একদল ইছলামী আচোদা আছে, যারা মনে করে, ইভ টিজিং বা অন্যান্য যৌনহয়রানি এমনকি ধর্ষণের পেছনে নারীর খোলামেলা পোশাক মদদ যোগায়। আসলে নিজেদের ঈমানদণ্ডের ওপরে এদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই; তাই নিজেদের এই হীনমন্যতা ঢাকতে তারা এই কুযুক্তির আশ্রয় নেয়। তাদের দাবি সত্য হলে পশ্চিমা দেশগুলোয় প্রতিদিন কোটি-কোটি ধর্ষণ ও বিবিধ যৌনহয়রানির ঘটনা ঘটতো এবং পক্ষান্তরে হিজাব-নিকাব-বোরখাময় ইছলামী দেশগুলো হতো সম্পূর্ণরূপে যৌনহয়রানি ও ধর্ষণমুক্ত।
বিবিসি'র গতকালকের রিপোর্ট: ইছলামপন্থী সরকার প্রশাসিত ইছলামী দেশ মিসরে যৌনহয়রানি মহামারীর আকার ধারণ করেছে।
(লিংক: রিমা)
এখনকার মিসর। ছবি সৌজন্য: আল্লামা শয়তান।
২.
ষাট বছর পরে মিসরের সরকারী টিভিতে হিজাব পরিহিত সংবাদ উপস্থাপিকাকে দেখা গেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ঘোষণাকারী মহিলাদেরকেও হিজাব পরার কথা বলা হয়েছে।
৩.
বিস্মিত হবেন না; চৌদি আজব বলে কথা! সে দেশে এই প্রথম নির্মিত হলো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। আরও একটি বিস্ময়জাগানিয়া তথ্য হচ্ছে: এই ছবির পরিচালনা করেছেন এক নারী। তিনি বলেছেন, ‘ছবির শুটিং করতে গিয়েও আমাকে নানা ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। পুরুষ অভিনেতা ও ক্রুদের সঙ্গে জনসমক্ষে কাজ করতে পারিনি। একটি ভ্যানের ভেতর থেকে ওয়াকিটকি দিয়ে সব নির্দেশনা দিতে হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় তো রীতিমতো হট্টগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা চিত্কার-চেঁচামেচি করে শুটিং বন্ধ করে দিয়েছিল।’
৪.
ধর্ষণের দায়ভার ধর্ষিতার ওপরে চাপাতে ইছলাম বড়োই তৎপর। তবে এক ক্যাথলিক ধর্মযাজকের কথা শুনে মনে হলো, যাবতীয় ধর্ম ও ধর্মবাজদের ভেতরে এই প্রবণতা বিরল নয়। ক্যাথলিক শিশুকামী ধর্মযাজকদের পক্ষ নিয়ে এই প্রভাবশালী ধর্মযাজক শালা যা বলেছে, তা অনেকটা এরকম: ধর্মযাজকদের দোষ নেই তো! তাদেরকে টিনএজাররা যৌনকর্মে প্রলুব্ধ করে। এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক-বালিকাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনকারী ধর্মযাজকদেরকে জেলে পাঠানো উচিত নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন