মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

এক হালি সংবাদ

১.
একদল ইছলামী আচোদা আছে, যারা মনে করে, ইভ টিজিং বা অন্যান্য যৌনহয়রানি এমনকি ধর্ষণের পেছনে নারীর খোলামেলা পোশাক মদদ যোগায়। আসলে নিজেদের ঈমানদণ্ডের ওপরে এদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই; তাই নিজেদের এই হীনমন্যতা ঢাকতে তারা এই কুযুক্তির আশ্রয় নেয়। তাদের দাবি সত্য হলে পশ্চিমা দেশগুলোয় প্রতিদিন কোটি-কোটি ধর্ষণ ও বিবিধ যৌনহয়রানির ঘটনা ঘটতো এবং পক্ষান্তরে হিজাব-নিকাব-বোরখাময় ইছলামী দেশগুলো হতো সম্পূর্ণরূপে যৌনহয়রানি ও ধর্ষণমুক্ত।

বিবিসি'র গতকালকের রিপোর্ট: ইছলামপন্থী সরকার প্রশাসিত ইছলামী দেশ মিসরে যৌনহয়রানি মহামারীর আকার ধারণ করেছে। 
(লিংক: রিমা)

এখনকার মিসর। ছবি সৌজন্য: আল্লামা শয়তান।

২. 
ষাট বছর পরে মিসরের সরকারী টিভিতে হিজাব পরিহিত সংবাদ উপস্থাপিকাকে দেখা গেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ঘোষণাকারী মহিলাদেরকেও হিজাব পরার কথা বলা হয়েছে। 

৩. 
বিস্মিত হবেন না; চৌদি আজব বলে কথা! সে দেশে এই প্রথম নির্মিত হলো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। আরও একটি বিস্ময়জাগানিয়া তথ্য হচ্ছে: এই ছবির পরিচালনা করেছেন এক নারী। তিনি বলেছেন, ‘ছবির শুটিং করতে গিয়েও আমাকে নানা ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। পুরুষ অভিনেতা ও ক্রুদের সঙ্গে জনসমক্ষে কাজ করতে পারিনি। একটি ভ্যানের ভেতর থেকে ওয়াকিটকি দিয়ে সব নির্দেশনা দিতে হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় তো রীতিমতো হট্টগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা চিত্কার-চেঁচামেচি করে শুটিং বন্ধ করে দিয়েছিল।’

৪. 
ধর্ষণের দায়ভার ধর্ষিতার ওপরে চাপাতে ইছলাম বড়োই তৎপর। তবে এক ক্যাথলিক ধর্মযাজকের কথা শুনে মনে হলো, যাবতীয় ধর্ম ও ধর্মবাজদের ভেতরে এই প্রবণতা বিরল নয়। ক্যাথলিক শিশুকামী ধর্মযাজকদের পক্ষ নিয়ে এই প্রভাবশালী ধর্মযাজক শালা যা বলেছে, তা অনেকটা এরকম: ধর্মযাজকদের দোষ নেই তো! তাদেরকে টিনএজাররা যৌনকর্মে প্রলুব্ধ করে। এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক-বালিকাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনকারী ধর্মযাজকদেরকে জেলে পাঠানো উচিত নয়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন