লিখেছেন থাবা বাবা
চাপা-০০৪
রাইত বিরাতে রাতের অতিথির যম হলো কুত্তা। বাড়িতে কুত্তা থাকতে চোর আর মোহাম্মদ কোনোটাই আসা সম্ভব না। চোরের তাতে কী সমস্যা, জানি না, তবে মোহাম্মদের তাতে বড়ই মুসিবত। কুত্তা থাকলে তার রাইত বিরাতে সব উম্মে-বিনতেদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ, সোনার অঙ্গ কালি হইয়া যায়... তাই আল্লার নামে চাপা ঝাইরা দিল যে বাড়িতে কুত্তা থাকলে সেই বাড়িতে রাইতের বেলা রহমতের ফেরেস্তা ঢুকে না। কোরানের বাণী (পড়তে হবে চাপা) তো আর ফেলা যায় না... তাই কুত্তা আউট, ফেরেস্তার সাথে মোহাম্মদেরও আর ঢুকতে বাধা থাকলো না।
চাপা-০০৫
মোহাম্মদের বুদ্ধি ছিল কোমরের কাছে। কিন্তু মাথার খেলা মানে দাবা খেলার খুব সখ তার। একদিন খাদিজা বিবি তারে পাঠাইলো দুম্বা চড়াইতে। দুম্বাগুলারে বালুর ওপরে চড়তে দিয়া সে বইলো হেরা গুয়ায় ধ্যানের নামে গ্যাব্রিয়েলের লগে হুক্কা থুক্কু দাবা খেলতে। খেলতে খেলতে আর হারতে হারতে কখন যে সন্ধ্যা হইয়া গেল কেউই টের পাইলো না। বাইর হইয়া দ্যাখে দুম্বা নাই। কই গেল কই গেল বইলা চিল্লায়ও একটা দুম্বাও পাওয়া গেল না। শেষে বাড়িতে গিয়া বিবিরে কইলো দুম্বা আল্লায় লইয়া গেছে গা। কিন্তু কিছুতেই বিবিরে কনভিন্স করতে পারলো না যে, দুম্বা সত্যি সত্যি আল্লায় লইয়া গেছে। উলটা চুরির অভিযোগে খাদিজা বিবির হাতে খাইলো ধুমায় মাইর। এই দুঃখ মোহাম্মদ সারা জীবনে ভুলতে পারে নাই। তাই দুঃখ ভোলার জন্য দাবা খেলা হারাম বইলা একটা চাপা ঝাইড়া দিল!!!
চাপা-০০৬
এইটা ঠিক মোহাম্মকী (মোহাম্মদ+আহাম্মকী) চাপা না, এইটা হইলো উম্মকী (উম্মত+আহাম্মকী) চাপা।
মরার পরেও নাকি নবীর ইমানী ডাণ্ডা শরীফ খাড়ায় ছিল। এইটা নিয়া কানাঘুসা রীতিমতো কম নাই। আসল কাহিনী হইলো, আজরাইল মোহাম্মকের জান কবজ করতে আইছিল যখন, তারে আল্লা আরেকটা গোপন মিশন দিয়া পাডাইছিল। হেইডা অইলো জানের সাথে ডাণ্ডাও কবজ কইরা লইয়া যাওন লাগবো। কারণ আল্লা মিয়ার ডর আসিলো ভেস্তে গিয়া ঐ নুরানী ডাণ্ডা লইয়া আল্লার হুর-পরী একটাও আস্ত রাখবো না আহাম্মকটা।
কিন্তু আজরাইল জান কবজ কইরা ডাণ্ডা কবজের জন্য ঐটা ধইরা হাজার টানাটানি কইরাও নিতে পারলো না। আল্লা নিজেও মনে হয় ভুইলা গেছিল যে, ঐটার মধ্যে থার্টি হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন লাগানি আছে। তিরিশ ঘোড়ার লগে আজরাইল পারবো ক্যান! শেষে তিরিশ ঘোড়ার লগে টাগ অব ডাণ্ডায় হাইরা গিয়া 'আজরাইল মিশন ইম্পসিবল জিরো' অ্যাবান্ডেন ঘোষনা কইরা খালি রুহু লইয়া গেল গা।
ঐদিকে হইছে কী, রিগর-মর্টিসের লাইগ্যা মোহাম্মকের বডি গেছে শক্ত হইয়া, ডাণ্ডা শরীফ আজরাইলের টানাটানিতে সেই যে খাড়াইছিল, আর নামার চান্স পায় নাই। সেই থেইক্যাই 'মোহাম্মকের বাড়া, মরার পরেও খাড়া' বইল্যা লিজেন্ডারী হইয়া গেল - মানে তার উম্মতেরা চাপা মারা শুরু করলো!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন