শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১২

নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে > ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে

লিখেছেন আরিফুর রহমান

মেয়ের অনাবৃত কাঁধ বা বাহু দেখলে পুরুষের ভেতরে যৌনতা চাগা দিয়ে উঠতেই পারে।

মমতাময়ী প্রকৃতি মাতা তা-ই চান। পুরুষ-নারীর এই যৌনআকর্ষণ না থাকলে লক্ষ বছর ধরে মানুষের প্রজনন ও বংশ-পরম্পরা টিকতে পারতো না। কাজেই যেসব 'জুবক' বাজারের হুজুর বা পাদ্রী বা পুরুতের কথায় নারী বিষয়ে হৃদয়ের গহীনে নিষিদ্ধতা পোষণ করেন, তাদের জন্য একটাই পরামর্শ: 'স্বাভাবিকভাবে নিতে শেখো'।

নারী তোমার মতোই মানুষ। তার দেহের অধিকার সমাজের নয়, তার বাবার নয়, তার স্বামীর নয়। এমনকি ভগবানেশ্বরাল্লাহ নামের কল্পিত সত্ত্বারও নয়। শুধুই তার! 

মেয়ের অস্তিত্বের মালিকানা তার নিজের। সে নিজের বাহু খুলে রাখবে, নাকি ঢেকে, সেটা নিয়ে ইভটিজিং মারানো তোমার কর্ম নয়।



সোজা কথায় - এটা তোমার চিন্তার বিষয় না। যদি দেখে এতোই পছন্দ হয়, তাকে প্রেম করার প্রস্তাব দিতে পারো, ভদ্রতা বজায় রেখে। যদি মিলে যায়, গুড লাক! আমাদের চকলেট পাঠাতে পারো... :)

যদি মেয়েটা 'না' বলে, তাহলে ঠোঁট উল্টে অভিমান ভরে সোজা হাঁটা ধরো, তোমাকে মেয়েটার হয়তো পছন্দ হয়নি। কিন্তু খবরদার, ভদ্রতা ও আইনের গণ্ডির বাইরে যেয়ো না কোনোভাবেই।

ওই মেয়েকে ইভটিজিং করা মাত্রই তুমি ক্রিমিনালে পরিণত হবে, খুব খেয়াল করে। আইনে তার কঠিন শাস্তি আছে। সভ্য সমাজে মেয়েদের রক্ষার জন্য আইন আছে, তার প্রয়োগও আছে।


তাই মেয়েদের নিয়ে বাজে কথা বলতে শুনলে বাজারের হুজুর, পুরুত, পাদ্রীদের মুখ লক্ষ্য করে কষে লাথি মারো।

এটাই তোমার নাগরিক দায়িত্ব। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন