লিখেছেন থাবা বাবা
চাপা - ০১৮
(ঈদ মোবারক আর ঈদের জামাতের হিস্টুরী)
খাদিজার হাতে ধরা খাইয়া মোহাম্মকের টানা একমাস খানা-খাইদ্য সাথে দাসী-বান্দী পুরাই অফ আছিল (চাপা-০১৩ দ্রষ্টব্য)। তার জেলখানার মেয়াদ শেষ হইতে না হইতেই এক দৌড়ে বাইর হইয়া সরাসরি পাবে জমজমে চইলা গেল। এতো দিনের না খাওয়া বান্দা... তাই বেসামাল আরবি টানলো হাউশ ফুরাইয়া। তারপর তার সেই চিরাচরিত কাবা ঘরের সামনের চত্বরে... সাথে তার ইউজুয়াল ইয়ার-দোস্তরা। মোহাম্মক তো টাল... স্বপ্নে উম্মেহানীর গুহায় ডুবসাঁতার কাটতে ডাইভ দিছে, আর তার পুরা একমাস ‘মোহাম্মক-মধু’ বঞ্চিত দোস্তরা তাদের কঠিন ইমান লইয়া মধুর ভাণ্ডের উপর ঝাঁপায় পড়লো। সবাই আরবি খাওয়া ছিল, তাই টাল সামলাইতে না পাইরা কেউ কেউ মোহাম্মক মনে কইরা অন্যদের মধুও খাওয়া শুরু করলো।
যথারীতি সকালবেলা মোহাম্মক ঊর্ধ্বপোঁদে মধুদ্বার চেগায়া পইড়া থাকলো জ্বালাপোড়া ঠেকাইতে, আর তার পিছে তার ইয়ার দোস্তরা। কারণ টাল হইয়া কে যে কার মধু খাইয়া ফালাইছে, তার হিসেব আছিল না, তাই সবারই পশ্চাদ্দেশ ব্যথা। এই দিকে খাদিজা বিবি শিবলি থুক্কু সুবে সাদিকে তার মুবারক নামক ভৃত্যের কাছে খবর পাইলো, তার পাতিনবী পতিদেব কাবা ঘরের সামনে আরবি খাইয়া ইয়ারদোস্ত লইয়া পুন্দাপুন্দি করতাছে। কোনো রকমে তুপটা গায়ে জড়ায়া মুবারকরে লইয়া দিল দৌড়। তার যা মেজাজ তখন, হাতের কাছে থান ইঁট পাইলে মোহাম্মকের মস্তক শরীফ আস্তা থাকার কথা না।
খাদিজা দৌড়াইতাছে, সামনে মুবারক দোড়াইতাছে... আর খাদিজা চিল্লায় চিল্লায় কইতাছে “মুবারক... ইট, মুবারক... ইট”, মানে মুবারকরে ইট নিতে কইতাছে মোহাম্মকের মাথা থ্যাতলানের জইন্য। কিন্তু তখনো তো পোড়া ইট আরবে ঢোকে নাই, তাই মুবারকও ইট খুঁইজা পায় নাই। এই দিকে চিল্লাপাল্লা আর আর খাদিজার ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় দেইখা মানুষজনও তাদের পিছে পিছে যাওয়া শুরু করলো মজমা দেখতে। কিন্তু কাহিনী তো তারা জানে না... তারা শুধু শুনতেছে খাদিজা চিল্লাইতেছে “ইট মুবারক, ইট মুবারক”... !!!
কাবা প্রাঙ্গনে গিয়া দেখে মোহাম্মক আর তার পিছে সবাই লাইন ধইরা ঊর্ধ্বপোঁদে পজিশিত। মক্কাবাসীরে মোহাম্মক আগেই বুঝায় রাখছে যে ঐটা হৈল নামাজের সিজদা (চাপা-১৬ দ্রষ্টব্য)... তাই তারা আসল কাহিনী ধরতে না পাইরা মনে করলো, ইটের দিন জামাতে সিজদা দেওন লাগে আর চিল্লায় চিল্লায় ইট মুবারক কওন লাগে! সেই থেকে একমাস না খায়া থাইকা পরের দিন ঊর্ধ্বপোঁদে নামাজ পরা আর ইট মুবারক বলার রীতি শুরু হইলো, আর কালক্রমে শব্দবিচ্চ্যুতির কারণে ইট হয়ে গেল ঈদ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন