আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ২৮

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)


রিযা সম্পর্কে বেশ কিছু মজাদার হাদিস রয়েছে, যার কিছু নমুনা নিচে পেশ করা হলো।

বিবি আয়েশার বোন উম্মে কুলসুম সেলিম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমরকে মাত্র তিনবার বুকের দুধ খাওয়ায়; যার দরুণ আয়েশার সাথে দেখা করা ইবনে আব্দুল্লাহর জন্যে হারাম ছিল। যদি কুলসুম দশবার খাওয়াত, সেক্ষেত্রে আয়েশার সাথে সাক্ষাৎ করা তার জন্যে হালাল হয়ে যেতো।
মুয়াত্তা, বুক নং-৩০, হাদিস নং-৩০.১.৭:
...সেলিম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর তাকে (ইয়াহিয়াকে) বলেন যে উম্মে কুলসুম বিনতে আবু বকর আস-সিদ্দিক যখন তাকে স্তন্যপান করাচ্ছিলেন তখন উম্মুল মুমেনীন আয়েশা তার বোনকে বলেছিলেন-“তাকে দশবার দুধ খাওয়াও, যেন সে আমার সাথে দেখা করার অধিকারী হয়”। সেলিম বলেন- “উম্মে কুলসুম আমাকে তিন বার দুধ খাওয়ানোর পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুতরাং----আমি আর আয়েশার সাক্ষাৎ পাইনি, কারণ উম্মে কুলসুম দশ বার শেষ করতে পারেননি”।
অনাত্মীয়া স্ত্রীলোকের সাথে সাক্ষাৎযোগ্য হওয়ার উপযুক্ততা: তার কাছ থেকে দশ কিস্তি দুগ্ধপান।
মুয়াত্তাঃ বুক নং-৩০, হাদিস নং-৩০.১.৮:
...উম্মুল মোমেনীন হাফসা আসিম বিন আব্দুল্লাহ বিন সা’দকে তার (হাফসার) বোন ফাতিমা বিনতে উমর ইবনুল খাত্তাবের নিকট পাঠিয়েছিলেন যেন তিনি তাকে দশবার বুকের দুধ খাওয়ান; তা’হলে সে (আসিম) তার কাছে যেতে পারবে এবং দেখা করতে পারবে। তিনি (ফাতিমা) তা করেছিলেন, সুতরাং সে (আসিম) তার (হাফসার) সাথে দেখা করতে যেতো।
(লক্ষ্য করুন, দশবার দুধ খাওয়ানোর রীতি পরিবর্তিত হয়ে পরবর্তীতে পাঁচ বারে নেমে আসে)
মুয়াত্তাঃ বুক নং-৩০, হাদিস নং-৩০.৩.১৭:
..........আয়েশা বলেন- “কোরানে যা নাজেল হয়েছিল তা এই- ‘দশবার বুকের দুধ খাওয়ালে সে হারাম হয়ে যায়’,অতঃপর তা ‘পাঁচবার’ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। রাসুলুল্লাহ (দঃ) যখন মারা যান, তখন কোরানে এখন যেভাবে আছে সেভাবেই ইহা তেলাওয়াত হয়ে আসছিল”।
একথা বলা নিষ্প্রয়োজন যে, ইসলামি সমাজে রিযা পদ্ধতি শিশুদের জন্যে দুগ্ধ-সরবরাহ সমস্যার এক অনুপম উপায়। তবে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে বিয়ের বাজারের অবস্থাটা কী দাঁড়াবে? যদি মায়েরা কিছু সময়ের জন্যেও তার শিশুটিকে ধাত্রী মায়ের হাতে তুলে দেয়, বিয়ের মার্কেট থেমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। রিযার কারণে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল বরটিও তার জন্যে একটি কনে যোগাড় করতে হিমশিম খাবেন, এতে কোনো সন্দেহ আছে কি?

ওপরের মন্তব্য অবশ্য ইসলামি ফষ্টারেজ পদ্ধতির চরম দিককে লক্ষ্য করেই। আধুনিক বিশ্ব এখন আদৌ রিযা পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল নয়। যেসব মায়েরা শিশুকে স্বাভাবিক মাতৃদুগ্ধ দিতে অপারগ, বাজারে তাদের জন্যে রয়েছে হরেক রকমের ফর্মুলা মিল্ক। তবে রিযার বিকল্প হিসেবে শিশুকে বোতলজাত দুধ পান করানোর ব্যপারে কোনো শারিয়া আইন আছে কি না, অনেক খুঁজেও আমি তা বের করতে পারিনি। ভেবে দেখুন, সপ্তম শতাব্দীতে মানুষ ফর্মুলা মিল্কের নামও জানত না, বটল-ফিডিংয়ের ধারণাও ছিল না কারও। সুতরাং মরুচারি বেদুঈনরা মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে রিযা পদ্ধতি অনুসরণ করতো। এভাবেই তারা দুগ্ধ সরবরাহের অপ্রতুলতার মোকাবেলা করেছে।

এবার একটি প্রশ্ন। এতক্ষন আমরা ফস্টারেজ পদ্ধতিতে ধাত্রী মায়ের দুধ খাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এখন প্রশ্ন: দুগ্ধবতী কোনো মেয়ে সাবালক পুরুষকে দুধ খাওয়াতে পারে কি? তৌবা তৌবা। এ কী উদ্ভট প্রশ্ন! ইসলাম এমন জিনিস কখনও অনুমোদন করতে পারে না। ইসলামিস্টরা নিশ্চয়ই বলবেন, শয়তানের প্ররোচনাতেই কেবল এরূপ ধারণা কারও মনে উদয় হতে পারে। বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষকর্তৃক নারীদুগ্ধ পানের বৈধতা সংক্রান্ত কোনো উল্লেখ আমরা শারিয়া আইনে দেখতে পাই না ঠিক, তবে বেশ কিছু হাদিস রয়েছে যেগুলি পড়লে সত্যি সত্যিই হোঁচট খেতে হয়। আসুন, সেরকম কয়েকটি হাদিস নেড়েচেড়ে দেখে নেয়া যাক এখন।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন