মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১২

নূরানী চাপা শরীফ - ০৪

লিখেছেন থাবা বাবা 

চাপা-০০৯
(গিল্লাত ক্ষুর ব্যবহার মাকরুহ হবার কারণ)

বনি জিল্লি-ই-ইত গোত্রের তখন খুব বাড় বাড়ন্ত। আল্লার রাসুল প্রতিদিন নিয়মিত বাল ফালাইতে বলায় তাদের তখন খুব দাম। কারন একমাত্র তারাই গিল্লাত রেজর আর ক্ষুরের একমাত্র পরিবেশক। তারা তখন বেশ পয়সাওয়ালা পাবলিক, তাই কাফের হইলেও রেজর সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে মোহাম্মক তাদের আক্রমণ করে নাই। ওই দিকে তাদের গোত্রাধিপতি আল বালা-আল-আক বিন আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদম এর ৪ বছর বয়সী কন্যার রূপের কথা তার সম্পদের সুবাসের মতোই ছড়িয়ে গেল।

মোহাম্মক তখন বাল ফালানোর ওয়াজিবে ভঙ্গের ভয়ে বনি জিল্লি-ই-ইত আক্রমন করতে পারছে না, আর তাদের সম্পদ ও টাকা পয়সার কথাও সহ্য করতে পারছে না। কিন্তু তাদের গোত্রাধিপতি আল বালা-আল-আক বিন আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদম এর ৪ বছর বয়সী কন্যা ক্ষুরাইমা বিনতে আল বালা-আল-আক বিন আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদমের রূপের কথা তার কানে পৌঁছানো মাত্র তার কোমরের কাছে বুদ্ধির ঝিলিক ঝলক দিয়ে উঠলো, ইমান খাড়ায় গেল। সাথে সাথে দু্নিয়াতে তার জেব্রায়েলের সাবস্টিটিউট আবু বকরীরে দূত পাঠায় দিল যে, আল্লার আদেশে সে ক্ষুরাইমা বিনতে আল বালা-আল-আক বিন আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদমকে উম্মকের মাতা করতে চায়। আল বালা-আল-আক বিন আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদম প্রস্তাব পাইয়া শয্যাশায়ী হইয়া পরলো। সে ঠিকই টের পাইলো যে, মোহাম্মকের নে'কু' নজর তার কন্যা আর টাকাপয়সার দিকে পড়ছে, যেই ভয়টা সে তার বাপ আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদমের মৃত্যুর পর থেকে করে আসছে। অনেক ভেবে সে একটা বুদ্ধি বের করলো। সে ঘোষণা করে দিল: তাদের গোত্রের একটা রীতি আছে, তাদের গোত্রের মেয়েদের বিয়ে হয় যার বাল সবচেয়ে বড় তার সাথে, আর আগামী ৪০ দিনের মধ্যে সবাই যেন স্বশরীরে ও স্ববালে তার বাল-আ-খানায় তশরীফ রাখে।

আবু বকরী ব্যবসায়ী মানুষ, তাই বাড়ি ফেরার আগে এক ফাঁকে আবিসিনিয়ার নিকটবর্তী বন্দরে কিছু দাসী বান্দী কিন্যা ইয়েমেনের উপকন্ঠীয় এক নগরে সেগুলা বেইচ্যা বাড়ি আইস্যা মোহাম্মকরে এই সুসংবাদ দান করলো। মোহাম্মক দেখে, হায় হায়, ৪০ দিনের মইধ্যে ২২ দিন তো শেষ। তাই সে তার শঙ্খের চেয়ে ধার চুলের চেয়ে সূক্ষ গিল্লাত ক্ষুর ব্যবহার বন্ধ কইরা দিল। তার ৩০ অশ্বশক্তির ডাণ্ডাগোড়ার ৯০ অশ্বশক্তির বাল তরতর করে বাড়া শুরু করলো।

নির্দিষ্ট ৪০ দিনের দিন মোহাম্মক তার আ-হাঁটু লম্বিত বাল ও আবু বকরীরে নিয়া বনি জিল্লি-ই-ইত গোত্রের প্রধান আল বালা-আল-আক বিন আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদমের বাড়ি যাত্রা করলো। পথে সে দেখলো এক লোকের বাল তার তুপের (আরবীয় আলখাল্লা) নিচ দিয়া মরুর তপ্ত বালি ঝাড়ু দিতে দিতে যাইতেছে। দেখে তার দেলটা মোচড় দিয়া উঠলো। আরো কিছুদূর গিয়া দেখে, আরেক লোক তার বাল তুপের তলা দিয়া বাইর কইরা গলায় তিন প্যঁচ দিয়া যাইতেছে। নিজের দুঃখ সংবরণ করে মোহাম্মক আল বালা-আল-আক বিন আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদমের বাল-আ-খানায় উপস্থিত হইলো। ঐখানে উপস্থিত হইয়া তার আক্কেলগুড়ুম হয়ে গেল। বালে বালে বালুময় উঠান ছেয়ে আছে। কয়েকজন আবার তাদের সুলম্বিত বাল দিয়া ঘুড়ি উড়াইতেছে। মোহাম্মক বুঝলো তার কোন আশা নাই, তার আল্যায়ও তারে তার সমস্ত ক্ষমতা দিয়া ক্ষুরাইমা বিনতে আল বালা-আল-আক বিন আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদমের সাথে বিয়া দিতে পারবে না। তাই সে ফিরা আসার আগে এক ঘুড়িওয়ালারের জিগাইলো, ঐ বাল পেলে-পুষে বাল করতে তার কয় দিন লাগছে। ঐ বাল-ঘুড়েশ্বর ছিল কানে খাটো, সে মোহাম্মকের প্রশ্ন না বুঝে উত্তর দিন ৪০ দিন, সে মনে করে থাকতে পারে, মোহাম্মদ তারে কবে খবরটা পাইছে সেটা জানতে চাইছে।

মোহাম্মক বাড়ি ফিরতে ফিরতে চিন্তা করলো যে, সেও যদি ৪০ দিন আগে খবরটা পাইতো, তাইলে বাল বড় করতে না পারলেও অন্তত একটা পরবালা জোগাড় কইরা ক্ষুরাইমা বিনতে আল বালা-আল-আক বিন আব্দুল আজাজি ইবনে আবুল বাড়া-আল-আক ইবনে আল্লার বি-ই-চি বিন চুন্নত-ই-খৎনা বিন আব্দুল জিল-ই-ইতা বিন......(পুরাটা বলা ধরলে আর কাহিনী শেষ হবে না)...ইবনে কাবিল বিন আদমরে উম্মকের মাতা বানাইতে পারতো! তখনই সে সিদ্ধান্ত নিল যে সপ্তায় প্রতিদিন গিল্লাত ক্ষুর এস্তেমাল করার বিধান আসলে দরকার নাই, অন্তত ৪০ দিন পর্যন্ত গিল্লাতে ভ্যাবার স্থগিত রাখা যায়। সেই থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত বাল না ফালাইলেও আল্যাফাক ঠাডা বর্ষণ করবে না বলে চাপা ঝাইড়া দিল!

* প্রাসঙ্গিক ছবিটি জোগাড় করে দিয়েছেন আল্লামা শয়তান। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন