লিওনারদো দ্য ভিঞ্চি স্কেচ করছিল হেলিকপ্টার এর যা আজকের হেলকপ্টারের সাথে প্রায় হুবহু মিলে যায়। কারণ কী? কারণ হচ্ছে লিওনারদো দ্য ভিঞ্চির চিন্তা-চেতনায় বিজ্ঞান ছিল।
মুহম্মদও একটা স্পেসশিপের ডিজাইন করছিল, যার নাম বোরাক (ডানাওয়ালা ভেড়া); কারণ কি? কারণ হচ্ছে মেষপালক মুহম্মদের চিন্তা-চেতনায় বিজ্ঞান ছিল না, ছিল শুধু ভেড়া, তাই তো ভেড়ার গায়ে কল্পনায় ডানা লাগাইয়া দিয়া সে স্পেশশিপের ডিজাইন করছে।
সত্য আর মিথ্যার পার্থক্য এখানেই।
লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা
মানুষের চিন্তাভাবনাই তার 'টাইম-মেশিন'।
ভবিষ্যতে যেতে চান? ধর্মগ্রন্থ বুঝে পড়ুন।
অতীতে যেতে চান? ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত করুন।
লিখেছেন অমার্জনীয়
কসম ঐ ঝঞ্ঝা বায়ূর। অতঃপর বোঝা বহনকারী মেঘের। অতঃপর মৃদু চলমান জলযানের। অতঃপর কর্ম বন্টনকারী ফেরেশতাগণের। সূরা- আস যারিয়াত-৫১: ০১-০৪, মক্কায় অবতীর্ণ।
আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায়। চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়, শপথ নিশাবসান ও প্রভাত আগমন কালের, নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী, সূরা-আত-তাকভীর-৮১:১৫-১৯ মক্কায় অবতীর্ণ।
শপথ সূর্যের ও তার কিরণের, শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে, শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে, শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে, শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর। শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর, সূরা-আস-সামস্-৯১:০১-০৬, মক্কায় অবতীর্ণ।
চন্দ্রের শপথ, শপথ রাত্রির যখন তার অবসান হয়, শপথ প্রভাতকালের যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়, সূরা-আল মুদ্দাসসির-৭৪:৩২-৩৩, মক্কায় অবতীর্ণ।
এখানে আল্লাহ বায়ূ, মেঘ, জলযান, নক্ষত্র, সূর্য, চাঁদ এ সমস্ত জড়বস্তু ও ফেরেস্তাদের নামে কসম কাটছে। কী আজব কারবার! আল্লাহ তার কথা যে সত্য, তা প্রমাণ করার জন্য ওসব জড়বস্তুর কসম দিচ্ছে, তার সৃষ্ট ফেরেস্তাদের কসম দিচ্ছে। আর সে কসম দিচ্ছে তার কথা মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য। তাহলে আল্লাহকেও কসম কাটতে হয় ঠগ বা প্রতারক বা মিথ্যাবাদী মানুষের মত, যারা কথায় কথায় আল্লা-খোদার কসম কাটে, যেন তাদের কথা মানুষ বিশ্বাস করে, যদিও খুব কম মানুষই এ ধরনের কসমকাটা মানুষদেরকে বিশ্বাস করে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কখনো কসম কাটার দরকার পড়ে না। কারণ তার উর্ধ্বতন কেউ নেই, যার নামে কসম কাটা যায়। অধঃস্তনরাই তার ঊর্ধ্বতনের নামে কসম কাটে। যেমন সন্তানরা তার মা বাবার নামে কসম কাটে, মা-বাবা কসম কাটে আল্লাহর নামে। আল্লাহর কোন ঊর্ধ্বতন নেই, তাই তার কসম কাটারও কেউ নেই। সুতরাং ওপরোক্ত আয়াতসমূহের কসমকাটার ঘটনাগুলো যৌক্তিকভাবেই সর্বশক্তিমান আল্লাহর হতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন