বুধবার, ২২ আগস্ট, ২০১২

আল্লা মুসলমানদের উপ্রে ক্ষেপছে ক্যান?

লিখেছেন কাফের

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুটো খবর: 
১. সুনামগঞ্জে ধর্মপাশায় তারাবির নামাজরত অবস্থায় বজ্রপাতে ইমামসহ ১৩ জন নিহত, আহত ৫০ জন। 
২. ইরানে ভূমিকম্পে প্রায় ২৫০ জন নিহত। (ক্ষয়ক্ষতির কথা আর উল্লেখ করলাম না।) 

এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, বিগত ৫০ বছরে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া ১০টি মারাত্মক ভূমিকম্পের ৮টি ঘটেছে মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে। তাছাড়াও আফ্রিকান মুসলিম দেশগুলোর লোকদের না খেয়ে মরার ঘটনা তো আছেই। ত্যাল যাদের নাই এরকম মুসলিম দেশগুলোও গরীব। যা হোক, এসব অন্য বিষয়। কারেন্ট বিষয় হইলো গিয়া নামাজরত অবস্থায় আল্লা মুসলমানদের মারলো ক্যান? সোজা কথায় - 

আল্লা মুসলমানদের উপর ক্ষেপছে ক্যান? 

সংক্ষিপ্ত উত্তর: আযানের দোয়ার কারণে। 

বিশদ উত্তর ও ব্যাখ্যা: নবীর চাচাতো বোন উম্মে হানির খোলা বুকের উপর ক্লান্ত হইয়া শুইয়া নবী যখন মেরাজ গমনের সুখস্বপ্ন দেখতেছিলো, তখন নবীরে আল্লা কইছিলো, এখন থিকা তোমার উম্মত আর তোমার জন্যি দিনে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ধাজ্জো করা হইলো। নবী চিন্তা কইরা দেখলো, হায় হায়, দিনে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে গেলে তো কাম-কাজ সব যাবে। ছহবত করার সময়ও পাওয়া যাইবে না। তাইলে গনিমতে মাল হিসেবে পাওয়া কাফের মাইয়াগুলার হইবেডা কী? আর আমার ১১ডা বিবি! তাগো খ্যাতেই বা কে লাঙ্গল চালাইবো? শেষমেষ সব ভাইবা চিন্তা মুহম্মদ আল্লারে কইলো, ৫০ না ৫, এবং আল্লা তাতেই কবুল কইলো। কারণ আল্লার মুহম্মদের ৩০ অশ্বশক্তিরে খুবই ভয়। সেই প্রথমবার আল্লা যখন মুহম্মদের কামশক্তির পরীক্ষা নিছিলো, তখন ৩০ বার তার আরশ কাঁইপা উঠছিলো। তাই এবার আল্লা আর কোনো রিস্ক নিলো না। 

এই পোরযন্ত আল্লা বেটায় সন্তুষ্ট ছিলো। কিন্তু মুহম্মদ করলো কী, আযানের পর একটা দুয়া চালু কইরা দিলো। সেই দুয়ায় বলা হলো, “তাকে (মানে মুহম্মদকে) অধিষ্ঠিত করো বেহেশতের সুমহান মর্যাদায়, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাকে দিয়েছো। নিশ্চয় তুমি ভঙ্গ করো না অঙ্গীকার।” 

সমস্যাটা হইছে এইখানে। আল্লা তো ওয়াদা দিছেই যে, মুহম্মদরে বেহেশত দিবো। তাছাড়া মুহম্মদের ৩০ অশ্বশক্তির জন্যও আল্লার তাকে খুবই পছন্দ। সেই জন্যিই তো মুহম্মদ আল্লার প্রিয় নবী, দোস্ত। যীশু অরথাত ঈসা নবী তার নিজের ছেলে হইলেও যীশু আল্লার কাছে প্রিয় না। কারণ, দোস্তের লগে যা করা যায় (হোমোসেক্স) পুত্রের লগে তো তা করা যায় না। এই জন্যই আল্লা পৃথিবীতে তার নিজের প্রতিমূরতি হিসেবে নারী পুরুষের বাইরে কিছু হিজড়া সৃষ্টি করছে এবং বেহেশতেও গেলমান জাতীয় কিছুর ব্যবস্থা রাখছে। 

যা হোক, মুহম্মদ সারা জীবন বহু অকাম কুকাম করছে। তাই সে জানতো, তারও বেহেশত নিশ্চিত না। এজন্যই সাহাবীদের সে বলেছিলো, ‘আমি জানি না, শেষ বিচারের দিনে আমার সাথে কীরূপ ব্যবহার করা হবে?’ এখন তার উম্মতগোর চাপে আল্লা যাতে মুহম্মদরে বেহেশত দিতে বাধ্য হয় তাই নামাজের দুয়ায় ঐ ব্যবস্থা: নিশ্চয় তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করো না। 

প্রব্লেমটাই হইছে এইখানে, নিবোর্ধ মুহম্মদ বুঝবার পারে নাই যে, পৃথিবী সমতল না, গোলাকার। এখন পৃথিবী সব সময় ঘুরপাক খাওয়ার ফলে প্রতি মূহুর্তেই কোথাও না কোথাও আযান হইতেছে, আর তা সাথে আযানের দুয়া। আযান শুনতে আল্লার ভালোই লাগে। হাজার হোক নিজের প্রশংসা। কিন্ত আযানের দুয়াটাই হয়েছে কাল। প্যাঁচে পইড়া আল্লা না হয় মুহম্মদরে কথা দিছে যে, তারে বেহেশত দিবো, কিন্তু সেই কথা বারবার সব সময় স্টুপিড উন্মাদদের মুখ দ্বারা মনে করাইয়া দেয়ার দরকার কী আছে? আল্লা কি সবজান্তা নয়? আল্লা কি জানে না, মুহম্মদরে সে কী কথা দিছে? শেষে আবার বিনয় মেশানো হুঁশিয়ারিও আছে, নিশ্চয় তুমি ভঙ্গ করো না অঙ্গীকার। মনে হইতেছে, অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে মুহম্মদের উম্মতরা বোধহয় আল্লার আল্লাগিরি কাইড়া নিবো! এইজন্যই ক্ষেপছে আল্লা। চারেদিকে সবসময় নিশ্চয় তুমি ভঙ্গ করো না অঙ্গীকার। নিশ্চয় তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করো না। শুনতে শুনতে আল্লা কান ঝালাপালা। তাই আর সহ্য করতে না পাইরা দিছে মসজিদের উপর বাজ। আর এক বাজেই খতম তারাবিতে খতম ১৩ জন। 

পুনশ্চ : এইটা আল্লার একটা হুশিয়ারি মাত্র। এরপরও যদি মুসলমানরা আযানের দুয়া কওয়া বন্ধ না করে তাইলে আল্লা কী কইরা মুসলমানগো মুখ বন্ধ করা যায় সেই ব্যবস্থা করতাছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন