১.
ইছলামের নবী ছিলো ঘোর ইহুদিবিদ্বেষী। সে কারণে কোরানও ইহুদিবিদ্বেষআকীর্ণ। তাই ইহুদিদের প্রতি কোনও ধরনের সহানুভূতি পোষণ বা সুসম্পর্ক রক্ষা করা যে কোনও ছহীহ মুছলিমের জন্য নিশ্চিতভাবেই গুনাহর সামিল। আর তাই ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগে মুছলিমরা শুক্রবারের নামাজ আদায় করছে - কারুর কল্পনায় এমন দৃশ্য আসা সম্ভব নয়। অথচ তেমনটিই ঘটছে আমেরিকার ভার্জিনিয়া প্রদেশে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে মনে হলো, এদের বন্ধুত্ব চিরকালীন। সীমাহীন কপটতা আর ভণ্ডামির উৎকৃষ্ট নমুনা যাকে বলে! অবশ্য স্বার্থ উদ্ধারের প্রয়োজনে মিথ্যে বলার অনুমতি কোরানে আছে। এই ধূর্ত ভণ্ডামিকে তাকিয়া (Taqiyya) বলা হয়ে থাকে।
২.
ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, সুনামি জাতীয় যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও নাকি আল্লাহর ঘর মসজিদ নাকি বুক-টান দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ একটাই - রক্ষাকর্তা আল্লাহ। কিন্তু লিবিয়ায় মসজিদ ভাঙার সময় সর্বক্ষমতাময় আল্লাহপাক নির্বিকার কেন?
৩.
ব্ল্যাসফেমি কোনও অর্থেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ পদবাচ্য নয়। তবু সেটাকে অপরাধ বানানো হয়েছে গায়ের জোরে। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে - ধর্মবিশ্বাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে। সে কারণেই 'অপরাধীদের' বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রায় ক্ষেত্রেই হয় অবাস্তব, উৎকট, এমনকি হাস্যেদ্রেককারীও। পাঁচটি উদ্ভট ব্ল্যাসফেমি মামলার বর্ণনা।
(লিংক: কৌস্তুভ)
৪.
মুছলমানদের ওপরে আছর করে জ্বিন, আর ভূত ভর করে হিন্দুদের ওপরে। বড়োই মজাদার ব্যাপার। তো এক হিন্দু যুবকের ওপরে আছর করা ভূত তাড়াতে তাকে ৪০১ বার পানিতে চোবাতে হবে বলে জানিয়েছিল তান্ত্রিক। ২২৪ বার চোবানোর পর যুবকের মৃত্যু হয়।
৫.
বিবর্তনবাদে আস্থা আনলে ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তি হুড়মুড় করে ধ্বসে পড়ে বলে মমিনেরা যে-কোনও মূল্যে বিবর্তনবাদ বিরোধিতা বজায় রাখতে ব্যতিব্যস্ত। আর তাই আধুনিক মানুষের শরীরে বিবর্তনবাদের দশটি প্রমাণ দেখে বিশ্বাসের বালুতে মুখ গুঁজে থাকা ধর্মাক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনও প্রতিক্রিয়া হবে বলে মনে হয় না।
(লিংক: বোকা কাক)
(লিংক: বোকা কাক)
৬.
কোরান, হাদিস ও ইমাম গাজ্জালীর বিশদ বর্ণনায় ইছলামী দোজখ সম্পর্কে ধারণা নিন এবং নূরের পথে আসুন। নইলে পরকালে রোস্ট হওয়াই আপনার নিয়তি।
৭.
বারো বছরের বালক ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে পালোচ্ছে, আর তার পেছনে ছুটছে শুধু আন্ডারওয়্যার পরা এক ক্যাথলিক ধর্মযাজক... না, কোনও কমেডি ছবির দৃশ্য নয়, বাস্তব ঘটনা।
৮.
বেলজিয়ামের খ্রিষ্টান ধর্মযাজকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাদের শিশুকামী প্রবণতা দূর করতে সহায়তা করবে সাইকায়াট্রিস্টরা। খবরটা পড়ে আমার মনে হলো, ধুলো এড়াতে পৃথিবী চামড়ায় না ঢেকে পদযুগল চামড়াচ্ছাদিত করলেই তো ল্যাঠা চুকে যেতো। ধর্মযাজকদের ঐতিহ্যবাহী মহামারী-গোত্রীয় শিশুকামিতার কথা জেনেও যে-সব পিতা-মাতা তাদের শিশুদেরকে পাঠান চার্চে - যাজকদের সান্নিধ্যে, তাদের প্রয়োজন সাইকায়াট্রিস্টের।
৯.
ইছলাম সঙ্গত কারণেই জ্ঞানবিদ্বেষী। জ্ঞানের আলোয় ইছলামী নূর বিলুপ্ত হয়ে যায় যে! আর সে কারণেই প্রাচীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসংগ্রহের অধিকারী Library of Alexandria পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল ইছলামের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি, নবীজির অতি নিকটজন খলিফা ওমরের নির্দেশে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন