লিখেছেন কবীর উদ্দীন
১১১.
আল্লা মুমিন পুরুষদেরকে চার বিবাহ করতে বলেছেন। কিন্তু পেয়ারা নবীজি মারা যাবার কালেও নয়খানা বিবি রেখে গেছেন। তিনি রাসুল হয়ে আল্লার হুকুমের এমনতর অবমাননা করলেন! আখেরাতে কী বিচার যে তার কপালে আছে, আল্লাই জানেন।
১১২.
নারীগণ পুরুষগণের অধিকর্তা। কারণ লেডিস ফার্স্ট। যে সকল নারীগণ অর্থোপার্জন ও ব্যয় করো তারা স্বামীদের মধ্যে অবাধ্যতার লক্ষণ দেখলেই রাম-ধোলাই দেবে। সুরা ৪:৩৪-এর যুগোপযোগী সম্পাদনা।
১১৩.
আল্লা চিরকুমার। আর তারই প্রেরিত পয়গম্বরের ঘর বিবি, গনিমত ও দাসীতে ভরপুর।
১১৪.
যয়নাব ছিল মুহাম্মদের আপন ফুফাত বোন। যায়েদ ছিল পালিতপুত্র। তাই যয়নাবকে যায়েদ ডাকতো ফুফু। মুহাম্মদ নিজে ঘটকালি করে ফুফু-ভাতিজার বিবাহ দিয়ে দিলেন। বিয়ের পর ফুফু-ভাতিজা হয়ে গেল স্বামী-স্ত্রী। ভাতিজা ফুফুকে ডাকতে লাগলো বিবি। ফুফু ভাতিজাকে ডাকতে লাগল স্বামী। অপরদিকে মামাত ভাই মুহাম্মদ হয়ে গেল যয়নাবের শ্বশুর-আব্বা। ভাইজানকে, যয়নাব ডাকতে লাগলো আব্বা। আবার কাজিন হতে বধূ যয়নাবকে মুহাম্মদ বিবাহ করে ফেললেন। মুহাম্মদের বাকি বিবিরা আগে ছিল যয়নাবের ভাবী; তারপরে হল আম্মা, অবশেষে হল সতীন! এবার যায়েদের বৌ হয়ে গেল তারই নিজের আম্মা। আবার ভাজিতা থেকে স্বামী যায়েদ হয়ে গেল যয়নাবের পুত্র! আবার মুহাম্মদের ফুফাত বোন হতে বধূ, বধূ হতে বিবি! মুহাম্মদ হল যয়নাবের একাধারে ভাই-আব্বা-স্বামী। ভাগ্যের কী নিদারুণ ঠাট্টা!
১১৫.
নবীজি ছিলেন সম্পূর্ণরূপে নারীলোভী, ক্ষমতালোভী, সম্পত্তিলোভী, খাদ্যলোভী একজন অমানুষ। জীবদ্দদশায় তিনি ছিলেন আপাদমস্তক ভোগী। এমনকি মরার পর প্রাণহীন অবস্থাতেও তিনি নিজেকে ভোগবিহীন অবস্থায় কল্পনা করতে পারেননি। তাই তিনি তার মৃতদেহের জন্য রচনা করেছেন ভোগসর্বস্ব, ঘৃণ্য কল্পনাবিলাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন