প্রশ্ন জাগে, বাকি মাসগুলায় এই বদগুলারে ছাইড়া দেওয়ার মানেটা কী!
বুখারী শরিফের হাদিস:
Narrated Abu Huraira:Allah's Apostle said, "When the month of Ramadan comes, the gates of Paradise are opened and the gates of the (Hell) Fire are closed, and the devils are chained."
বুঝতেই পারতেসেন, শয়তানহীন রমজান মাসে আল্যাফাক খেলতেসে পুরা ফাঁকা মাঠে। এখন আপনেরাই কন, এই পবিত্র মাসে মুসল্লিরা এমুন করে ক্যান? কার প্ররোচনায়? শয়তান তো ফিল্ডেই নাই।
জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঠাকুরগাঁও: তারাবির নামাজে ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সৈয়দপুর সোয়াপাড়া জামে মসজিদে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ইমামসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দিনগত রাতে তারাবির নামাজের সময় মসজিদের ভেতর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরেকখান খবর চোখে পড়লো। বহুবিবাহের বিপত্তি বিষয়ক। এক নাইজেরিয়ান লোকের আছিলো ছয় বউ। তবে সবচেয়ে প্রিয় বউ আছিলো কনিষ্ঠখান। নবীজির কথা স্মরণে আসে, তাই না? ইসলামে যদিও বলা আছে, বহুবিবাহের ক্ষেত্রে সব বউরে সমান ভালোবাসতে হবে, নবীজি কিন্তু তার ডজনাধিক বউগুলার ভিত্রে ছুডু বিবিরে ইসপিশাল মহব্বত করতো! তো যেইটা বলতেসিলাম। একদিন ওই লোকের বাকি পাঁচ বউ চেইতা গিয়া স্বামীরে ধর্ষণ করতে শুরু করে। কিন্তু বেচারারে তো আল্যাফাক নবীজির মতোন তিরিশ পুরুষের যৌনশক্তি দান করে নাই। তাই এক পর্যায়ে সে মারা যায়।
অফ টপিক: এই রিপোর্টের একটি বাক্য পড়ে মেজাজটা খিঁচড়ে গেল। স্ত্রীদের সম্পর্কে লেখা হয়েছে: 'প্রত্যেকেই কৃষ্ণাঙ্গ হলেও আকর্ষণীয়, স্টাইলিশ এবং সুশিক্ষিতাও বটে।'
রিপোর্টার চুদির্ভাই কী বলতে চায়? শালা তো পুরা রেসিস্ট! আসলে বাঙালিদের ভেতরে রেসিজম যথেষ্টই প্রকট। অথচ আমরাই বিদেশে গিয়ে 'আমরা বর্ণবৈষম্যের শিকার' বলে আহাজারি করতে পছন্দ করি। পছন্দ করি ভিনদেশীদের 'বর্ণবাদী' বলে গালি দিতে। মলমণ্ডিত পশ্চাদ্দেশ নিয়ে আমরা অন্যদের পশ্চাদ্দেশে মলান্বেষণে তৃপ্তি লাভ করি।
হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ৪৮
১.
রোজা হলো সংযম উদযাপন।
(স্বর্ণালী মিত্র)
২.
হাত পা ভাল করে ধুয়ে, সুন্দর ও পরিষ্কার জামাকাপড় পরে, কন্ঠে দরদ ঢেলে, সুরে-সুরে, ছন্দে-ছন্দে হত্যা-ধর্ষণ-লুটপাট করার জন্য উস্কানি দেয়া, গালাগালি করা ও অন্যের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করাকে কোরান তেলওয়াত বলে!
(থাবা বাবা)
৩.
ধর্মত্যাগেই শান্তি। মলত্যাগে যেমন।
(কবীর উদ্দীন ও একজন হালুপ্পা)
ছহীহ জেনানা টিভি চ্যানেল
মিসরে সম্পূর্ণ বস্তাবৃত বোরখাবৃত মহিলাদের পরিচালনায় ও অংশগ্রহণে একটি টিভি চ্যানেল চালু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঠক এই খবরের লিংক পাঠিয়ে মন্তব্য করলেন, 'ক'দিন বাদে কিছু পুরুষও ওখানে ঢুকে পড়বে বোরখা পরে।'
এদিকে এই সংবাদ সংশ্লিষ্ট চারটি মজাদার ছবির লিংক পাঠালেন শয়তানের চ্যালা। তবে চার নম্বর ছবির নিচে নানান লিংক সম্বলিত দশখানা থাম্বনেইল-ছবি দেখে কনট্রাস্ট কাহাকে বলে, তার কৌতূহলোদ্দীপক উদাহরণ দেখলাম। স্ক্রিনশট এখানে।
এখন দেখুন অভিনব এই টিভি চ্যানেল বিষয়ে দুই মিনিটের একটি টিভি-রিপোর্ট।
বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১২
চিত্রপঞ্চক - ০৮
ইসলামে কাম ও কামকেলি - ২৫
মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক
(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)
পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪
নবী তার বালিকা-বধূটির সাথে কীভাবে ক্রীড়াকৌতুক এবং সেক্স করতেন, তার কয়েকটি নমুনা।
সহি বুখারি, ভলিউম-১, বুক নং-৬, হাদিস নং-২৯৮:আয়েশা হতে বর্ণিত:জুনুব অবস্থায় আমি ও নবী একই পাত্র হতে পানি নিয়ে গোসল করতাম (যৌনসঙ্গমের পরবর্তী নাপাক অবস্থার আরবী প্রতিশব্দ হচ্ছে জুনুব); ঋতু কালে তিনি আমাকে ইজার (কোমর হতে নীচ পর্যন্ত পরিধেয় বস্ত্রের নাম ইজার) পরিধান করার জন্যে বলতেন এবং আমার সাথে রঙ্গরস করতেন। ইতিক্কাফ করার সময় তিনি তার মস্তক আমার দিকে বাড়িয়ে দিতেন এবং আমি তা ধুইয়ে দিতাম, এমনকি যখন আমার পিরিয়ড (ঋতুস্রাব) চলত তখনও।
সহি মুসলিম, বুক নং-৩, হাদিস নং-০৬২৯:আয়েশা হতে বর্ণিত:আমি এবং রাসুল (দঃ) একই পাত্রে গোসল করতাম এবং একজনের পর আরেকজন হাত দিয়ে পানি নিতাম, যৌনসঙ্গমের পর।
পঞ্চাশোর্ধ কোনো প্রৌঢ় যদি নয়-দশ বছরের বালিকাকে বিয়ে করে, তবে তার সাথে কীভাবে রতিক্রিয়া করতে হবে, তার অনুপম আদর্শ বিধৃত আছে উপরের হাদিসগুলিতে। ছয় বছরের শিশুকে বিয়ে করা এবং নয় বছর বয়সের সময় তার সাথে যৌনসঙ্গমে প্রবৃত্ত হওয়ার ঘটনা হজম করতে যদি কারও অসুবিধা হয়, তবে তার জন্যে আরও একটি চমক আছে।
ইবনে ইসহাক রচিত সিরাতে রাসুলুল্লাহ গ্রন্থটি রাসুলের জীবন চরিত হিসেবে মুসলিম জগতে বহুল পঠিত এবং অত্যন্ত প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। মুসলমান লেখকগণ প্রায়শই এই বই হতে বিভিন্ন বিষয়ে রেফারেন্স উদ্ধৃত করে থাকেন। এই গ্রন্থে রাসুল সম্পর্কে একটি মজাদার তথ্য আছে। ইবনে ইসহাক লিখেছেন, রাসুল নাকি সবেমাত্র হামাগুড়ি দিচ্ছে, এমন এক শিশুকে বিয়ে করার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন। আসুন পাঠক, ইবনে ইসহাকের বর্ণনা থেকে আমরা ঘটনাটি জেনে নিই।
সুহাইলি, রর.৭৯: ইউনুছের রেওয়ায়েত ও.ও কতৃর্ক রেকর্ডকৃতঃ নবী তাকে (উম্ আল-ফজলকে) দেখেন যখন সে তার সামনে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। তিনি বলেন- ‘যদি সে বড় হয় এবং আমি তখনও বেঁচে থাকি, আমি তাকে বিয়ে করব’; কিন্তু সে বড় হওয়ার আগেই নবী ইন্তেকাল করেন এবং সুফিয়ান বিন আল-আসওয়াদ বিন আব্দুল আসাদ আল-মাখজুমির সাথে তার বিয়ে হয় এবং সুফিয়ানের ঔরসে তার রিজক ও লুবাবা নাম্নী দু’টি সন্তান জন্মে। (রেফারেন্স-১০, পৃ-৩১১)
আমরা আরও দেখতে পাই, হযরত ওমর (রাঃ) উম্মে কুলসুম নামের চার বছরের এক শিশুকে বিয়ে করেন। এই উম্মে কুলসুম হচ্ছে আবু বকরের (রাঃ) মেয়ে এবং আয়েশার বৈমাত্রেয় বোন।
ইসলামের সর্বোচ্চ ব্যক্তি মহানবী এবং তার প্রিয় সাহাবিগণ পরবর্তীদের জন্যে এমন মহৎ আদর্শই রেখে গেছেন। রাসুল এবং তার সাহাবিগণ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আদর্শের ইসলামি নাম সুন্না। এই সুন্না বা আদর্শ অপরিবর্তনীয়, প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে কেয়ামত পর্যন্ত এই আদর্শ অনুসরণ করতেই হবে, একবিন্দু নড়চড় করা চলবে না। পনের শত বছর ধরে এই অপরিবর্তনীয় আদর্শ অনুসরণ করতে যেয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে এখনও পেশাবের পর লিঙ্গাগ্র ধারণ করে চল্লিশ কদম হাঁটতে এবং জোরে জোরে কোথ দিতে দেখা যায়, ঢিলা কুলূখের অত্যাচারে অনেক মসজিদের কমোড জাম হয়ে নারকীয় দূর্গন্ধের সৃষ্টি করেছে দেখা যায়। অনেক সম্পন্ন মুছুল্লির বাড়িতে ডাইনিং টেবিলের পরিবর্তে মাটিতে বসে খাওয়াদাওয়া করতে দেখা যায়, কারণ নবীর সুন্নত। নবী ডাইনিং টেবিলে খেতেন না, মাটিতে বসে খেতেন। তা বেশ, একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে নবীর প্রতিটি কাজের অনুসরণ তারা করতেই পারেন। কিন্তু আমার খটকা লাগে: শিশু বিবাহের সুন্নতটি তারা এড়িয়ে যান কেন! ডাইনিং টেবিলের পরিবর্তে মাটিতে বসে খাওয়াদাওয়া করে কিংবা ঢিলা কুলুখ হাতে নৃত্য করে নবীর সুন্নত পালন করেন, কিন্তু প্রকৃতির ডাকে বাইরে না ছুটে শোভন টয়লেটের দিকে ছুটে যান! ভিলার বাইরে খোলা ড্রেনের উপর খাটা পায়খানা বানিয়ে নেন না কেন? দেড় হাজার বছর পুর্বে নবীজি (এবং তার বিবিরাও) খোলা মরুভুমিতেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যেতেন। আশা করি কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান আমার মনের ধন্দ দূর করতে এগিয়ে আসবেন।
(চলবে)
রোজাদার মমিনের মুখনিঃসৃত অতি সুবাসিত নিঃশ্বাস
হাদিসে বলা আছে, রোজাদার মমিনের মুখনিঃসৃত নিঃশ্বাসের গন্ধ কস্তুরিগন্ধের চেয়ে শ্রেয়।
Sahih Muslim :: Book# 6 :: Hadith# 2564
Abu Huraira reported Allah’s Messenger (may peace be upon him) as saying: Allah, the Majestic and the Exalted, said: Every act of the son of Adam is for him except fasting. It is done for My sake, and I will give a reward for it. By Allah in Whose Hand is the life of Muhammad, the breath of the observer of fast is sweeter to Allah than the fragrance of musk.
আল্যাফাকের কাছে এই দুর্গন্ধ অত্যন্ত কাঙ্খিত। এক মমিন "Did You Know? Allah Loves Your Stinky Breath!" নামের ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে কথাটি সহাস্যে জানাচ্ছে।
নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ২৪
লিখেছেন কবীর উদ্দীন
১১৬.
নবীজি একদা ফাতেমার বাড়ি আসলেন।
হাসান-হুসেন ডেকে উঠলো, জ্যাঠামশাই, জ্যাঠামশাই!
নবীজি বিব্রত হয়ে বললেন, আমি তোমাদের জ্যাঠামশাই নই, নানাভাই হই।
হাসান-হুসেন বলল, বাবার ভাইকে আমরা ক্যামনে ভাই কই?
১১৭.
করিম মিয়া ও রহিম মিয়া দুজন ঘনিষ্ট বন্ধু। বয়েস ৫২ বছর। কয়েকটি ক'রে সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে দু'জনেরই। করিম একদা রহিমকে বলল, রহিম আমি তোমার কনিষ্ঠা কন্যা আমেনাকে বিবাহ করতে চাই, যার বয়েস ৬ বছর। রহিম ভীষণ রেগে করিমকে মারতে গেল এই কথা শোনামাত্র। করিম বলল, কেন, ভাই, তুমি কি মনেপ্রাণে মুসলিম নও? সে অত্যধিক রেগে বলল, অবশ্যই মুসলিম, কী বলতে চাস তুই। করিম বলল, তাহলে তুমি কি জান না যে, আমাদের পেয়ারা নবী ৫২ বছর বয়েসে তার বন্ধু আবু বকরের ৬ বছরের কন্যা আয়শাকে বিবাহ করেছিলেন। সকল মুসলিমেরই তো পবিত্র দায়িত্ব নবীজির মহান কর্মকাণ্ডগুলো অনুসরণ ও অনুকরণ করা।
১১৮.
মহাপয়গম্বর ছিলেন ডাকাতের সর্দার। তার গঠিত ডাকাত দলের অন্যতম প্রধান সদস্য ছিল তারই জামাতা আলি, জামাতা উসমান, শ্বশুর আবু বকর ও শ্বশুর ওমর।
১১৯.
শূন্যের ওপর শূন্য। তার ওপরে আরেকটি শূন্য। এভাবে একের ওপরে এক করে করে সাতটি শূন্য। সপ্তম শূন্যের ওপরে বসত করে শূন্যের রাজা, সেও শূন্য।
১২০.
প্রশ্ন: আবদুল্লাহ, মুহাম্মদের কে ছিলেন? বাবা নাকি বেহাই?
উত্তর: দুটোই। নবীর আপন জামাতা আলির আপন চাচা আবদুল্লাহ, তার বেহাই হবে না!
প্রশ্ন: আমেনা মুহাম্মদের কে ছিলেন? মা নাকি বেহান?
উত্তর: দুটোই। তার আপন জামাতার চাচী তার বেহান হবে না!
মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১২
ইছলাম ও তামাম মুছলিম জাহান ধ্বংসের ষড়যন্ত্র
ইছলাম ও তামাম মুছলিম জাহান ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নিরন্তর নিয়োজিত পশ্চিমা বিশ্ব। এমনকি আপাত-নির্দোষ চলচ্চিত্র 'সুপারম্যান' বা কার্টুন 'টম অ্যান্ড জেরি'ও মুছলিম মননে পশ্চিমা দর্শন সেঁধিয়ে দেয়ার মাধ্যমবিশেষ।
ওপরের কথাগুলো এক ইছলামবাজের। চার মিনিটের স-ট্র্যান্সক্রিপ্ট ভিডিও।
Following are excerpts from an interview with Muhammad Waqi’ullah, a US-based Sudanese professor of political science, which aired on Al-Majd TV on June 4, 2012. Waqi’ullah received his Ph.D. from the University of Mississipi, and worked for the Institute of Islamic and Arabic Sciences in America in Fairfax, Virginia.
Muhammad Waqi’ullah: The neocon movement was established at US universities, especially at the University of Chicago. It was established by a group of Jewish professors, who fled Nazism. They wanted to fortify Western civilization against the leftist, secular, Nazi, and Fascist invasion.
Ultimately, they wanted to protect the Israelites, or the Jews, from annihilation by Western civilization. They infiltrated Western ideology, and specifically, American ideology, until the circumstances, under Bush Jr., enabled them to gain control over the country’s centers of power and to implement their ideas.
This led to the invasions with which they destroyed Islam and the Islamic world.
[...]
The neocons developed a very dangerous theory concerning the Islamic world. They taught it in the most important university – the National Defense University, in Maryland [sic].
Interviewer: What is this theory?
Muhammad Waqi’ullah: The destruction of the entire Islamic world.
Interviewer: Destruction?!
Muhammad Waqi’ullah: Yes, the destruction of the entire Islamic world by brute force. The US Department of Defense denounced this seminar, and issued a communiqué condemning it.
Interviewer: They based it on the theory of the clash [of civilizations].
Muhammad Waqi’ullah: Yes. But the [neocons] are now defeated. The liberal movement is the dominant one today. The liberal, pseudo-leftist movement is now dominant, under the leadership of that American... Obama.
Interviewer: Can soft power be exploited to embellish the use of hard power? The neocons reject soft power, but surely some people use it to embellish hard power.
Muhammad Waqi’ullah: This is extremely widespread in the American media, as well as in school curricula, and in the prevalent popular culture. The theory of hard power is based upon the principle of the rule of the strong, and the weakening and annihilation of the weak. The weak has no right to live. Only the strongest and the fittest are allowed to survive.
This theory emanates from biology. Darwin observed that the weak is always annihilated. It cannot cope with the climatic or environmental conditions, and it becomes extinct. He said that the same goes for human beings. A weak human, a weak civilization, a weak country, or a weak culture must be vanquished, in order to make way for the white race, for the strong, for “superman.” This is the “End of History” theory, established by Francis Fukayama – as you surely know better than others. The white man will seal history and rule supreme, and all other civilizations must be vanquished at the end of history.
[...]
The Muslim fights for the sake of good, while the infidel fights for the sake of evil. It is a war of values, not of material interests or personal or national ambitions. It is a war of civilizations, a war of values. Islamic civilization defends the good.
[...]
Some films look the epitome of innocent, purity, and reliability. They look like nice harmless films, like the Superman movies or Tom and Jerry. People don’t sense the danger of these films, but these films instill Western philosophy, the theory of Thomas Hobbes [sic], which we discussed.
Interviewer: The survival of the fittest...
Muhammad Waqi’ullah: Exactly. The strong should survive, whereas the weak should be ridiculed, exterminated, and wiped out of existence.
কুরানে বিগ্যান (পঞ্চম পর্ব): দেহ-তত্ত্ব
লিখেছেন গোলাপ
করুণাময় আল্লাহ!
একটি বিশেষ ঘোষণা
অবিশ্বাসীদের প্রতি বিশেষ চ্যালেঞ্জ,
৪:৮২- এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি?পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু বৈপরীত্য দেখতে পেত-
কুরানের বাণীর প্রবক্তা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। কিন্তু মুহাম্মদের দাবী - বাণীগুলো তার নয়, বিশ্ব-স্রষ্টার। যেমন করে অনেক "আধ্যাত্মিক গুরু" দাবী করে যে, তাদের মুখের বাণী তাদের নয়। তাদের ওপর ভর করা আত্মা (Spirit), জ্বিন, ভূত অথবা ঈশ্বরের। আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-ও তার ব্যতিক্রম নয়! দাবীর সপক্ষে তার এই বিশেষ ঘোষণাটি (৪:৮২)! বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টার (যদি থাকেন-Deist view), বাণীতে কখনোই কোনো ভুল, অবৈজ্ঞানিক, অবাস্তব অথবা অসামঞ্জস্য থাকতে পারে না (অসম্ভব প্রস্তাবনা!)। শুধু “একটি মাত্র বৈপরীত্য” থাকলেই ১০০% সুনিশ্চিত ভাবে বলা যাবে কুরান বিশ্ব-স্রষ্টার বানী নয়, মুহাম্মদের দাবী মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অথবা মানসিক বিভ্রম (Psychosis)।'কুরানে বিগ্যান'-এ সঙ্কলিত বাণীগুলো পর্যবেক্ষণে সত্যানুসন্ধান সহজতর। হে পাঠক, কোনো “বৈপরীত্য” দেখতে পান কি? মনে রাখবেন, "একটি মাত্রই যথেষ্ট, দুইটি অতিরিক্ত!"
মানুষ চিন্তাশীল। জানতে চায় সে সবকিছু। জানতে চায় সে নিজেকে! কোথা থেকে সে এসেছে? কী উপকরণে সে তৈরি? কীভাবে সে সৃষ্টি হলো? হযরত মুহাম্মদ (সা:) মহাজ্ঞানীআল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে মানুষ সৃষ্টির উপকরণের বর্ণনা দিয়েছেন।কী সে উপকরণ?
১) মাটি
৬:২- তিনিই তোমাদেরকে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, অত:পর নির্দিষ্টকাল নির্ধারণ করেছেন| আর অপর নির্দিষ্টকাল আল্লাহর কাছে আছে| তথাপি তোমরা সন্দেহ কর|
২০:৫৫ - এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব।
৩০:২০, ৩৮:৭১, ৫৩:৩২, ৭১:১৭ - অনুরূপ বাণী*
কী ধরনের মাটি?
ক) বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি
১৫:২৬ - আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি।
৫৫:১৪ -তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে।
খ) কাদামাটি থেকে
৩৭:৭-৮ - যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন। অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।
গ) এঁটেল মাটি থেকে
৩৭:১১ - আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে।
ঘ) মাটির সারাংশ
২৩:১২ - আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।
২) পানি
২১:৩০- কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
২৫:৫৪- তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম।
২৪:৪৫- অনুরূপ বাণী
৩) এক ফোঁটা বীর্য
১৬:৪, - তিনি মানবকে এক ফোঁটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। এতদসত্ত্বেও সে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী হয়ে গেছে।
৭৬:২ -আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, এভাবে যে, তাকে পরীক্ষা করব অতঃপর তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন।
৩৬:৭৭, ৭৭:২০, ৫৩:৪৫-৪৬, ৮০:১৮-১৯, ৮৬:৫-৭ - অনুরূপ বাণী
৪) মাটি, অতঃপর বীর্য
১৮:৩৭ – তার সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বললঃ তুমি তাঁকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, অতঃপর র্পূনাঙ্গ করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে?
৩৫:১১- আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, তারপর করেছেন তোমাদেরকে যুগল। কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং সন্তান প্রসব করে না; কিন্তু তাঁর জ্ঞাতসারে। --
চিন্তাশীল মানুষের জ্ঞান পিপাসা লাঘবে আল্লাহ পাক মানুষ সৃষ্টির উপকরণগুলো কী "চমৎকার" ভাবেই না বর্ণনা করেছেন! যা খালি চোখে দেখা যায়, এমন সম্ভাব্য কোনোকিছুই তিনি বাদ রাখেননি! বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি, কাদামাটি, এঁটেল মাটি, মাটির সারাংশ, পানি, বীর্য, মাটি অতঃপর বীর্য। বোঝা যায়, পৌত্তলিকরা যেমন করে "মাটি ও পানি" দিয়ে মূর্তি বানায়, আল্লাহও আদমকে ঠিক তেমনি ভাবেই বানিয়েছেন! এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নাই। বিশেষ করে প্রিয় নবীর জন্ম ও বৃদ্ধি যখন পৌত্তলিক পরিবেশেই, তা তার অজানা নয়।! আর ‘বীর্য (Semen)” যে সন্তান উৎপাদনের জন্য অবশ্য, অত্যাবশ্যক তা সর্বজনবিদিত। একমাত্র প্রচণ্ড মানসিক প্রতিবন্ধী (Severely mentally retarded) ও শিশুরা ছাড়া কারুরই তা অজানা নয়। কিন্তু পুরুষের বীর্যের মত মেয়েদের "ডিম্বাণুও(Ovum)" যে সন্তান উৎপাদনের জন্য অবশ্য অত্যাবশ্যক সে ব্যাপারে মহাজ্ঞানী আল্লাহ পাক “একটি বাক্যও” বর্ষণ করেন নাই! বীর্যের কথা আল্লাহ পাক বহুবার ঘোষণা দিয়েছেন কিন্তু বীর্যে "শুক্রাণুর” অস্তিত্বের বিষয়েও তিনি “একটি বাক্যও" বর্ষণ করেন নাই!কেন? দু'টি সম্ভাব্য কারণ:
১) মৌনতা
হুজুরে পাক (সাঃ) দাবী করেছেন যে, "আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ তার প্রতি রহমত প্রেরণ করেন (৩৩:৫৬)।" অন্য যে কোনো ব্যক্তি যদি এই একই দাবী নিয়ে হাজির হন, তবে আজকের যে কোনো আধুনিক চিকিৎসক সে ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ "উন্মাদ (Psychotic)” [স্কিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) রোগের লক্ষণ] সাব্যস্ত করতো। কিন্তু ধর্ম-শাস্ত্রে এসকল উপসর্গের অধিকারীদের বলা হয় "কামেল"। আর মহাকামেল সেই ব্যক্তি, যার এ উপসর্গটি (delusion and hallucination) সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ ও উৎকট।
স্বপ্নকে সত্য জ্ঞানে নিজেরই অবুঝ শিশু পুত্রের গলায় যে নির্দ্বিধায় ছুরি চালাতে পারে (মহানবী ইবরাহীম) অথবা অশরীরী 'জিবরাইলের' মারফত খবর প্রাপ্ত (বুখারী ৫:৫৯:৪৪৩) হয়ে (visual and auditory Hallucination) দলবল নিয়ে অসহায় ৬০০-৯০০ জন লোককে প্রকাশ্য দিবালোকে একে একে জবাই করে খুন (বনি কুরাইজা) করতেও যার (মহানবী মুহাম্মদ) একটুও দ্বিধা হয় না, তারা ধর্ম-শাস্ত্রে 'মহাকামেল' রূপে চিহ্নিত। উন্নত চিকিৎসাবিজ্ঞানের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত চিকিৎসকরা নিরাপত্তার খাতিরে (Psychotic patient may be dangerous for self and others, specially with command hallucination - এরূপ ব্যক্তিকে এখন জরুরি ভিত্তিতে (psychiatric emergency) মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। অন্যথায় কোনো অঘটন ঘটলে উন্নত বিশ্বের যে কোনো দেশে সেই চিকিৎসককে দিতে হয় প্রচণ্ড আর্থিক ক্ষতিপূরণ (আমেরিকা হলে প্রায় মিলিয়ন ডলারের মামলা), সামলাতে হয় তার মেডিকেল লাইসেন্স বাতিলের ধাক্কা।
৩৩:৫৬ সাক্ষ্য দেয়, "মুহাম্মদের প্রতি আল্লাহ পাকের 'সুগভীর প্রেম' "। প্রেমে পড়লে নাকি জ্ঞানীরা নির্বোধের মত আর নির্বোধরা জ্ঞানীদের মত আচরণ করেন। প্রেমিক-প্রেমিকার 'প্রয়োজনে' আসে না এমন সংলাপ গুরুত্বহীন হয়ে যায়। সে যাই হোক, সত্য হচ্ছে: দেহ-তত্বের বর্ণনায় আল্লাহ পাক এসকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে "মৌনব্রত" পালন করেছেন। মৌনব্রত পালনের বিশেষ সুবিধা এই যে, অবিশ্বাসীরা এ বিষয়ে যত প্রশ্নই উত্থাপন করুন না কেন, 'আকাশে ফুটা (৫০:৬) অথবা ফাটল (৬৭:৫) ও পৃথিবীকে পেরেক (৭৮:৬-৭) মেরে স্থির” জাতীয় বিষয়ের মত হাসি-তামাসার কোন সুযোগই এখানে নেই!
২) অজ্ঞানতা
"ডিম্বাণু ও শুক্রাণু" খালি চোখে দেখা যায় না! আর তা তখন আবিষ্কারও হয়নি। মানুষের আবিষ্কারের আগে কোনো 'জ্ঞান" ধর্মগ্রন্থে খুঁজে পাওয়ার কোনোই সম্ভাবনা নেই।
যা জানা নেই, তা বলা যায় না। সেক্ষেত্রে, মুহাম্মদের কল্পিত আল্লাহ আর যেইই হউন "বিশ্ব-স্রষ্টা" নন।
তাহলে? "নতুন" কী তথ্য আমাদের জ্ঞান ভাণ্ডারে যোগ হলো, যা আমাদের জানা ছিল না? নতুন তথ্যটি এই, র্বীর্য কোত্থেকে তৈরি হয়।
৮৬:৭ - এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
What?!
আধুনিক বিজ্ঞান
১) বীর্যের উপাদান দু'টি: শুক্রাণু এবং গ্রন্থি-রস। শুক্রাণু তৈরি হয় অণ্ডকোষে (Testes), আর গ্রন্থি-রস নির্গত হয় Prostrate, Seminal Vesicles and bulbourethral gland থেকে। বীর্য "কখনোই" মেরুদণ্ড (Vertebra) ও বক্ষপাজরের (Rib) মধ্য থেকে নির্গত হয় না।
২) মহাবিশ্বের প্রতিটি দৃশ্যমান বস্তুরই আদি উপাদান হলো "পরমাণু (Atom)"। আমাদের শরীর ও এর ব্যতিক্রম নয়। হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম ছাড়া প্রতিটি পরমাণুই একদা তৈরি হয়েছিল কোনো না কোন নক্ষত্রের অভ্যন্তরে। তারপর সেই নক্ষত্রটির মৃত্যুকালে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে (Supernova Explosion) সেই পরমাণুগুলো ছড়িয়ে পরে মহাশূন্যে। তারপর মিলিয়ন-বিলিয়ন বছরে গ্র্যাভিটেশানাল শক্তিতে (Gravitational attraction) সেগুলো আবার একত্রিত হয়ে তৈরি হয় নতুন নক্ষত্র, গ্রহ ও উপগ্রহ। আমাদের সবারই "আদি উপাদানের" জন্ম কোনো না কোনো নক্ষত্রে। We are all star dust (Nuclear waste)। আমরা সবাই (Everything in this universe) একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। এই বিশালত্বকে অন্তরে ধারণের অনুভূতির সাথে অন্য কোন অনুভূতিরই তুলনা হতে পারে না! The whole universe is within us and we are within the universe!
একটি ছোট্ট ভিডিও (৪ মিনিট): Stellar nucleosynthesis
*"অনুরূপ বাণী"-কুরানের বিশেষ বৈশিষ্ট্যেগুলোর একটি হলো "পুনরাবৃত্তি।একই কথা ইনিয়ে বিনিয়ে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, একটু যোগ, একটু বিয়োগ করে বার বার ঘোষণা করা।
*'জিবরাইলের' মারফত খবর: বুখারী- Volume 5, Book 59, Number 443:
Narrated 'Aisha:
When the Prophet returned from Al-Khandaq (i.e. Trench) and laid down his arms and took a bath, Gabriel came and said(to the Prophet ), You have laid down your arms? By Allah, we angels have not laid them down yet. So set out for them." The Prophet said, "Where to go?" Gabriel said, "Towards this side," pointing towards Banu Quraiza. So the Prophet went out towards them.
[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর।]
(চলবে)