বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১২

শয়তানহীন রমজান মাসে

'হা-হা-হাদিস – ৩০' থেকে উদ্ধৃতি:

কোনও মাস অর্থাৎ সময় ক্যামনে পবিত্র হইতারে, সেইটার গ্রহণযোগ্য কোনও ব্যাখ্যা না থাকলেও মুসলিমেরা রমজানরে পবিত্র মাস মনে করে। আর আপনেরা কি জানেন যে, ইচলামের পেয়ারে নবী কইসে, এই পবিত্র মাসে বেহেশতের দরজা খুইলা দেওয়া হয় আর বন্ধ কইরা দেওয়া হয় দোজখের দরজা? দোজখের দরজা আছে, সেইটা নাহয় বুঝলাম, কিন্তু বেহেশতের দরজা থাকার মানে তো এইটাই খাড়ায় যে, বেহেশত একটা সীমিত ও বদ্ধ স্থান, যেইটার দরজা এগারো মাস বন্ধ থাকে। সারা জীবন ছওয়াব কামাই কইরা মরনের পরেও হালায় পুরা স্বাধীনতা নাই। আহারে মমিন ভাইয়েরা! 

তবে সবচেয়ে মজার কথা হইলো, রমজান মাসে সব শয়তানরে (ইবলিস কয়জন আসলে?) চেইন দিয়া বাইন্ধা রাখা হয়। শুইনা মনে প্রশ্ন জাগে, বাকি মাসগুলায় এই বদগুলারে ছাইড়া দেওয়ার মানেটা কী! 

বুখারী শরিফের হাদিস:
Narrated Abu Huraira:
Allah's Apostle said, "When the month of Ramadan comes, the gates of Paradise are opened and the gates of the (Hell) Fire are closed, and the devils are chained."

বুঝতেই পারতেসেন, শয়তানহীন রমজান মাসে আল্যাফাক খেলতেসে পুরা ফাঁকা মাঠে। এখন আপনেরাই কন, এই পবিত্র মাসে মুসল্লিরা এমুন করে ক্যান? কার প্ররোচনায়? শয়তান তো ফিল্ডেই নাই।

জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঠাকুরগাঁও: তারাবির নামাজে ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সৈয়দপুর সোয়াপাড়া জামে মসজিদে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ইমামসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দিনগত রাতে তারাবির নামাজের সময় মসজিদের ভেতর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আরেকখান খবর চোখে পড়লো। বহুবিবাহের বিপত্তি বিষয়ক। এক নাইজেরিয়ান লোকের আছিলো ছয় বউ। তবে সবচেয়ে প্রিয় বউ আছিলো কনিষ্ঠখান। নবীজির কথা স্মরণে আসে, তাই না? ইসলামে যদিও বলা আছে, বহুবিবাহের ক্ষেত্রে সব বউরে সমান ভালোবাসতে হবে, নবীজি কিন্তু তার ডজনাধিক বউগুলার ভিত্রে ছুডু বিবিরে ইসপিশাল মহব্বত করতো! তো যেইটা বলতেসিলাম। একদিন ওই লোকের বাকি পাঁচ বউ চেইতা গিয়া স্বামীরে ধর্ষণ করতে শুরু করে। কিন্তু বেচারারে তো আল্যাফাক নবীজির মতোন তিরিশ পুরুষের যৌনশক্তি দান করে নাই। তাই এক পর্যায়ে সে মারা যায়। 

অফ টপিক: এই রিপোর্টের একটি বাক্য পড়ে মেজাজটা খিঁচড়ে গেল। স্ত্রীদের সম্পর্কে লেখা হয়েছে: 'প্রত্যেকেই কৃষ্ণাঙ্গ হলেও আকর্ষণীয়, স্টাইলিশ এবং সুশিক্ষিতাও বটে।'
রিপোর্টার চুদির্ভাই কী বলতে চায়? শালা তো পুরা রেসিস্ট! আসলে বাঙালিদের ভেতরে রেসিজম যথেষ্টই প্রকট। অথচ আমরাই বিদেশে গিয়ে 'আমরা বর্ণবৈষম্যের শিকার' বলে আহাজারি করতে পছন্দ করি। পছন্দ করি ভিনদেশীদের 'বর্ণবাদী' বলে গালি দিতে। মলমণ্ডিত পশ্চাদ্দেশ নিয়ে আমরা অন্যদের পশ্চাদ্দেশে মলান্বেষণে তৃপ্তি লাভ করি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন